দীর্ঘ লাশের সারি আর রক্তে ভেজা জামা
ধরে রাখা যায় কী হৃদয়ের গভীর থেকে
উঠে আসা কান্নার ফোয়ারা ?
তবে কেন এই নৃশংসতা, এই বর্বরতা ?
মানুষ হয়ে মানুষ হত্যার এই বিভীষিকা ?
গ্রামের পর গ্রাম, শহরের পর শহর
যেদিকে চোঁখ যায় দেখি শুধু মৃত্যুর বহর ।
আকাশে যুদ্ধ বিমানের অবিরত মহড়া
তাইতো পাখিগুলো আজ গ্রাম আর শহর ছাড়া,
তাদের কান্নায় ঝরে পড়ে হতাশা
ঐ দূর দিগন্ত রেখায় ভেসে ওঠে ঘোর অমানিশা ।
সাগরের বুকে ভেসে চলে বিশাল রণতরী
দানবীয় হুংকারে পিছুঁ হঠে মানবতার অসহায় আকুতি ।
তাইতো সাগর এতো উত্তাল, বিক্ষুব্ধ , উন্মাতাল
বিদ্রোহী প্রতিটি ঢেউ বার বার ফুঁসে উঠছে
প্রলয়ংকারী গর্জনে, অশান্ত তর্জনে ।
বর্বর সৈন্যরা তাদের ইস্পাত কঠিন হৃদয়ে
তবু এগিয়ে চলে, তারা যান্ত্রিক,
তারা অভ্যস্ত রক্তের ঘ্রাণে,
তারা উদ্ভট নেশায় উন্মত্ত ।
বারুদের তাজা ঘ্রাণ আর গুলাগুলির প্রচন্ড শব্দে
প্রকম্পিত হয়ে ওঠে চারদিক মুহুর্তে
নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা নগ্ন নৃত্য করে
চারদিক ঘিরে তুমুল ছন্দে ।
ধূলায় পদদলিত হয় বিশ্ব মানবতা
ভেঙ্গে চুরমার হয় অজস্র স্বপ্ন
ডুবে যায় আশা-ভরসার অগণিত ছোট ছোট তরী
নিহত হয় ভালোবাসা, নিভৃতে কাঁদে ন্যায়ের বাণী ।
তবু কি থেমে থাকে হিংস্রদের রক্তের নেশা ?
যুগে যুগে হয়েছে যত যুদ্ধ
ট্রয়ের দশ বছর ব্যাপী যুদ্ধ, শতবর্ষী যুদ্ধ
আর প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ,
কেড়ে নিয়েছে শত শত তাজা প্রাণ
মানবতা হয়েছে বিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত
আর ধ্বংস স্তুপের নিঃশব্দ হাহাকারে
পৃথিবী কেঁদেছে অঝোরে অদৃশ্যে ।
তবে আজ আমরা স্বপ্ন দেখতেই পারি
সব মিলে একসাথে নতুন এক বিশ্বের,
আমরা চাইলেই নামবে এবার সেই বিপ্লবী বৃষ্টি ।
হাইড্রোজেন আর পারমাণবিক বোমা মুক্ত এ ধরণীতে
থাকবে না অস্ত্রের ঝন্-ঝনানি
থাকবে না কোনো শীতল যুদ্ধ ।
সব ভেদাভেদ ভুলে, অতীতের ভুলের পাহাড় পেছনে ফেলে
একই মোহনায় একই স্লোগানে মুখরিত হোক এ ধরা
"আমরা জেনেছি বিশ্ব বিজয়ের মন্ত্র
অস্ত্র নয়, রক্ত নয়, নয় লাশের সারি
ভালোবাসা দিয়ে এ বিশ্ব মোরা জয় করতে জানি ।"
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


