somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শীতার্থদের মুখে সাময়িক হাসি

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিগত দুই বছর শীতার্থদের মুখে সাময়িক হাসি ফোটাতে কাজ করেছি। এক-দের মাস পরিশ্রম করে শীতবস্ত্র সংগ্রহ করে অপেক্ষা করেছি ঐ দিনটির জন্য। খুব কাছে থেকে দেখেছি মানুষ কত সামান্যতেই খুশি হয়। একটুকরো কাপড়ের বিনিময়ে যে মানুষের মুখে এই হাসি এনে দেওয়া যায়, তা আগে কখনোই ভাবিনি।

ঘটনা ১
রাত ১২ টার কাছাকাছি হবে। আমাদের শীতবস্ত্র ভর্তি গাড়ি আজিমপুর কবরস্থানের কাছে। আমরা পৌছানো মাত্রই আমাদের পিক-আপ ঘিরে ধরলো কিছু বৃদ্ধ ও রাস্তার ধারে জীবন পার করা কিছু মানুষ। অর্ধশত মানুষকে লাইনে দার করিয়ে শীতবস্ত্র বিতরন করলাম। তাদের মুখে হাসি ফোটানোর একটু চেষ্টা হয়তো।

ঘটনা ২
কণকণে শীতের মধ্যে রাস্তার ল্যম্পপোস্টের নিচে জড়সড় হয়ে শুয়ে আছে মা তার দুই বছরের মেয়ে কে নিয়ে। রাত তখন পৌনে একটা হবে হয়তো। মা তার মেয়েকে একটু উষ্ণতা দিচ্ছে তার পড়নের কাপড় দিয়ে। কাছে যেতেই ঘুমিয়ে থাকা বাচ্চাটি জেগে গেলো। তার হাতে তুলে দিলাম কিছু শীতের কাপড়। কাপড় গুলো পেয়েই খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেল বাচ্চাটি। কি যে আনন্দ মেয়েটির চোখে মুখে! ক্ষনিকের জন্য কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম আর ভাবছিলাম এত অল্পতেই কিছু মানুষ এত খুশি হয়!!

ঘটনা ৩
রাত দুইটা। কণকণে শীত। আমাদের শীতবস্ত্র ভর্তি গাড়ি শাহবাগ পার হয়ে মৎস ভবনের সামনে। চোখে পড়লো কিছু মানুষ ফুটপাতের ধারে গুটিসুটি হয়ে শুয়ে আছে। গায়ে সামান্য একটা ব্যানারের কাপড় জরানো। লোকটা ঘুমিয়ে আছে। কাছে গিয়ে তার গায়ের উপর একটা কম্বল জরিয়ে দিলাম। ঘুম ভেঙ্গে গেল তার, দেখলাম লোকটা বৃদ্ধ। আমি ফিরছি, ঠিক তখনই সে আমাকে ডেকে আমার হাত ধরে হাউমাউ করে কেঁদে দিল। ঠিক ঐ মুহুর্তের ভালোলাগা যে কি পরিমান ছুয়ে গেল আমায় বলে বোঝানো যাবে না। বৃদ্ধের চোখের পানি আমাকে ভুলিয়ে দিল শীতবস্ত্র সংগ্রহ সময়ের পরিশ্রম ও কষ্টের কথা।


হয়তো আমাদের এই ছোট ছোট সাহায্য একটু একটু করে হাসি ফোটাতে পারে ঐ মানুষগুলোর মুখে।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×