ইনডিপেনডেন্ট টিভি
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের মালিক দরবেশ বাবা খ্যাত সালমান এফ রাহমানের মালিকানাধীন টিভি চ্যানেলটি ২০১০ সালে যাত্রা শুরু করে। এম শামসুর রহমান চ্যানেলটিতে সিইও অ্যান্ড এডিটর-ইন-চিফের দায়িত্বে আছেন।
৭১ টিভি
সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু ও মেঘনা গ্রুপের মালিকানাধীন চ্যানেলটি ২০১২ সালে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। সাংবাদিক মো. বাবু চ্যানেল'টির সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু এবং এই চ্যানেলটির জন্ম সম্পর্কে জানতে সামুর ব্লগার জ্বীনের এই ব্লগটি দেখতে পারেন। Click This Link
এটি এন নিউজ
এটি মাহফুজুর রাহমানের মালিকানাধীন এটিএন বাংলার একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। চ্যানেলটির সিইও হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন ফিরোজ সরকার এবং পরিচালনা করছেন মুন্নী সাহা।
সময় টিভি
গুগোলে পাওয়া তথ্যানুযায়ী শুরুতে যৌথভাবে চ্যানেলটির মালিক ছিলেন আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের ভাই মোরশেদুল ইসলাম, বর্তমান পরিচালক সাংবাদিক আহমেদ জুবায়ের, নিয়াজ মোরশেদ কাদেরি এবং তুষার আব্দুল্লাহ। ২০১০ সালে যাত্রা শুরু করে ৮ মাসের মাথায় তারা(মালিক'রা) ৫০ শতাংশ শেয়ার সিটি গ্রুপের কাছে বিক্রি করেন। ফলে চ্যানেলটির বর্তমান চেয়ারম্যান সিটি গ্রুপের ফজলুর রহমান।
ডিবিসি
চ্যানেল'টি ২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী চ্যানেলটির চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে শহীদুল আহসান এবং প্রধান সম্পাদক হিসেবে মঞ্জুরুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করছেন।
পক্ষপাতিত্বের সম্ভব্য কারণঃ
আমাদের দেশের সরকার পরিবর্তন হওয়ার সাথে রাস্তার টং থেকে শুরু করে বড়বড় গাড়ি-বাড়ি, চ্যানেল ফেনেল সব কিছুতেই পরিবর্তন আসে। বিরোধীরা কোনরকম নিজেদের অবস্থান থেকে লেজ গুটিয়ে কেটে পড়ে। শুরু হয় সরকার দলের ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, চোর ছেচ্চড়দের রাজত্ব। আওয়ামী সরকারের ছত্রছায়ায় বেড়েওঠা এমন একজন ছিচকে সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু। আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় যাওয়ার পরই তিনি পেয়েছে একটি টিভি চ্যানেল।
হ্যা, মোজা. বাবুর টিভি চ্যানেল ৭১ টিভি অনুমোদন পায় ২০০৯ সালে। ৭১ টিভি নামটি অনৈতিকভাবে দখলের অভিযোগ আছে মোজা বুবুর উপর। গোগলের কল্যাণে উনার অতীত-বর্তমান সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। আসলে উনি অন্ধ, দলকানা, চাটুকার টাইপের একজন বিবেকহীন মানুষ। ৭১'রের চেতনা বিক্রি করে করেই আজকের এই অবস্থান গড়েছেন। সিনহার দুর্নীতির প্রসঙ্গে একদিন উনাকে দেখে এর্টেনি জেনারেল নাকি বলেছিলেন- "এটা তো আরও বড় ক্রিমিনাল, এটাকে আস্তে ধীরে দেখতে হবে।" জেনারেল সাহেব ঠিকই বলেছিলেন, এই মানুষটা বড় মাপের একটা ক্রিমিনাল। আওয়ামীলীগ ক্ষমতা হারালে উনিও হারাবেন কোটি টাকার সংবাদ বিজনেস। হলুদ সাংবাদিকতার অপরাধে জেলও খাটতে হতে পারে। সুতরাং, সরকারের পরিবর্তন তিনি কোন অবস্থাতেই চাইবেন না। ফারজানা রূপাসহ উনার অধীনে যারা কাজ করছেন তারা সবসময় উনাকে খুশি করতে চাইবেন- এটাই স্বাভাবিক।
"ডিবিসি নিউজ" নামক চ্যানেলটির চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সুবাহান এবং পরিচালক শহিদুল আহসান। এই শহীদুল আহসান কিছুদিন আগে দুর্নীতির দায়ে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালক থেকে অপসারিত হয়েছেন। প্রধান সম্পাদক মঞ্জুর ইসলামের কর্মকাণ্ডও তেমন ভালো নয়। সরকার পরিবর্তন হলে তারা তাদের অবস্থান হারাবেন। ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি'r চেয়ারম্যান সালমান এফ রাহমানের কোটি কোটি টাকার বিজনেস লাটে উঠবে। কেউকেউ জেলে পচবে, কেউকেউ দেশ ছেড়ে পালাবেন। এটিএন নিউজের মুন্নি সাহা, সময় টিভির আহমেদ জুবায়ের সহ অন্যান্যরা প্রথম কয়েকদিন নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকবেন; তারপর আস্তে আস্তে ক্ষমতাসীনদের চাটুকারিতা শুরু করবে। ইহাই বাংলাদেশের সংবাদ মিডিয়ার মূল চরিত্র।
(বি.দ্রঃ পোস্টের যাবতীয় তথ্য যথাসম্ভব যাচাইবাছাই করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তবুও ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টি দেখবার অনুরোধ থাকলো। )
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৫:৫৮