আমি একজন বাংলাদেশী এবং আমার দেশপ্রেম এর সমস্ত অনুভূতি থেকে বলছি : আমি যুদ্ধাপরাধী-রাজাকার-আলবদর-আলশামস্ তথা ’৭১ নির্যাতনকারী হায়েনাদের ফাঁসি চাই না। আমি চাই বিচার হোক, ওরা শাস্তি পাক, দীর্ঘমেয়াদী শাস্তি। মৃত্যুর পরমশান্তি যেন তারা প্রতিমুহুর্তে আবেদন করে কিন্তু তাদেরকে মৃত্যুর স্বাদ নিতে দিতে চাই না। তারা জেলখানায় বসে আমাদের আনন্দ উল্লাস দেখবে, কয়েদি হিসাবে গোলামী করবে আর ’৭১ কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা করবে। আমরা প্রতিদিন, সপ্তাহ বা মাসে একবার তাদের দেখতে যাবে, গালি দিতে যাবো, জুতার মালা পরাতে যাবো। আমরা আমাদের সন্তানদের দেখিয়ে দিতে চাই - ঐ দেখ বাচ্চারা ওরা ছিল একাত্তের ঘাতক, ওকে একটা ইট মেরে প্রতিশোধ নাও। যুগ যুগ ধরে ওরা আমাদের কারাগারে বন্দি থাকবে আমাদের সুখ দেখবে, অনুতপ্ত হবে, মৃত্যু কামনা করবে কিন্তু সেই শান্তিও সহজের তাদের ভাগ্যে যেন না জোটে। আমি সমস্ত যুদ্ধাপরাধী-রাজাকার-আলবদর-আলশামস্ তথা ’৭১ নির্যাতনকারী হায়েনাদের সম্মিলিত একটা গ্র“প ছবি আমার উঠানে স্থাপন করবো যাতে প্রতিদিন শত শত বার সেটা পা দিয়ে পিশিয়ে আনন্দ পেতে পারি। আমি আমার প্রস্রাব খানার সম্মুখভাগে ১-২ ফিট উচ্চতা বরাবর রাজাকাদের ছবি রাখতে চাই যেন প্রতি বার প্রস্রাব তাদের মুখে করতে পারি। আমি বাংলাদেশের প্রতিটি ডাষ্টবিনগুলো তাদের সিম্বলে বানাতে চাই যেন প্রতিদিন আমাদের বজ্যগুলো ওদের উপর ফেলার আনন্দ পেতে পারি। আমি রাস্তার পাশে ফুটপাথে সারিবদ্ধ ভাবে রাজাকারদের ছবি বসাতে চাই যেন প্রতিদিন হাজার হাজার জনতা তাদেরকে পায়ের নিচে পিষ্ট করে আনন্দ উপভোগ করতে পারে। আমি সমস্ত যুদ্ধাপরাধী-রাজাকার-আলবদর-আলশামস্ তথা ’৭১ নির্যাতনকারী হায়েনাদের উত্তরাধিকারীকে সনাক্ত করতে চাই যেন তাদেরকে আমরা টিটকারী দিতে পারি, বেঈমান বলে গালি দিতে পারি, আড্ডায় সেখানে যেখানে তাদের সাথে দুরত্ব বজায় রেখে বুঝাতে পারি ‘তোমাদের পূর্বপুরুষদের হঠকারীতার জন্য আমরা তোমাদেরকে ঘৃনা করি’.........
আমি যুদ্ধাপরাধী বা রাজাকারদের ফাঁসি চাই না
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন
দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ
মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!
বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।
ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )
যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন