somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সৃষ্টি থেকে মুসলমানদের অবদান ও অ-মুসলিমদের অত্যাচারের ইতিহাস। (পর্ব=২)

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অসীম স্রষ্টাময় বৃত্তের মাঝে সসীম মহাবিশ্ব ঘুর্ণায়মাণ। সে বৃত্তের মাঝে নক্ষত্রেরা প্রজননের মাধ্যমে নক্ষত্রের জন্ম দিচ্ছে। সে নক্ষত্রেরা শিশু থেকে কিশোর, কিশোর থেকে যুবা ও বৃদ্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করে চলেছে, যেমনটি পৃথিবী নামক গ্রহে মানুষ সহ অন্যান্য জীবেরা করছে। এভাবেই কারও আয়ু লক্ষকোটি বছর আবার কারও আয়ু মাত্র কয়েক সেকেন্ড। এই কয়েক লক্ষকোটি বছর আযূ প্রাপ্তরা যেমন প্রজননের মাধ্যমে বংশ বৃদ্ধি করছে ঠিক তেমনি কয়েক সেকেন্ড আয়ু প্রাপ্ত জীবও এই কযেক সেকেন্ডেই প্রজননের মাধ্যমে বংশ বৃদ্ধি করে মৃত্যু বরণ করছে।

সসীম মহাবিশ্বে উপগ্রহেরা ঘুরছে গ্রহকে কেন্দ্র করে, গ্রহেরা ঘুরছে নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে, নক্ষত্রেরা ঘুরছে নবীকে কেন্দ্র করে আর নবীরা ঘুরছে আল্লাহময় বৃত্তের মাঝে। এই অসীম আল্লাহময় বৃত্তের মাঝে সসীম মহাবিশ্বের অবস্থান। পৃথিবী নামক গ্রহে প্রতিটি প্রাণীই এক একটি নক্ষত্রের মত। যাহাকে কেন্দ্র করে ঘুরছে গ্রহ ও উপ-গ্রহেরা। আর সে সকল গ্রহ ও উপগ্রহে রয়েছে কোটি কোটি প্রজাতীর প্রাণী সমুহ। আর প্রতিটি প্রণীর মধ্যেই আল্লাহ বর্তমান।

সম্মানীত পাঠক-

আসুন আমরা মানুষের মুসলিম ও অমুসলিম বিষয়ের আলোচনায় ফিরে যায়।

সেই লাখ বছর আগেই মানুষ আগুনের ব্যবহার শেখে। সে সময় মানুষের সবচেয়ে বড় ভয়ঙ্কর সময় ছিল রাত। কেন না রাতের বেলা অন্ধকারে তারা কিছুই দেখতে পাইতো না। তখন তাদের উপর হিঙস্র পশুরা আক্রমণ করতো ও খেয়ে ফেলতো। বজ্রপাতেই হউক আর কাঠে কাঠে ঘর্ষণ লেগেই হউক জঙ্গলের ভিতর আগুনের সৃষ্টি হয়। এই আগুন তাদের রাতের আঁধার তাড়াতে ও শীত নিবারণের জন্য কাজে লাগায়, তারা কাঠ সংগ্রহ করে এনে তা দিয়ে আগুন দীর্ঘদিন ধরে রাখার চেষ্টা করে।

তখন মানুষ সমস্ত কিছুই কাঁচা খেত। একদিন হঠাত করে একটা আহত পশু তাদের সংগৃহিত আগুনের মাঝে পড়ে যায়। তারা সেই আগুন থেকে পশুটিকে সরিয়ে আনতে আনতেই পশুটির কিছু অংশ সিদ্ধ হয়ে যায়। তখন তারা লক্ষ করে সিদ্ধ অবস্থায় পশুর মাংস ছিড়তে যেমন বেগ পেতে হয না, তেমনি ইহা কাঁচা মাংস অপেক্ষা সু-স্বাদুও। আর তখন থেকেই শুরু হয় মানুষের সিদ্ধ করে খাওয়ার সূত্রপাত। আর এ সকলই করেছে ইসলাম বা শান্তি ধর্মের দলের লোকেরা অ-ইসলামীরা নয়।

তবে এই আগুনের ব্যবহারে অ-ইসলামীরা যে কিছুই আবিস্কার করে নি তা নয়। তারা তখন আবিস্কার করেছে যে, যে তাদের অবাধ্য হবে বা তাদের লুটের সময় বিরোধীতা করবে তাদেরকে ধরে আগুনে নিক্ষেপ ও জ্বলন্ত আগুনের লাকড়ির ছ্যাকা দিয়ে সায়েস্তা করা। এবং পরবর্তিতে বিরোধীতা করলে আগুনে নিক্ষেপের ভয় দেখানো। আর এভাবেই তারা নির্যাতন করে আসছে সেই সৃষ্টির শুরু থেকে আজ অবধি।

তখন মানুষেরা গাছে ঘুমাতো ও বিশ্রাম নিতো। কেন না নিচে হিংস্র পশুর আক্রমনের ভয় ছিল। আগুন আবিস্কারের পরে তারা আগুনের উপকারীতা লাভের জন্যই তারা গুহার আবিস্কার করে। কেন না সে সময় আগুন জ্বালিয়ে রাখার জন্য কাঠের অভাব না থাকলেও বৃষ্টির পানি তাদের আগুনকে নিভিয়ে দেয়। তাই তারা আগুন সংরক্ষণের জন্য গুহা সৃষ্টি করে। বৃষ্টিতে তারা নিজেরা ভিজলেও গুহার ভিতরে আগুনের সংরক্ষণে স্বচেষ্ট ছিল। আগুন আবিস্কারের পরে তারা ধিরে ধিরে প্রায় পাঁচ হাজার বছরের ব্যবধানে খাবার সমুহ সিদ্ধ করে খাওয়া, তাতে লবন দিয়ে খাওয়া ও গুহাবাস শুরু করে।

আগুন আবিস্কারের বহু পূর্বেই লবনের আবিস্কার করে ফেলে। সে সময় মানুষের পানির জন্য নদি বা সাগরই ছিল প্রধান উতস। এ ছাড়াও বৃষ্টির পানিও তাদের খাবার পানির আরেকটি উতস ছিল। তবে বৃষ্টির পানি তো আর সব সময় পাওয়া যায় না। তাই তারা নদি ও সাগরের পানির উপরই নির্ভরশীল ছিল। সে সময় তারা সাগরে পানি খেতে গিয়ে, সংগে নেওয়া আহরিত ফল বা মাংস সাগর পাড়ের লবন পলিতে পড়ে যাওয়াই ও ধৌত না করে সেই ফল বা মাংস খেতে গিয়ে, লবনহীন ফল বা মাংস অপেক্ষা লবণসহ ফল বা মাংস খেতে স্বাদ লাগায়, তারা খাবারে সাথে লবণ ব্যবহার শুরু করে। আর তা আবিস্কার করে এই মুসলমানেরাই, অ-মুসলিমেরা নয়।

মুসলমান কর্তৃক লবণ আবিস্কারের পরে অ-মুসলিমেরা এই লবণের ব্যবহার শুরু করে মানুষকে অত্যাচার করার জন্য। তারা দেখে দেহের কাটা ও ছেড়া যায়গায় লবণ লাগলে জ্বালানী পোড়ানি শুরু হয়ে যায়। তখন থেকেই তারা, যে তাদের অবাধ্য হতো তাদেরকে কাঠ দিয়ে শরিরে ক্ষত সৃষ্টি করে সেখানে লবণ মাখিয়ে দিত। আর এভাবেই তারা সেই সৃষ্টি থেকে এ পর্যন্ত মুসলমানদের প্রতি অত্যাচার ও নির্যাতন করে চলেছে।

চলবে--

সত্য সহায়। গুরুজী।।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যাহার চিন্তা বাক্য ও কর্ম, নিজের, সমাজের, দেশের তথা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে নিযোজিত, সেই ইসলাম বা শান্তি ধর্মের লোক। তা সে যে সম্প্রদায়েরই হউক না কেন।

আর- যাহার চিন্তা বাক্য ও কর্ম, নিজের, সমাজের, দেশের তথা বিশ্ব অ-শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে নিযোজিত, সেই অ-ইসলাম বা অ-শান্তি ধর্মের লোক। তা সে যে সম্প্রদায়েরই হউক না কেন। সেরু পাগলার বাণী।।
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×