মুসলিমবিদ্বেষী হানাদার যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক কথিত দূত স্টিফেন জে র্যাপ কিসের মিশন নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে? সে বাংলাদেশে এসে একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বলেছে, যুদ্ধাপরাধের বিচারে ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের আওতায় বাংলাদেশে গঠিত ট্রাইব্যুনালের আইন ও বিধি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশ্ন রয়েছে। বিষয়টি সরকারের সঙ্গে আলোচনা শেষে মার্কিন কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে আপত্তি জানাবে বলেও জানায় সে। বিষয়টি ঘোর রহস্যজনক এবং উদ্দেশ্যমূলক। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের কথিত দূত স্টিফেন জে র্যাপ কারাবন্দি যুদ্ধাপরাধী জামাত নেতাদের আইনজীবীর সাথে বৈঠকও করেছে। এতে রহস্য আরো ঘনীভূত হয়েছে। সে কি তাহলে ধর্মব্যবসায়ী জঙ্গি যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর মিশন নিয়ে এসেছে?
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টায় বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশনের গুলশানস্থ বাসভবনে যুদ্ধাপরাধী জামাত নেতাদের আইনজীবীর সাথে রহস্যময় বৈঠকটি হয়। প্রায় এক ঘণ্টাস্থায়ী বৈঠকে একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া এবং আইন ও বিধির সমস্যা ও দুর্বলতা নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় আইনজীবীদের পক্ষ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন ছাড়াই অভিযুক্তদের আটকের বিষয়টি তুলে ধরে বলা হয়, এটি সংবিধান ও আইনের লঙ্ঘন। এখন পর্যন্ত ট্রাইব্যুনাল থেকে আসামিপক্ষকে অভিযোগপত্র কিংবা এজাহারের কপি সরবরাহ করা হয়নি। এমনকি ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমের কোনো কাগজপত্র দেয়া হচ্ছে না।
যুদ্ধাপরাধী জামাত নেতাদের আইনজীবীরা ট্রাইব্যুনালের গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে হানাদার যুক্তরাষ্ট্রের কথিত দূত স্টিফেনকে অবহিত করে বলে যে, ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অন্তরবর্তী আদেশের জন্য অন্য কোনো আদালতে যাবার সুযোগ নেই। যা সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার পরিপন'ী। এ প্রসঙ্গে তারা ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের মধ্যবর্তী অন্য কোনো আদালতের সুযোগ সৃষ্টির জন্য স্টিফেনের সহযোগিতা কামনা করে।
বৈঠকে ছয় সদস্যের আইনজীবী দলের নেতৃত্ব দেয় এডভোকেট তাজুল ইসলাম। দলের অপর সদস্যরা হলো- ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার এহসান, ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন, ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ আল-আমিন ও ডানিয়া খন্দকার।
এডভোকেট তাজুল ইসলাম সাংবাকিদের জানায়, স্টিফেন জে র্যাপের আমন্ত্রণেই আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। সে আমাদের কাছে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া এবং এ সংক্রান্ত আইন ও বিধির দুর্বলতা ও সমস্যা জানতে চেয়েছে। উল্লেখ্য, কথিত দূত স্টিফেন জে র্যাপ চার দিনের সফরে গত সোমবার ঢাকায় এসেছেবিস্তারিত ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




