আমাদের কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্ট ছিলো না। তবুও সকালে শান্তিপূর্ণভাবে বিপুল ভোটারদের উপস্থিতিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছিলো। তারপর ভোট চুরির খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপির কিছু লোক জড়ো হয়ে প্রতিরোধের চেস্টা করে ব্যর্থ হয়েছে।
ভেতরে প্রিসাইডিং, পোলিং অফিসাররাও নৌকায় ভোট দিচ্ছেন। এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারের দায়িত্বে যারা আছেন তারা আওয়ামী সমর্থক।
আশেপাশের আরো কয়েকটি কেন্দ্রের অবস্থাও প্রায় সেইম। বিএনপি বাধা দিতে গিয়ে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
কেন্দ্রে বিএনপি'র এজেন্ট না থাকার কারণ জানতে চাইলে- বিএনপির নেতাকর্মীরা বললেন, উপজেলা সভাপতি ও সিনিয়র নেতাকর্মীরা গ্রেফতার হওয়ার কারণে দিক নির্দেশনা দেওয়ার কেউ নেই। উপজেলার যারা আছেন তারা বলছে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু কেউ আহত নিহত হলে দায়িত্ব কে নেবে, সেটা পরিস্কার করছেন না। তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়নের কোন কমিটি নেই। এতো রিস্ক নিয়ে প্রাণে বাজি লাগিয়ে কে যাবে এজেন্ট হতে? তাদের কথা সত্য। নিয়ম শৃঙ্খলা, নেতৃত্বহীন একটা দলের জন্য রিস্ক নিয়ে কাজ করা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যাচ্ছেন। কেউ কেউ ভোট দিচ্ছেন, কেউকেউ রানা স্যারের সাথে আলাপ সালাপ করে ফিরে যাচ্ছেন- পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ।
মৌলভীবাজার-১ (বিরাবাজার সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়।)
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫