সৃষ্টির শুরু থেকেই জীব সমুহ দুভাগে বিভক্ত। এক ইসলাম বা শান্তির পক্ষ জীব, দুই অ-ইসলাম বা অশান্তির পক্ষ জীব। যাহার চিন্তা, বাক্য ও কর্ম, নিজের, সমাজের, দেশের তথা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে নিয়োজিত সেই ইসলাম বা শান্তি ধর্মের জীব। যাহার চিন্তা, বাক্য ও কর্ম, নিজের, সমাজের, দেশের তথা বিশ্ব অ-শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে নিয়োজিত সেই অ-ইসলাম বা অ-শান্তি ধর্মের জীব নামে বিবেচ্য।
সৃষ্টির শুরু থেকেই সকল প্রজাতীর জীব হতে, যে সকল জীব ইসলাম পন্থি ছিল, তাহারা নিজেরা আহরণ ও শিকারের মাধ্যমে সম-অধিকারে জীবিকা নির্বাহ করতো। তারা মারামারি কাটাকাটি করতো না। তারা বুঝতো সকলে মিলে আহরণ ও শিকার করতে হবে, কে বেশি বা কে কম অহরণ করেছে তাহা দেখার বিষয় ছিল না, যে যতটুকুই আহরণ করুক না কেন আহরিত সকল কিছু, সকলে মিলে সমান ভাবে ভোগ করতো ও একে অপরের বিপদে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতো। তখন যার সাথে যার মনের মিল হতো তার সাথেই দলবদ্ধ হয়ে আহরণ বা শিকারের জন্য এক স্থান হতে অন্য স্থানে যাযাবরের মত ঘুরে বেড়াতো। তবে তারা ছিল শান্তি প্রিয়। এবং তারা নিশ্চিত বিশ্বাস করতো যে, সম-অধিকার ছাড়া শান্তিতে থাকা যায় না। আর ইহারাই ছিল প্রথম থেকে ইসলাম বা শান্তি দলের লোক। আর সৃষ্টির শুরু থেকেই সকল সন্তান তার বাবাকে না চিনলে ও না জানলেও তারা তার মাকে নিশ্চিত ভাবে চিনতো ও জানতো। এবং প্রত্যেক মা ই তার সন্তানকে আদরে প্রতিপালন করতো ও ইসলাম পন্থি সন্তানেরা নিজ মাতাকে দেখভাল করতো।
তখন তারা যদিও পশুর মতই সকলের সামনে সহবাস করতো। পিতা নিজ কন্যাকে ও ভাই আপন বোনের সহিত সহবাস করতো। তবে তাহারা জোর করে কাহাকেও সহবাস করতো না। তখন বিবাহ বলে কোন বিষয় ছিল না। যার যাহাকে ভালো লাগতো ও মনের মিল হতো সেই তাহার সহিত সহবাস করতো। তবে আজ থেকে প্রায় লক্ষ বছর আগে মানুষ লক্ষ করে যে- আপন ভাই বোনে বা পিতা নিজ কন্যাকে সহবাসের ফলে বিকলাঙ্গ ও প্রতিবন্ধি সন্তানের জন্ম হয। কেন না তাহারা দলবদ্ধ ভাবে এক সাথে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত অবস্থান করতো। তাই তাদের চোখে এগুলি ধরা পড়তো। আর তখন থেকেই আপন ভাই বোনে সহবাস ও পিতা নিজ কন্যাকে অথবা মাতা নিজ পুত্রের সহিত সহবাস বন্ধ করে। আর এসকল বিষয় আবিস্কার করে ইসলাম পন্থিরা, কোন অ-ইসলামীরা নয়।
আর সেই লাখ বছর আগে থেকেই মানুষ সহবাসে গোপনীয়তা রক্ষা করতে শেখে। তারা আর পশুর মত সকলের সামনে সহবাস বা পিতা নিজ কন্যাকে, মাতা নিজ পুত্রকে, খালা নিজ ভাগ্নেকে এবং ভাই আপন বোনকে সহবাস বন্ধ করে দেয়। এবং তারা গাছের লতা পাতা ও পশুর চামড়া দিয়ে লজ্জাস্থান ঢাঁকতে শেখে, আর তাও এই ইসলামী দলেরাই, অ-ইসলামীরা নয়। তার মানে সেই সৃষ্টি থেকে যত সভ্যতা বা যত শান্তির আইন তার সকলই করেছে এই ইসলাম পন্থিরা, কোন ইসলাম বিদ্বেষীরা নয়।
আর যাহারা অ-ইসলামী বা শান্তি বিরোধী ছিলো, তাহারা নিজেরা আহরণ বা শিকার করতো না। তারা করতো লুণ্ঠন। ইসলাম পন্থি বা শান্তি প্রীয় জীবেরা যখন অহরণ বা শিকার করতো, তখন ইসলাম বিরোধীরা জোর করে তাদের কাছ থেকে আহরিত ফলমূল ও শিকারের পশু লুট করে নিতো। যারা তাদের লুণ্ঠনে বাধা দিত তারা তাদেরকে হত্যা করতো। তারা তাদের জন্ম দাত্রীর সেবা করতো না। তারা কাহারও বিপদে সাহায্য করতো না।আর এভাবেই তারা মহাবিশ্বে ইসলাম বা শান্তি বিনষ্ট করতো। তারা জোর করে নারী দিগকে তুলে নিয়ে যেত ও ধর্ষণ করতো। এই অ-ইসলামী বা অ-শান্তি সৃষ্টিকারী দলটি কোন কিছুই আবিস্কার করেনি। তবে ইসলাম পন্থিদের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আবিস্কৃত বিষয়গুলিকে অ-শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজে ব্যবহার করেছে। এই প্রক্রিয়া সৃষ্টির সকল প্রাণীতেই বিদ্যমান। এখানে শুধু মাত্র মানুষ প্রজাতী নিয়ে লিখতে চাই, তাই আমি মানুষের ইসলাম ও অ-ইসলামি বিষয় উপস্থাপনের চেষ্টা করবো।
চলবে-
সত্য সহায়। গুরুজী।।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যাহার চিন্তা বাক্য ও কর্ম, নিজের, সমাজের, দেশের তথা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে নিযোজিত, সেই ইসলাম বা শান্তি ধর্মের লোক। তা সে যে সম্প্রদায়েরই হউক না কেন।
আর- যাহার চিন্তা বাক্য ও কর্ম, নিজের, সমাজের, দেশের তথা বিশ্ব অ-শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে নিযোজিত, সেই অ-ইসলাম বা অ-শান্তি ধর্মের লোক। তা সে যে সম্প্রদায়েরই হউক না কেন। সেরু পাগলার বাণী।।