অসীম স্রষ্টাময় বৃত্তের মাঝে সসীম মহাবিশ্ব ঘুর্ণায়মাণ। সে বৃত্তের মাঝে নক্ষত্রেরা প্রজননের মাধ্যমে নক্ষত্রের জন্ম দিচ্ছে। সে নক্ষত্রেরা শিশু থেকে কিশোর, কিশোর থেকে যুবা ও বৃদ্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করে চলেছে, যেমনটি পৃথিবী নামক গ্রহে মানুষ সহ অন্যান্য জীবেরা করছে। এভাবেই কারও আয়ু লক্ষকোটি বছর আবার কারও আয়ু মাত্র কয়েক সেকেন্ড। এই কয়েক লক্ষকোটি বছর আযূ প্রাপ্তরা যেমন প্রজননের মাধ্যমে বংশ বৃদ্ধি করছে ঠিক তেমনি কয়েক সেকেন্ড আয়ু প্রাপ্ত জীবও এই কযেক সেকেন্ডেই প্রজননের মাধ্যমে বংশ বৃদ্ধি করে মৃত্যু বরণ করছে।
সসীম মহাবিশ্বে উপগ্রহেরা ঘুরছে গ্রহকে কেন্দ্র করে, গ্রহেরা ঘুরছে নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে, নক্ষত্রেরা ঘুরছে নবীকে কেন্দ্র করে আর নবীরা ঘুরছে আল্লাহময় বৃত্তের মাঝে। এই অসীম আল্লাহময় বৃত্তের মাঝে সসীম মহাবিশ্বের অবস্থান। পৃথিবী নামক গ্রহে প্রতিটি প্রাণীই এক একটি নক্ষত্রের মত। যাহাকে কেন্দ্র করে ঘুরছে গ্রহ ও উপ-গ্রহেরা। আর সে সকল গ্রহ ও উপগ্রহে রয়েছে কোটি কোটি প্রজাতীর প্রাণী সমুহ। আর প্রতিটি প্রণীর মধ্যেই আল্লাহ বর্তমান।
সম্মানীত পাঠক-
আসুন আমরা মানুষের মুসলিম ও অমুসলিম বিষয়ের আলোচনায় ফিরে যায়।
সেই লাখ বছর আগেই মানুষ আগুনের ব্যবহার শেখে। সে সময় মানুষের সবচেয়ে বড় ভয়ঙ্কর সময় ছিল রাত। কেন না রাতের বেলা অন্ধকারে তারা কিছুই দেখতে পাইতো না। তখন তাদের উপর হিঙস্র পশুরা আক্রমণ করতো ও খেয়ে ফেলতো। বজ্রপাতেই হউক আর কাঠে কাঠে ঘর্ষণ লেগেই হউক জঙ্গলের ভিতর আগুনের সৃষ্টি হয়। এই আগুন তাদের রাতের আঁধার তাড়াতে ও শীত নিবারণের জন্য কাজে লাগায়, তারা কাঠ সংগ্রহ করে এনে তা দিয়ে আগুন দীর্ঘদিন ধরে রাখার চেষ্টা করে।
তখন মানুষ সমস্ত কিছুই কাঁচা খেত। একদিন হঠাত করে একটা আহত পশু তাদের সংগৃহিত আগুনের মাঝে পড়ে যায়। তারা সেই আগুন থেকে পশুটিকে সরিয়ে আনতে আনতেই পশুটির কিছু অংশ সিদ্ধ হয়ে যায়। তখন তারা লক্ষ করে সিদ্ধ অবস্থায় পশুর মাংস ছিড়তে যেমন বেগ পেতে হয না, তেমনি ইহা কাঁচা মাংস অপেক্ষা সু-স্বাদুও। আর তখন থেকেই শুরু হয় মানুষের সিদ্ধ করে খাওয়ার সূত্রপাত। আর এ সকলই করেছে ইসলাম বা শান্তি ধর্মের দলের লোকেরা অ-ইসলামীরা নয়।
তবে এই আগুনের ব্যবহারে অ-ইসলামীরা যে কিছুই আবিস্কার করে নি তা নয়। তারা তখন আবিস্কার করেছে যে, যে তাদের অবাধ্য হবে বা তাদের লুটের সময় বিরোধীতা করবে তাদেরকে ধরে আগুনে নিক্ষেপ ও জ্বলন্ত আগুনের লাকড়ির ছ্যাকা দিয়ে সায়েস্তা করা। এবং পরবর্তিতে বিরোধীতা করলে আগুনে নিক্ষেপের ভয় দেখানো। আর এভাবেই তারা নির্যাতন করে আসছে সেই সৃষ্টির শুরু থেকে আজ অবধি।
তখন মানুষেরা গাছে ঘুমাতো ও বিশ্রাম নিতো। কেন না নিচে হিংস্র পশুর আক্রমনের ভয় ছিল। আগুন আবিস্কারের পরে তারা আগুনের উপকারীতা লাভের জন্যই তারা গুহার আবিস্কার করে। কেন না সে সময় আগুন জ্বালিয়ে রাখার জন্য কাঠের অভাব না থাকলেও বৃষ্টির পানি তাদের আগুনকে নিভিয়ে দেয়। তাই তারা আগুন সংরক্ষণের জন্য গুহা সৃষ্টি করে। বৃষ্টিতে তারা নিজেরা ভিজলেও গুহার ভিতরে আগুনের সংরক্ষণে স্বচেষ্ট ছিল। আগুন আবিস্কারের পরে তারা ধিরে ধিরে প্রায় পাঁচ হাজার বছরের ব্যবধানে খাবার সমুহ সিদ্ধ করে খাওয়া, তাতে লবন দিয়ে খাওয়া ও গুহাবাস শুরু করে।
আগুন আবিস্কারের বহু পূর্বেই লবনের আবিস্কার করে ফেলে। সে সময় মানুষের পানির জন্য নদি বা সাগরই ছিল প্রধান উতস। এ ছাড়াও বৃষ্টির পানিও তাদের খাবার পানির আরেকটি উতস ছিল। তবে বৃষ্টির পানি তো আর সব সময় পাওয়া যায় না। তাই তারা নদি ও সাগরের পানির উপরই নির্ভরশীল ছিল। সে সময় তারা সাগরে পানি খেতে গিয়ে, সংগে নেওয়া আহরিত ফল বা মাংস সাগর পাড়ের লবন পলিতে পড়ে যাওয়াই ও ধৌত না করে সেই ফল বা মাংস খেতে গিয়ে, লবনহীন ফল বা মাংস অপেক্ষা লবণসহ ফল বা মাংস খেতে স্বাদ লাগায়, তারা খাবারে সাথে লবণ ব্যবহার শুরু করে। আর তা আবিস্কার করে এই মুসলমানেরাই, অ-মুসলিমেরা নয়।
মুসলমান কর্তৃক লবণ আবিস্কারের পরে অ-মুসলিমেরা এই লবণের ব্যবহার শুরু করে মানুষকে অত্যাচার করার জন্য। তারা দেখে দেহের কাটা ও ছেড়া যায়গায় লবণ লাগলে জ্বালানী পোড়ানি শুরু হয়ে যায়। তখন থেকেই তারা, যে তাদের অবাধ্য হতো তাদেরকে কাঠ দিয়ে শরিরে ক্ষত সৃষ্টি করে সেখানে লবণ মাখিয়ে দিত। আর এভাবেই তারা সেই সৃষ্টি থেকে এ পর্যন্ত মুসলমানদের প্রতি অত্যাচার ও নির্যাতন করে চলেছে।
চলবে--
সত্য সহায়। গুরুজী।।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যাহার চিন্তা বাক্য ও কর্ম, নিজের, সমাজের, দেশের তথা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে নিযোজিত, সেই ইসলাম বা শান্তি ধর্মের লোক। তা সে যে সম্প্রদায়েরই হউক না কেন।
আর- যাহার চিন্তা বাক্য ও কর্ম, নিজের, সমাজের, দেশের তথা বিশ্ব অ-শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে নিযোজিত, সেই অ-ইসলাম বা অ-শান্তি ধর্মের লোক। তা সে যে সম্প্রদায়েরই হউক না কেন। সেরু পাগলার বাণী।।