somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সৃষ্টি থেকে মুসলমানদের অবদান ও অ-মুসলিমদের অত্যাচারের ইতিহাস। (পর্ব=৪)

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ থেকে আনুমানিক আট হাজার বছর পূর্বে এই পৃথিবীতে জন্ম গ্রহন করেন আদম। তিনি দেখেন তাদের কষ্টের ফলানো ফসলের অর্ধেক দিয়ে দিতে হয় নমরুদ নামের এক যালিমকে। যদিও নমরুদ ও নমরুদের দলের লোকেরা ছিলে প্রচণ্ড অত্যাচারী। তারা শান্তিতে বসবাসকারী ইসলাম পন্থিদের যুবতি মেয়েদেরকে তুলে নিযে যেত। তাদেরকে ধর্ষণ করতো সেবা দাসী হিসাবে রেখে দিতো। আবার যখন সে সকল মেয়েরা গর্ভবতি হতো তখন তাদেরকে হয মেরে ফেলে তার পিতা মাতার কাছে লাশ পাঠিয়ে দিতো, নয় গর্ভাবস্থায় তাকে তার বাবা মায়ের কাছে পঠিয়ে দিতো। এসকল বিষয় আদম মেনে নিতে পারে না। তখন তিনি ইসলাম পন্থিদের নিয়ে নমরুদ ও তার দলের বিরুদ্ধে একটি দল গঠন করেন। তখন এই আদম প্রথম প্রচার করেন যে, সমস্ত সৃষ্টির মালিক আল্লাহ। এই আকাশ, এই বাতাস, এই সূর্য্য, চন্দ্র ও পৃথিবী সবই আল্লাহর সৃষ্টি। আমরা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাহাকেও এ সকল সৃষ্টির মালিক মানবো না। আমরা আর কাহাকেও আমাদের উতপাদিত পণ্যের অংশ দিব না।

যালিম নমরুদ তার দলবল নিয়ে ইসলাম পন্থিদের উপর আক্রমণ করলো। আদমের দলের কাছে তারা পরাজিত হলো। নমরুদের দলের অধিকাংশ লোক যখন আদমের দলের লোকের হাতে মৃত্যু বরণ করলো, তখন তারা পিছু হটতে বাধ্য হলো। তখন আদমের দলের লোকেরা খুজে খুজে নমরুদের দলের লোকদেরকে মারতে থাকলো এবং এক সময় নমরুদের দল বলে আর কিছুই থাকলো না। আবার পৃথিবীতে শুরু হলো ইসলামের যুগ সাম্যের যুগ । সম-অধিকারের যুগ। আবার তারা নিজেদের উতপাদিত সম্পদ নিজেরা ভোগ করতে লাগলো। আর কাউকেই তাদের সম্পদের ভাগদিতে হলো না। ততকালিন সময়ের আইন ছিল এলাকা ভিত্তিক জতজনে আবাদ করবে তারা সকলেই সমান ভাবে তা ভাগ করে নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করবে। কোন এলাকায় ফসল উতপাদিত না হলে সকল এলাকা থেকে সেই এলাকাকে একটি অংশ দিয়ে দিতে হবে। অর্থাত শিশু থেকে বৃদ্ধ কর্মঠ থেকে অ-কর্মঠ সকলেই সে সম্পদের সম-ভাগ পাবে। তবে প্রত্যেক কর্মক্ষম ব্যাক্তিকেই বাধ্যতা মূলক কর্ম করতে হবে।

এভাবেই আদম পরিবার এক নাগাড়ে ১১০০ বছর রাজত্ব করেন। মানুষ সুখে শান্তিতে বাস করছিল। ধিরে ধিরে জনসংখ্যা বাড়তে থাকে। নমরুদের দলের লোকেরা যারা জীবিত ছিল, তারা তখন আদমের রাজ্যে আদমের আইন মত চলতে বাধ্য হলো। নমরুদের দলের লোকেরা আদমের আইন মত চললেও তারা ইসলাম পন্থিদের মধ্য হতে হিংস্র ও লোভী লোক গুলিকে চিহ্নিত ও একত্রতি করতে লাগলো। তারা আদমের দলের হিংস্র ও লোভী লোক গুলিকে বুঝাতে লাগলো যে, এই সম-অধিকার আইন সঠিক নয। কেন না আমি বেশি উতপাদন করবো আমি ভালো থাকবো আরেক জন উতপাদন করতে পারবে না তাকে কেন আমরা ভাগ দিতে যাবো? আর আল্লাহ যদি সম অধিকারে বিশ্বাসী হয় বা সম-অধিকারী হয়, এবং এটা যদি আল্লাহর আইন হয়, তাহলে আল্লাহ সকলকে এক রকম করে সৃষ্টি করেন না কেন? কেন তিনি পঙ্গু, বিকলাঙ্গ, অন্ধ ও বোবা সৃষ্টি করেন। কেন তিনি সাদা ও কালো বর্ণের মানুষ সৃষ্টি করেন। কেন তিনি সবাইকে এক রকম সৃষ্টি করেন না? কেন সকল জমিতে এক রকম ফসল হয় না? কেন সকল ফলের স্বাদ এক রকম নয়?

আদমের কাছে সৃষ্টির এই বৈষম্যের কারণ জানতে চাইলে আদম এর কোন সুন্দর মিমাংসা দিতে পারলো না। তিনি বললেন এ সকল আল্লাহর সৃষ্টি। আল্লাহই অন্ধ, বোবা, ল্যংড়া, সাদা ও কালো সৃষ্টি করেন। তিনিই জানেন কোন জমিতে কি ফসল হবে এবং তিনিই নির্ধারণ করেন কোন ফলের কি স্বাদ হবে। তখন নমরুদের লোকেরা বললো, যদি আল্লাহই এই বৈষম্য ভাবে সৃষ্টি করেন। তাহলে তার আইন সম-অধিকার হয় কি ভাবে? তখন আদম তার জবাব দিতে পারলো না। তখন হিংস্র, লোভী ও শক্তিশালি লোকগুলি একত্রীত হলো নমরুদের দলের লোকের সাথে। নমরুদের লোকেরা বললো, আমরা যারা বেশি শক্তিশালি তারা বেশি পরিশ্রম করতে পারবো। বেশি উতপাদন করতে পারবো। আর যারা কম শক্তিশালি তারা কম উতপাদন করতে পারবে। তারা এবং আমরা সমান ভাবে চলতে পারি না।

এভাবে ধিরে ধিরে নমরুদের দলের লোকেরা আদমের দলের লোক হতে লোভী, হিংস্র ও শক্তিশালী লোকগুলি সংগঠিত করে আদমের আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলো। এবং তারা বললো আজ থেকে আমরা আর আদমের আইন মানবো না। আদম সম-অধিকার টিকিয়ে রাখার চেষ্টায় ব্যর্থ হলেন। প্রায় ১১০০ বছর সম-অধিকারে চলার পরে নমরুদের গড়া সেই দল, নমরুদের নাম বাদ দিয়ে, তখনকার তাদের দলের দলনেতা ফেরাউনের নামানুসারে, ফেরাউনের দলনামে আত্মপ্রকাশ করলো। এই ফেরাউনের দলের লোকের কাছে আদম পরিবার তথা ইসলামী দলটি পরাজয় বরণ করে। পৃথিবীতে আবার চালু হযে যায় ফেরাউনের নামে নমরুদের রাজত্ব। তারা আবার সকল মানুষের কাছ থেকে আবাদী ফসলের অর্ধেক ভাগ নিতে থাকে। আবার সকল মানুষ নির্যাতিত হতে থাকে এই ফেরাউনের দলের হাতে।

ফেরাউনের দল ক্ষমতা দখলের পরে আনুমানিক ৬০০ বছর পরে, নুহের পরিবারে শামের জন্ম হয়। বয়ঃপ্রাপ্ত হলে শাম আবার এই ফেরাউন দলের অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং ইসলাম পন্থিদের সংঘবদ্ধ করতে শুরু করেন।

চলবে-

সত্য সহায়। গুরুজী।।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যাহার চিন্তা বাক্য ও কর্ম, নিজের, সমাজের, দেশের তথা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে নিযোজিত, সেই সত্য ও শান্তি ধর্মের লোক। তা সে যে সম্প্রদায়েরই হউক না কেন।

আর- যাহার চিন্তা বাক্য ও কর্ম, নিজের, সমাজের, দেশের তথা বিশ্ব অ-শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে নিযোজিত, সেই অ-সত্য ও অ-শান্তি ধর্মের লোক। তা সে যে সম্প্রদায়েরই হউক না কেন। সেরু পাগলার বাণী।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন পারাবার: শঠতা ও প্রতারণার উর্বর ভূমি

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪০


অনার্সের শেষ আর মাস্টার্সের শুরু। ভালুকা ডিগ্রি কলেজের উত্তর পার্শ্বে বাচ্চাদের যে স্কুলটা আছে (রোজ বাড কিন্ডারগার্টেন), সেখানে মাত্র যোগদান করেছি। ইংরেজি-ধর্ম ক্লাশ করাই। কয়েকদিনে বেশ পরিচিতি এসে গেল আমার।

স্কুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×