“পালানোয় পদক”- এক নতুন দিগন্ত.....
অক্টোবর মাস- নোবেল পুরষ্কারের মাস....আফায় নোবেল পেতে অনেক চেষ্টাতদ্বির করেছে। নোবেল কিনে দেওয়ার কথা বলে- অনেকেই তার অনুমোদনে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে বেশুমার হাতিয়েছে- বলে গল্প আছে! 'সাউথ মাউথ' কতো আজাইরা পুরস্কারই কিনলো, কিন্তু নোবেল অধরাই রয়ে গেল!

তবুও সম্ভাবনা একেবারেই শেষ হয়ে যায়নি।
যে যুগে মেধা নয়, মিথ্যার মেরুদণ্ড দিয়েই পুরস্কার পাওয়া যায়, সেখানে পালিয়ে যাওয়া তো এক বিশাল অর্জন! ভাবুন একবার- কত দক্ষতা, কত কৌশল, কত দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা লাগে এমন পালানোতে! কেউ কেউ তো পালানোর আগেই গলায় ফিতা ঝুলিয়ে "বীরপলায়ন" উপাধি দিয়ে দিতে চায়।
একসময় শুনতাম, মানুষ Nobel পায় মানবতার অবদানে। এখন বুঝি, "No-bell" মানে আসলে "ঘণ্টা বাজানোর দরকার নেই"- সবাই জানে কে কেমন! কেউ কেউ বহু দেনদরবার করেও নোবেলের ধারে-কাছেও যেতে পারে না, অথচ "ফ্যাসিস্ট অব দ্য ইয়ার" পুরস্কার জিততে পারে চোখ বন্ধ করে।
এমন এক মহাপলাতক আছেন, যিনি শুধু নিজে পালাননি, সাথে নিয়ে গেছেন নীতিহীনতার উত্তরাধিকার, চাটুকারিতার সনদ, আর জাতির ঘাড়ে রেখে গেছেন ভয়, ভণ্ডামি আর ভয়ঙ্কর নীরবতা।
তাই প্রস্তাব দিচ্ছি-
জাতিসংঘ বা অন্তত কোনো স্বনামধন্য গ্লোবাল ইন্সটিটিউশন যেন “Special Award for Strategic Escape” নামের একটা পুরস্কার চালু করে।
ক্রাইটেরিয়া হবে এমন-
★ জনগণের রোষ থেকে সফল পলায়ন,
★ ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টায় ধারাবাহিকতা,
★ দায়মুক্তির অদ্ভুত আত্মবিশ্বাস,
★ বিদেশে বসে দেশ নিয়ে নাটকীয় কান্না!
পুরস্কারের প্রতীক হতে পারে একজোড়া চপ্পল (যে চপ্পল পায়ে দৌড়ে হেলিকপ্টার চেপে ছিলেন), নিচে লেখা থাকবে-
“Run for your legacy!”
চলুন, Nobel না হোক, অন্তত “No-bell Escape Medal” তো পাওয়া যাক!
শেষ পর্যন্ত, সব নেতা দেশ চালাতে পারে না — কেউ কেউ কেবল পালাতে পারে, আর সেটাই তাদের একমাত্র দক্ষতা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


