১।
গতকাল রাঙ্গামাটিতে সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের ৬ জন নিহত হয়েছেন। আহতদের মধ্য থেকে ২ জন আজ মারা গেছেন। সিইসি বলেছেন, 'কারা কেন এই ঘটনা ঘটালো আমরা জানিনা। তদন্ত করা হচ্ছে।'
কারা? কেনো এই ঘটনা ঘটালো? হতে পারে পাহাড়ি কোনো জঙ্গি সংগঠন। যাদের নির্বাচনে (অনিয়মের ফলে) হেরে যাওয়া বা নির্বাচনে অংশ না নেওয়া কোনো প্রার্থী, গোষ্ঠী, দল ভাড়া করেছিলো। যাইহোক বিতর্কিত, অস্বচ্ছ এইসব নির্বাচনক ঘিরে সংগঠিত যাবতীয় অশান্তি, প্রাণহানীর দায় নির্বাচন কমিশনের৷ ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি এবং নির্দিষ্ট একটি দলের পক্ষে নির্লজ্জের মতো কর্মকাণ্ড পরিচালনা করায় এদের বিচার হওয়া দরকার।
২।
রাজধানীর যমুনা ফিচারপার্কের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় সহপাঠীর মৃত্যুর প্রতিবাদে এবং নিরাপদ সড়কের দাবীতে আবারো রাস্তায় নেমেছে বিইউপির শিক্ষার্থী'রা। তারা সকাল থেকে দুর্ঘটনাস্থলের আশেপাশে অবস্থান করে সড়ক অবরোধ করে রেখেছে। সকালে সরকারের দায়িত্বশীল মেয়ের ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের শান্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। দুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছিলো। এবং অভিযোগ উঠেছিল, মেয়রের রাস্তা পরিস্কার করবেন কর্মসূচী আছে (শো-অফ) তাই পরিস্কার রাস্তায় নোংরা ফেলা হচ্ছে। বিতর্কিত সেই মেয়রের আশ্বাস গুরুত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা ছিলো না। তবুও তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। হতে পারে এটাও একধরণের লোক দেখানো।
বেলা বাড়ার সঙ্গে আন্দোলনস্থলে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে। আশেপাশের কলেজ ভার্সিটি পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও পথে নেমে আসছে। মিডিয়াপাড়ায় শুরু হয়েছে আলোচনা সমালোচনাসহ নানারকম টকশো, মিথ্যাচার আর চাটুকারিতা...
চলবে কয়েকদিন। তারপর, ছাত্রছাত্রীরা ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরে না গেলে- আস্তে আস্তে সাধারণ মানুষ বিরক্ত হতে শুরু করবে। চাটুকার সাংবাদিকেরা জনভোগান্তির প্রতিবেদন করবে। পুলিশ লাঠিসোঁটা নিয়ে একশনে নামবে, সাথে যোগ দিবে তথাকথিত হেলমেট বাহিনী। শুরু হবে নোংরা রাজনীতি... হামলা, মামলা অত্যাচার আর.....
৩।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুর নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে যোগ দিয়েছেন। এবং শিক্ষার্থীদের উপর হামলা হলে দাতভাঙা জবাব দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন। ডাকসু ভিপি প্রার্থী অবণি সেমান্তিসহ আরো কয়েকজনের ফেবু স্ট্যাটাস থেকে জানতে পারলাম, তিনারা সেখানে ছাত্রদের সাথে আছেন।
সরকারের উচিত আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আর না পারলে, ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া৷ সড়কে রোজ রোজ দুচারজন মরছে। এটা সত্যি বেদনাদায়ক!
৪।
সঠিক পরিকল্পনা, তদারকি ও দুর্নীতিই আমাদের উন্নয়নের অন্তরায়। কয়েকমাস আগে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর একটা প্রতিবেদনে পড়েছিলাম, বরাদ্দকৃত বাজেটের (২০১৭-১৮) ৭৫% শতাংশও খরচ করতে পারেনি ১০ মন্ত্রণালয়।
খোজ নিলে দেখা যাবে, কোনো খাতে কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও লাখ টাকায় কাজ সম্পূর্ণ করা হচ্ছে। এবং দুদক থেকে শুরু করে সবাই দুর্নীতিগ্রস্থ। বেসরকারী চ্যানেল ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির তালাশ, যনুনা টিভির360°'র মতো তদন্তভিত্তিক অনুষ্ঠানগুলোই তার প্রমাণ। অতএব উন্নত দেশ গড়তে হলে দুর্নীতি বন্ধ সহ যোগ্যদের ক্ষমতায় নিয়ে আসতে হবে। আর যোগ্যদের ক্ষমতায় নিয়ে আসার সহজ পথ হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৩:৪৯