somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেশের সংবাদপত্রগুলোতেও ধ্বংসের আলামত

২৬ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


জাতি হিসেবে যোগ বিয়োগের অঙ্ক আমরা অনেক সময় মেলাই। স্বাধীনতা বা বিজয় দিবসের মতো পরম অর্জনের দিনগুলোতে এই যোগ বিয়োগ আরো বেশি করে উঠে আসে। সেই হিসাব করলে দেখতে পাই স্বাধীনতার পর থেকে কেটে যাওয়া এই সময়ে আমাদের অর্জন যতোটা তার চেয়ে অনেক বেশি বিসর্জন। বারবার অনেক ধরনের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আমরা একে একে কতো যে প্রতিষ্ঠানকে অকার্যকর করে ফেলেছি তার হিসাব নাই। এক অর্থে আমাদের রাষ্ট্রের একেকটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হতে থাকে আর জাতি হিসাবে আমাদের বিপন্ন ভবিষ্যত চোখের সামনে ভেসে ওঠে।
এভাবেই আমরা সব খুইয়ে ফেলছি। সামনে আমাদের জন্য কি অপো করছে তা সুনির্দিষ্ট করে বলে দেবে এমন কোন প্রতিষ্ঠানও মনে হয় আমরা বাঁচিয়ে রাখতে পরিনি। এসব অবশ্য অন্য বিষয়। তবে আজকে যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাই তা হলো আমাদের সংবাদপত্র। এতোদিন এগুলোকে নিয়ে অনেক ােভ আমাদের ছিলো। তবে আমরা কেউই আসলে আমাদের কোন প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হোক তা চাই না। কিন্তু আমরা না চাইলেও খুব কৌশলে সংবাদপত্রগুলোকেও ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
সংবাদপত্রের জন্য সবচাইতে মর্যাদাশীল জায়গা হলো এর সম্পাদকীয় প্রতিষ্ঠান। নব্বইয়ের দশকে আজকের কাগজের গাত্রোত্থানের আগে বিকল্প কিছু উদ্যোগ বাদ দিলে বেশিরভাগ দৈনিকে আসলে এই প্রতিষ্ঠানটি ভীষণ দুর্বল ছিলো। এর ফল আমরা হাতে হাতে পেয়েছি। দীর্ঘ স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনমত দানা বাধতে ভীষণ সময় নিয়েছে। এবং দানা বেঁধে যে গণতন্ত্রে আমরা এসেছি সেটিও পূর্ব প্রস্তুতির অভাবে বলশালী হতে পারেনি। এখনো তার খেসারত আমরা দিচ্ছি। নব্বই দশক পূর্ববর্তী সংবাদপত্রগুলোর (বেশিরভাগ) সম্পাদকীয় প্রতিষ্ঠান ছিলো সরাসরি সরকারের সঙ্গে আঁতাত নির্ভর। সেন্সরশিপের খড়গ সম্পাদকীয় প্রতিষ্ঠানগুলোই স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের নির্দেশে চালাতো। ওইসব পত্রিকার সম্পাদক কে থাকবেন এবং কেন থাকবেন তাও নির্ধারিত হতো তাকে দিয়ে কতোটা কার্যসিদ্ধি সরকার করতে পারবে তার উপর। এদের অধিকাংশ ছিলেন মালিক সম্পাদক।
নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে আসলে সংবাদপত্রগুলো অধিকমাত্রায় গণতান্ত্রিক চর্চার সুযোগ পেলো এবং এর সম্পাদকীয় প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা অটুট রাখতে মনোযোগী হলো। আজকের কাগজ, বাংলাবাজার, জনকণ্ঠ, ভোরের কাগজ, প্রথম আলো, যুগান্তর, নয়া দিগন্ত, আমার দেশ, সমকাল এইসব পত্রিকাতেই সম্পাদকীয় প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ঠিক রেখে এগুলোকে প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি দেয়া হয়। এর ইতিবাচক ফলও অর্জিত হতে থাকে। নানা রকম মতদ্বৈততা ও অভিযোগ থাকার পরেও একথা নিশ্চিত করা যায় যে এই সংবাদপত্রগুলো আমাদের স্বল্প গণতান্ত্রিক মেয়াদে অনেক ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। হয়তো তা শতভাগ কাক্সিত মাত্রায় নয়। তবে সেই অবদানের পরিমাণ বিনাবাক্যে খারিজ করার মতোও নয়। এখনো শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রের সবচেয়ে বঞ্চিত মানুষটির ন্যূনতম দাঁড়াবার জায়গা এই সংবাদপত্রগুলোই দেয়ার চেষ্টা করে।
আমার ভয় হচ্ছে। কারণ আমি অনুভব করছি ক্রমে আমাদের দেশের সংবাদপত্রগুলোকেও ধ্বংসের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়া হচ্ছে। সম্পাদকীয় প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা নষ্ট করে ফেলে দিনে দিনে এগুলোকে খাদের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গণতান্ত্রিক সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ হিসাবে ‘আমাদেরও পত্রিকা লাগবে’ মানসিকতা দিয়ে নিজেদের ‘উমুক’ সম্পাদককে নিয়ে বসিয়ে কাগজ করার সংস্কৃতির বয়স তো প্রায় ৬ বছর হয়েই যাচ্ছে।
একদা স্বৈরাচারবিরোধী অন্যতম কণ্ঠ শফিক রেহমান যখন সরকারের ‘বলে দেওয়া’র কারণে বসুন্ধরার বিনিয়োগে যায়যায়দিন করতে গেলেন একঝাঁক সম্ভাবনাময় সংবাদকর্মীকে নিয়ে, বলা যায়, ধ্বংসের আলামত তখন থেকেই স্পষ্ট হতে থাকলো। শফিক রেহমান যায়যায়দিন করলেন, কিন্তু সেই রাজনৈতিক কারণেই তিনি নিজেও থাকতে পারলেন না। শহীদুল ইসলাম নামের এক জোকারসদৃশ সম্পাদক ঐতিহ্যবাহী পত্রিকাটিকে নিয়ে কি কি করেছেন আর এর সম্পাদকীয় প্রতিষ্ঠানের লুঙ্গি একটানে কোথায় নামিয়েছেন তা বলতে গেলে পুণরুল্লেখই মনে হবে। কারণ বিষয়টি সর্বজনবিদিত।
এর আগেই বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতে অন্যতম মন্দ বিনিয়োগটি নিয়ে প্রবেশ করেছিলেন ইত্তেফাকের বার্তা সম্পাদক গোলাম সারওয়ার। নূরুল ইসলাম বাবুলের যমুনা গ্র“পের টাকায় তিনি যুগান্তর করেন। যুগান্তর মানের দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকলেও একটা সময় মনে হয়েছিলো এর ঠাটবাটে বোধহয় প্রথম আলোকেও ছাড়িয়ে যাবে (বিশেষত ওই সময় যুগান্তর বিএনপিমনা পাঠকদের বেশিই টেনেছিলো)। কিন্তু সে আশায় গুঁড়েবালি। বিনিয়োগটিকে মন্দ বলে প্রমাণ করেই স্রষ্টা গোলাম সারওয়ার সদলবলে যুগান্তর ছাড়েন। যুগান্তরের মালিক নূরুল ইসলাম বাবুল প্রবীন সাংবাদিক এবিএম মূসার হাতে সম্পাদনার ভার দেন। কিন্তু মিউজিক্যাল চেয়ার খেলার মতো করে সেই চেয়ারও একদিন বদল হয়। এবার দৃশ্যপটে আসেন আরেক প্রথিতযশা সাংবাদিক আবেদ খান (ভোরের কাগজের দায়িত্ব ছেড়ে)।
ইত্যবসরে গোলাম সারওয়ার বড়পদের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী একে আজাদের টাকায় নতুন পত্রিকা নিয়ে বাজারে আসেন। সমকাল নামের ওই পত্রিকাটি যুগান্তরের চেয়ে অনেক বেশি গোছালো হবার কারণে পাঠক টানতে সম হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠার অল্প সময়ের মধ্যেই হঠাৎ করেই একদিন গোলাম সারওয়ার সমকাল ছাড়েন। চলে যান আমেরিকায়। গুঞ্জন ওঠে তিনি নতুন কাগজ করবেন। কিন্তু আমেরিকা থেকে ফিরে এসে তিনি আবার নূরুল ইসলাম বাবুলের শরণাপন্ন হন। ফলে যুগান্তরে আবার গোলাম সারওয়ার ইন, আবেদ খান আউট। আবেদ খান যুগান্তর থেকে বেরিয়ে এসে রসিয়ে রসিয়ে লেখেন কিভাবে গোলাম সারওয়ার যুগান্তরে ফিরে যাবার জন্য বাবুলের কাছে ‘কাতর অনুনয়’ করেন এবং সম্পাদকীয় প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা রার জন্য আবেদ খান যুগান্তর ছাড়েন। নাটক এখানেই শেষ হয় না। হঠাৎ করেই একদিন আবেদ খান সমকালের সম্পাদকের দায়িত্ব নেন।
সমকালের আগেই ফালুর টাকায় আমার দেশ বের হয়। জামায়াতপন্থী ব্যবসায়ীদের অর্থায়নে নয়া দিগন্ত বাজারে আসে তারও আগে। একসময় ফালুর আমার দেশ হয়ে যায় মাহমুদুর রহমানদের আমার দেশ। নতুন অর্থায়নে বাজারে আসার সময়ই বলি হন সম্পাদক আমানুল্লাহ কবীর। উপদেষ্টা সম্পাদক আতাউস সামাদ সম্পাদকেরও দায়িত্ব নেন।
কিছুদিন ঠিকঠাক চলার পর নতুন সরকার মতায় আসতেই সমকালে আবারও বদল আসে। আবেদ খান সম্পাদকের দায়িত্ব ছেড়ে দেন। এসময় তিনি স্পষ্ট বলেই দেন সমকালের মালিক পরে কারণে সম্পাদকীয় প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা রা করা যাচ্ছিলো না। তিনি নতুন কাগজ কালের কণ্ঠ বের করার উদ্যোগ নেন। এর আগেই গোলাম সারওয়ারকে আবার যুগান্তর ছাড়তে হয়। তিনি নতুন পত্রিকা নবযুগ বের করার চেষ্টা শুরু করেন। বসুন্ধরায় অফিস নিয়ে যেভাবে তিনি গোছাতে শুরু করেন তাতে মনে হচ্ছিলো তিনি বসুন্ধরার টাকাতেই নতুন কাগজ করতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে একদিন সেই উদ্যোগও বন্ধ হয়ে যায়। ওদিকে নূরুল ইসলাম বাবুল ‘বহু সম্পাদক চেখে দেখে’ এসে বহু গুণে গুণান্বিতা নিজের স্ত্রীকেই সম্পাদক করেন (যিনি সম্পাদকের কেদারা অলংকৃত করার অব্যবহিত পরেই জাতীয় পার্টির নারী সাংসদ হন। কথিত আছে, বাবুল তার ডাকনামটা একটু হেরফের করে নিলেই চলে এমন একজন জাপা নেতাকে বিপুল ফায়দামন্ত করে তার স্ত্রীকে এই পদে দিয়েছেন।) দয়া করে নয়, কাজে লাগবেন বলেই একদা ওই কাগজেই চিফ রিপোর্টার থেকে ধাপে ধাপে উঠে আসা সাইফুল আলমকে নির্বাহী সম্পাদক বানিয়েছেন। অর্থ্যাৎ বাবুলের স্ত্রী সম্পাদক হয়ে জাপার এমপিগিরি (সে যে আর কতোটা তাও ভাবা যায়) করবেন আর তার যাবতীয় ভার নির্বাহ করবেন সাইফুল আলম! (কেউ কি ইত্তেফাকের এক সময়ের প্রিন্টার্স লাইন ‘সম্পাদক: আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: রাহাত খান’- এর সঙ্গে সাদৃশ্য পান?) বোঝাই যাচ্ছে যুগান্তরের অনিবার্য পরিণতি যেদিকে তা আমাদের জন্য মঙ্গলজনক নয়।
সমকাল যে কায়দায় এগুচ্ছে তা নিয়েও নিশ্চিন্ত থাকার কারণ নাই। এক সময় মতিউর রহমানের ভীষণ ঘনিষ্ঠ, তবে গ্ল্যামারের দুনিয়ায় নির্বিষ হবার কারণে প্রথম আলোর বাইরে আসা মোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু এখন পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক (এই ভারে তিনি আগেও আক্রান্ত ছিলেন। ওই যে যখন গোলাম সারওয়ার চলে গিয়ে আবেদ খান এলেন, এর মাঝের সময়ে আর কি)। গুঞ্জন জোরেশোরে রয়েছে, যুগান্তরের বাবুলের মতোই এই কাগজের প্রকাশকও সম্পাদক পদটি নিয়ে তার খেলাধুলা না কি গুটিয়ে এনেছেন। এখন নিজে না হয় স্ত্রীকে টুপ করে কেদারাখানায় বসিয়ে দিয়ে ভারটা কোন এক নির্বাহীর গলায় ঝুলিয়ে দেবেন। কিন্তু হিসাবটা আবার অতো সহজও নয়। বাজারে আবার নতুন গুজবও আছে, সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের বিশেষ আগ্রহে নাকি সাপে-নেউলে আবার চুমুচুমি করতে যাচ্ছে। অর্থ্যাৎ সমকাল একটু বেগড়বাই করছে। কাজে কাজেই সরকারের তরফে নাকি গৃহপালিত টাইপের কাউকে কেদারায় বসানোর নিপুণ পরিকল্পনা প্রক্রিয়াধীন। সে ল্েয ‘জাতি দুশমন’ একে আজাদ আর গোলাম সারওয়ারকে নাকি করমর্দনে বিপুল পরিমাণ উৎসাহ যোগানো হচ্ছে। এর পেছনে নাকি হাল আমলে ‘হ্যান্ডমাইক’ উপাধিপ্রাপ্ত এক মন্ত্রীও তৎপর। এসবই শোনা কথা। হয়তো কোনটাই সত্য নয়। তারপরেও যদি এর একটিও সত্য হয়, তাহলে আসলে সমকালকেও ‘গোন কেস’ বলে ধরে নেয়া শ্রেয়।
সেেেত্র সম্ভাবনার দুয়ার খোলা প্রবসব্যথা সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায় না যার সেই কালের কণ্ঠের। হয়তো আবেদ খান সেখানে সম্পাদক থাকবেন। টাকা দেবে বড় কোন প্রতিষ্ঠান (হাবুল কাবুল টাইপের কেউ নয় নিশ্চয়, অবশ্যই বাবুল টাবুল টাইপের কেউ হবেন)। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার দ্বারাও কি সম্পাদকীয় প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা রা সম্ভব হবে? অনেক পাঠকই যে তার রাজনৈতিক অবস্থানকে পপাতদুষ্ট মনে করেন তা কি তিনি ঝেড়ে ফেলতে পারবেন?
ইত্তেফাকে বহুদিন ধরে ভারাক্রান্ত থেকে ‘দিলুর গল্প’ লেখা রাহাত খানের অবশেষে একটা গতি হয়েছে। তিনি এখন মেদহীন সম্পাদক (মানে সম্পাদক শব্দের আগে পিছে কিছু নেই আরকি)। তবে ব্যারিস্টার মইনুলের হাত থেকে কাগজটা ‘উদ্ধার’ করতে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু কাঁধের উপর নিঃশ্বাস ফেলছেন। সেই নিঃশ্বাস কার্যকর হলে তো ‘যথা পূর্বং তথা পরং’।
আমাদের দেশের সংবাদপত্র জগতে বিস্ময়কর চরিত্র প্রথম আলো। মতিউর রহমান নিজেও বিস্ময়কর উপাদান এই দুনিয়ায়। দূর পরবাসের সঙ্গীতের মুর্চ্ছনাও প্রথম আলো ধরতে পারে দেশে বসে। সে মতে কাজ করে। পাঠক সংখ্যা তাদের অনেক। তিন চার লাখ তো বটেই। তারাও ভালো নেই। মাহফুজ আনাম প্রথম আলোর প্রকাশক নেই আর (অন্য কাগজগুলোর উল্টো আরকি। অন্যগুলোতে প্রকাশক থাকেন, সম্পাদক যান।)। সম্পাদক মতিউর রহমান নিজেই এখন প্রকাশক। হাওয়ায় কান পাতলে শুনতে পাই, দু’জনের দ্বন্দ্ব নাকি বেশ ভালোই বেধেছে। কবে কাটবে তা নিয়ে এখনো ধন্দ।
যাক গে অনেক হলো। এবার তাহলে কি? এসব কাগজের উপর মহাজোট সরকার ভরসা রাখতে পারছে না বলেই হয়তো আয়োজন। তো, কার উপরে ভরসা রাখা যায়? নয়া দিগন্ত? তথাকথিত প্রগতিশীল কাগজগুলোর পরিণতি যদি এই হয়, তাহলে সরকার ভরসা করুক আর না করুক অনেক পাঠক কিন্তু নয়া দিগন্তের দিকে ঝুঁকেও পড়তে পারে। তাহলে তো মগজ ধোলাই ভালোই হবে কৌশলে আর আমরা চেয়ে চেয়ে দেখব। আমাদের কি কৌশলে সেদিকেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে?
১৯৭৫ সালের আগে সংবাদপত্রগুলোতে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ আনার পরিকল্পনাই কিন্তু দেশে অনেক অঘটনের জন্য দায়ী। ওই ঘটনা দেশকে অনেক বছরের জন্য অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছিলো। আমরা আগামী দিনে আবার কি কোন অন্ধকারে ডুবতে যাচ্ছি? সামনে থেকে তো কারা খেলছে আর তাদের ঘুঁটিগুলো কে দেখছি। কিন্তু পেছনে? কে আছে এই ধ্বংসপ্রক্রিয়ার পেছনে? আমরা হয়তো কোনকালেই তাদের চিনতে পারবো না। কিন্তু চেনাটা মনে হয় জরুরি হয়ে পড়ছে নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থেই।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিজয় দিবসের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে, প্রতিবাদ ও ঘৃণা জানিয়ে । সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ২০২৫, ১৬ই ডিসেম্বর।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১৯




দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে ত্রিশ লক্ষ তাজা প্রানের এক সাগর রক্তের বিনিময়। দুই লক্ষাধিক মা বোনের সম্ভ্রম হারানো। লক্ষ শিশুর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত‍্যু। এক কোটি মানুষের বাস্তুহারা জিবন। লক্ষ কোটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×