ঢাকার বাইরে সাভার দিয়ে যতবারই আসা-যাওয়া করা হয়, সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে বাস থামলে একটা সাইনবোর্ড সবসময়ই চোখে পড়ে -
"রাজা হরিশ চন্দ্রের প্রাসাদ - প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, ঢাকা বিভাগ।"প্রথম যেদিন দেখেছি, সেদিন থেকেই ইচ্ছা দেখার। কিন্তু সময় আর সুযোগ না পাওয়ায় দেখা হয়নি।
কিন্তু ইন্টারনেটে বহু সাইট ঠিকই খুজেছি, কিন্তু আমি আশ্চর্য হলাম বাংলাদেশের কোন সাইটে ঢাকা বিভাগের দর্শনীয় স্থান বা প্রত্নসম্পদ হিসাবে এর নাম বা ছবি কোথাও পেলাম না (কেবল এই লিংকেই একটা ছবি পেয়েছি)।
উইকিপিডিয়ার একটি লিংকে ভারতের সত্যবাদী রাজা হরিশচন্দ্রের বর্ণনা পেলাম যিনি জীবনে কোনদিন মিথ্যা কথা বলেননি। আমি ইতিহাসের ছাত্র না, তাই বুঝতে পারছিনা সেই রাজা আর সাভারে যার প্রাসাদ ছিল, তারা একই লোক কিনা। (কেউ যদি জানেন প্লিজ জানাবেন)।
যাই হোক সময় করে আমি নাজিরকে নিয়ে গেলাম, সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে পূর্বদিকে। স্থানীয় লোকদের সাথে কথা বলে বোঝা গেল একসময় যা প্রাসাদ ছিল, তার প্রায় পুরাটাই নিচের দিকে ডেবে গেছে। অত্যন্ত অবহেলিতভাবে পড়ে থাকা ঢিবির মত যা আছে তাই দেখুন -
১.
২.
৩.
৪.
৫.
৬.
৭.
৮.
৯.
১০.
১১.
১২.
রাজা হরিশ চন্দ্রের প্রাসাদ ঢিবির বোর্ডের নাম ফলক থেকে যা তথ্য পেলাম তা হল -
সাম্প্রতিক (১৯৮৮-৯০) খননে এ ঢিবিতে একটি স্তুপসহ একটি বিহারের ধ্বঙসাবশেষ অনাবৃত হয়েছে। বিহারটি ৩১৯৭ বর্গমি. এবং স্তুপটি ১৭বর্গমি. পরিমাপে নির্মিত। এর ১৫০ মি. পূর্বদিকে রাজাসন নামে আর একটি ঢিবি আছে। এ দু'টি প্রত্নস্থল থেকে বেশ কয়েকটি ভাস্কর্যখচিত পোড়ামাটির টুকরা, ব্রোঞ্জের তৈরি ক্ষুদ্রাকার বৌদ্ধ মূর্তি এবং কিছু স্বর্ণমুদ্রাও আবিস্কৃত হয়েছিল।
ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে জায়গাটির দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:৩৭