নারীর ইচ্ছা না থাকলে কেউ তাকে পণ্য বানাতে পারবে না। নারী নিজেই সব জায়গায় ব্যবহৃত হতে চায়।
একটা ঘটনা বলিঃ আমার পরিচিত এক বড় ভাই, একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান। সবেমাত্র ইউনিভার্সিটির পড়া শেষ করে জয়েন করেছেন। তো একদিন পরীক্ষার সময় তার ডিউটি পড়েছে, যথারীতি ডিউটি দিতে গেছেন। পরীক্ষার হলে একটা মেয়েকে বেশ স্বল্পবসনে দেখতে পেলেন। পরীক্ষা শুরু হয়ে গেল। কিছুক্ষণ যাওয়ার পর মেয়েটা এদিক-সেদিক তাকাচ্ছে কারও কাছ থেকে সাহায্য পাওয়ার আশায়। এই যুবক শিক্ষক বেশ কয়েকবার মেয়েটিকে সাবধান করে দিলেন। একটু পর এই শিক্ষক লক্ষ্য করলেন মেয়েটি তার ওড়নার ব্যাপারে ইচ্ছাকৃতভাবে উদাসীন। সামনের দিকে হালকা ঝুঁকে পড়েও লিখছে "টু এক্সপোজ মোর"।
পরীক্ষার হলে অন্যান্য শিক্ষার্থীকে বিরক্ত করার অজুহাতে মেয়েটিকে হল থেকে বের করে দিলেন এই বেরসিক শিক্ষক।
এই ধরণের ঘটনা আপনি আরও দেখতে পাবেন ভাইভা দিতে গেলে। যোগ্যতার চেয়ে নিজেকে দেখানোই যেন বড়।
মোবাইল কোম্পানি গুলো তো মেয়েদেরকে যথেচ্ছা ব্যবহার করছে। বিভিন্ন অফিসে রিসেপসনিষ্ট নিয়োগ দেয়ার সময় অনেক ক্ষেত্রে হয়তো লেখাই থাকে মেয়ে হতে হবে এবং সুন্দরী। কে বুঝে না যে, কি কারণে মেয়ে নেয়া হচ্ছে!!! তারপরও কিন্তু যাচ্ছে। তো দোষ কি শুধু নিয়োগদাতাদের নাকি মেয়েদেরও!!! আমরা পাইছি একটা টার্ম "কর্পোরেট"। ভাবটা এমন যে কর্পোরেট ব্যবসায়ীদের দোষ দিলেই সমস্যার সমাধান হয়ে গেল, আমাদেরকে কিছু না করলেও চলবে।
ধন্যবাদ আপনাদেরকে।