
'ওরফে গফুর' এর লেখা আমি বহুবছর থেকেই পড়ি। ওনার লেখা পড়ে ওনার মতবাদ, আদর্শে আমি বিভ্রান্ত হয়েছি বারবার। কারণ, কোন এক পত্রিকায় তিনি কার্লমার্স্কের কথা তথা কম্যুনিস্ট আদর্শের কথা লিখতেন- তখন তাকে মার্ক্সবাদী মনে হতো। আবার ইনকিলাব- নয়া দিগন্তে 'আরব থেকে বাংলামূলকে আসা দখলকারীদের বীরত্ব' ইনিয়ে বিনিয়ে প্রচার করত- তখন তাকে ইসলামি ভাবধারার আদর্শিক একজন বুদ্ধিজীবী মনে হতো। ওরফে গফুর নিজে নাস্তিক হলেও ২০১৩ সালে হেফাজতের সঙ্গে তার ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল।

উনার ইনসাফ কায়েম কমিটির কার্যক্রমও লক্ষ্য করতাম।
একসময় বুঝতে পারলাম তিনি আসলে উগ্রবাদী মতলববাজ। তাকে আদর্শ বিচ্যুত 'একজন বিভ্রান্ত মানুষ' বলে মনে হলো। বিডিনিউজে প্রকাশিত "অর্চনা-ফরহাদে দিশা খুঁজছে পুলিশ" লেখাটা পড়ে ও ভিডিওগুলো দেখে জনাব মজহারকে একটা 'নিম্নশ্রেণীর ফাতরা মানুষ' বলে মনে হয়েছে। একই সাথে নিজেকে তিনি 'ইতর বাঙালির মুখোচ্ছবি' হিসেবে ব্রান্ডিং করেছেন। বলতে গেলে আমি তাকে বর্জনই করেছি। তারপরও তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চোখ এড়াতো না।

বেশী দিনের কথা না, স্মরণ করে দেখুন, রাষ্ট্রদ্রোহিতার মাম চিন্ময় প্রভু গ্রেফতারের পূর্বেও ওরফে গফুর তার সাথে বৈঠক করেছিলেন। কাদের উস্কানিতে এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমে একজন আইনজীবীকে মেরে ফেলা হয়েছিল এবং অনেক আইনজীবী, আদালতে বিচার প্রার্থী নির্বিচার আক্রমণের শিকার হয়ে আহত হয়েছিল।
চিন্ময়কে নতুন মামলায় গ্রেফতার দেখানোর অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মায়ের সঙ্গে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে গিয়ে দেখা করেছেন ওরফে গফুর। ইদানিং তিনি আওয়ামী লীগকে পূর্নবাসন করতে নানাবিধ ফতোয়া দিচ্ছেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




