এই প্রথমবার কোন ভুটানিজ ফিল্ম দেখলাম।
"Travelers and the magicians"
ওয়ার্ল্ড ট্যুরের অংশ হিসেবেই ছবিটা দেখা। রক্ত মাংশের শরীর নিয়ে কবে বিশ্বভ্রমন করতে পারব কিংবা আদৌ সম্ভব হবে কি না জানি না। সে নিয়ে এখন মাথা ঘামাতেও চাই না। তবে ঘরে বসে বিশ্বভ্রমনের ধান্দায় আছি।
আর সেটা সম্ভব হলে জুল ভার্ণ সাহেবকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বলতে পারব, আশি দিনের কম সময়েও বিশ্ব ভ্রমন করা যায় এবং সেটা ঘরে বসেই... please, don't laugh, হা হা।
ছবি প্রসঙ্গে আসি, "Travelers and magicians" হল প্রথম আন্তর্জাতিক ভুটানিজ ফিল্ম (জেনেছি দেখার পর)। প্রধান চরিত্র ডেনডাপ, তার স্বপ্নের দেশ আমেরিকা। তার এক বন্ধু তাকে জানায় তার সাথে আমেরিকান এম্বাসির ভাল সম্পর্ক আছে। আমেরিকা যাওয়ার ব্যাপারে সে তাকে সাহায্য করতে পারবে।
বন্ধুর চিঠি পাওয়ার সাথে সাথে সে থিম্পুর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বাস মিস করায় তার সাথে দেখা হয় একজন ভিক্ষু, একজন আপেল বিক্রেতা , একজন পেপারমেকার এবং তার উনিশ বছর বয়সী কন্যা সোনমের সাথে।
ভ্রমনপথে ভিক্ষু সবাইকে তাশি নামের একজনের গল্প বলে। যে ঘোড়ায় চড়ে ঘুরে বেড়ানোর সময় পাহাড়ের মধ্যে পথ হারিয়ে ফেলে এবং নিজেকে আবিস্কার করে বনের মধ্যে এক বৃদ্ধ কাঠুরিয়ার বাড়িতে। কাঠুরিয়ার ছিল ডাকি নামের অল্পবয়সী সুন্দরী স্ত্রী, যা দেখে তাশি খুব ঈর্ষা অনুভব করে ।
গল্পটা দুষ্ট ভিক্ষুর লালসা, ইর্ষা এবং খুনের গল্প নিয়ে ।
ভ্রমনপথে তাশির এই গল্প অস্থির প্রকৃতির ডেনডাপ এবং ইনোসেন্ট সোনমের আকর্ষণ শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে সক্ষম হয়। গল্পের শেষে গল্প কথকের কেঁদে ফেলায় দর্শক তাশির এই গল্পটাকে সত্য হিসেবেও ধরে নিতে পারেন।
মোটকথা, আমার ভাল লেগেছে।
এই ছবিটা ভুটান সম্পর্কীয় আমার কিছু কৌতুহল মেটাতেও সক্ষম হয়েছে
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৫৭