ভোট কারচুপি করে আওয়ামী নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার আবারো ক্ষমতায় গেছে। ঐক্যফ্রন্ট সহ বাম ডান সব জোট, দলগুলোর সামনে এখন মাত্র দুটো পথ খোলা।
১) দেশের স্বার্থে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্বেচ্ছায় নিজেদের সংগঠন বিলুপ্ত ঘোষণা করা।
২) গণতান্ত্রিকভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অব্যাহত রাখা।
'২নং ওয়ে অর্থাৎ শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন অব্যাহত রাখা' নিয়েই শুরু করি। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মূল্য এদেশে কোনকালেই ছিলো না। আওয়ামীলীগের ডিজিটাল শাসন আমলে তা অকল্পনীয়। ছাত্রছাত্রীদের কোটাসংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনই তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। সরকার যেকোনো শান্তিপূর্ণ আন্দোলনই আগুনের মতো জ্বলে উঠতে অক্সিজেনের ভূমিকা পালন করে। এমতাবস্থায় বিরোধীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া মানে স্বেচ্ছায় আগুনে নিজেদের পোড়ানো। দেশ-মানুষ পুড়ানো।
এবং দোষ না করেও দোষের বুজা ঘাড়ে নেওয়া। সুতরাং, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের চিন্তা না করে ১নং পথে হাটাই('দল, জোট অনির্দিষ্টকালের জন্য বিলুপ্ত ঘোষণা করে চুপ থাকা) তাদের জন্য ভালো। ভালো দেশের জন্যও।
বিরোধীদল চুপ থাকলে বা মাঠে না-থাকলে মিডিয়া তথা সুশীলশ্রেণীর একটা যথোপযুক্ত শিক্ষা হবে। ভোট ডাকাত, সন্ত্রাস, দুর্নীতিবাজদের প্রশ্রয় দেওয়ার পাপ আস্তে আস্তে তাদেরও স্পর্শ করবে। তারা এসবের বিরুদ্ধে কথা বলতে চাইবে। আওয়াজ তুলতে চাইবে। মুক্তি চাইবে। কিন্তু পারবে না। দম আটকে আসা পরিবেশে কাতরাবে।
'আমি তাদের সেই কাতরানো'টা দেখতে চাই।'
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৬