somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যেহেতু সে নাস্তিক হয়ে মারা গেছে

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আরে ভাইয়েরা সরেন তো দেখি। এখানে কি হইছে? দ্যাখেন তো ভ্রাতা এখানে একটা লোক মরে পড়ে আছে। এ তো দেখছি ডাষ্টবিনে পড়ে আছে। দেখি তো সরেন বলে মামুদ ডাষ্টবিনের পাশে মরে পড়ে থাকা লোকটির মুখ দেখতেই অবাক হয়ে গেল। কি আশ্চর্য্য! সে তো আমাদের ম্যাচে থাকত। এখানে আসল কি করে? তার না আইজক্যা পরীক্ষা দেয়ার কথা। হায়রে তার ভাগ্যলিপি খুবই নির্মম। উপস্থিত লোকেরা মামুদকে লক্ষ্য করে বললেন, ওহে ভ্রাতা আপনি কি ওকে চেনেন? চিনি না মানে? অফকোর্স। সে তো ম্যাচে আমাদের পাশের রুমেই থাকব। তার কি পোড়া কপাল! এখানে সে মরে পড়ে আছে। আমার তো ভাবতেই অবাক লাগছে। কেন ভ্রাতা, কি হইছে? তার সম্পর্কে কি কিছু জানেন? জানি অনেক জানি, বলব?

দর্শকদের উপস্থিতিতে মামুদ বললেন, ঐ যে দেখছেন মরে পড়ে আছে লোকটা তার নাম বল্টু। সে আমাদের ম্যাচেই আমাদের সাথে থাকত। বল্টু ছিল দুশ্চরিত্রের খারাপ লোক। বিশ্বাসগত দিক দিয়ে নাস্তিক বটে। তার নাস্তিকতামূলক কথাবার্তায় আমাদের খুব রাগ হত। আমরা তাকে বোঝাতাম। নছিহত করতাম। কিন্তু বল্টু কারো কথার কোন কর্ণপাত করত না। সে নিজে যা বোঝে তাই বিশ্বাস করে। আমাদের ইসলামিক বইগুলো লুকিয়ে রাখত। কোন সময় বইয়ের পাতা ছিঁড়ে ফেলত। আর আমরা নামাজ পড়লে সেই বল্টু আমাদের নামাজ দিয়ে কটু কথা বলত। কেউ তাকে ইসলামের প্রতি আহ্বান করলে সে উগ্র মেজাজী কথাবার্তা বলে তাকে বিদায় করে দিত।

তার সবচে বড় স্পর্ধা ছিল, আমাদের আসমানী কিতাব কোরআন শরীফের পাতা লুকিয়ে লুকিয়ে ছিঁড়ে আগুন দিয়ে পুড়ে ফেলত। ইসলামী কোন কথাবার্তা শুনলে তার মনে যেন আগুন ধরে যেত। তখন সে এর পরিবর্তে নাচ-গানের সিডি বা ডিভিডি অথবা অডিও গান শুনত। আযান দিলে প্রায়ই সে গালমন্দ করত।

জানেন এক সময়, শামিম নামক এক ছাত্র নামাজে দাঁড়ালে ঐ বল্টু তার পেছনের দিক দিয়ে প্যান্ট ব্লেড দিয়ে কেঁটে ফেলে। এর সাথে কেটে যায় শরীরও। এত বড় একটা অসভ্য ছিল ঐ বল্টু।

ভাইজানেরা আপনাদের কি আর বলব। তার কুকীর্তির কথা কি আর বলব! শেষ করার মত নয়। দেখেন আজ তার কি দুরবস্থা। এখন সে পৃথিবীর সবচে ঘৃণিতস্থানে মরে পড়ে আছে। চিনার মত অবস্থা তার আর নেই। পৃথিবীতে তার থাকার জায়গা নেই। যেহেতু নাস্তিক হয়ে মারা গেছে, আমি নিশ্চত পরকালীন জগতেও তার ভয়াবহ শাস্তি বৈ কি আর হবে।

অথচ, তার জন্মসূত্রে যদিও তার মা-বাবা তাকে মুসলমান মনে করত। এখন তো আর কেউ তার লাশ শনাক্ত করতে পারবে না। এখন তাকে ঐ ডাষ্টবিন থেকে তুলে অবশেষে দুর্গন্ধ থেকে বাঁচার জন্য তাকে ম্যানহোলে ফেলে দেয়া হবে। নাউযূবিল্লাহি মিন যালিক।
১১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=স্মৃতির মায়ায় জড়িয়ে আছে মন=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৯


ঘাস লতা পাতা আমার গাঁয়ের মেঠো পথ, ধানের ক্ষেত
জংলী গাছ জড়ানো লতাবতী - আহা নিউরণে পাই স্মৃতির সংকেত,
রান্নাবাটির খেলাঘরে ফুলের পাপড়িতে তরকারী রান্না
এখন স্মৃতিগুলো পড়লে মনে, বুক ফুঁড়ে বেরোয় কান্না।

ফিরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×