প্রাক-রেজিস্ট্রেশন করে আজ কোভিড-১৯ ভেকসিন দিতে গেলাম জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে। ক্যাম্পে পৌঁছার পর অভ্যর্থনায় থাকা নার্স-মেয়েটি হাসি মুখে এগিয়ে এলো। আমার হাতে থাকা কোভিড-১৯ টিকাদান কার্ডখানা নিয়ে রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করতে লাগলেন। অন্য একজন নার্স-মেয়ে আমাকে চেয়ারে বসতে বললেন। মিনিট দুইয়েকের সময়ে টিকাদান কার্ডের একটি অংশ ফেরত দিয়ে টিকাদান বুথটি দেখিয়ে দিলেন। কক্ষে প্রবেশ করার পর হাসিমাখা সম্ভাষণের মাধ্যমে অন্য একজন নার্স-মেয়ে আমাকে একটি চেয়ারে বসালো এবং টিকার ইনজেকশন (covishield, serum, astrazeneca oxford) বাম বাহুর মাংসপেশিতে পুশ করে দিলো। অতঃপর, পাশের একটি রুমে বিশ্রামের জন্য বললো। কোন সমস্যা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনুভূত হলে তাদেরকে জানাতেও বললো। প্রায় আধা ঘন্টা বিছানায় শুয়ে-বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। এর মাঝে একজন নার্স-মেয়ে কিছুক্ষণ পরপর দুবার এসে খবর নিলো আমার কোন সমস্যা হচ্ছে কি না? আমার পাশাপাশি সিটে আরো কয়েকজন ভেকসিন গ্রহণকারীও বিশ্রামরত ছিলেন।
যারা ভেকসিনেশন কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন, তাদের কর্ম-তৎপরতা ও আচরণ খুবই ভালো ছিলো। ভেকসিন গ্রহণকারীর সাথে আলাপ-আলোচনা বা গল্পচ্ছলে কথা বলে মনের নেতিবাচক ভয়টিকে দূরে সরিয়ে দিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। ভেকসিন দেয়ার পর আমি তাদের সাথে ছবি তোলার প্রস্তাব দিলে উপস্থিত তিনজনের মধ্য থেকে দুজন নার্স-মেয়ে- মিতালী রানী কর্মকার (সিনিয়র স্টাফ নার্স) এবং অর্পণা রানী বাড়ৈ (সিনিয়র স্টাফ নার্স) আমার দুপাশে হাসিমুখে দাঁড়ালো এবং অন্যজন ছবি তুললো। তাদের সাথে আমাকেও দুআঙুল তুলে ভি-সাইন (আমরা করবো জয়) দেখাতে হলো।
ভেকসিন নেয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০/১১ ঘন্টা অতিবাহিত হলো। এ পর্যন্ত কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনুভব করিনি। আসুন, আমরা স্বপ্রণোদিত হয়ে কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচীকে সার্থক করি। আমাদের দেশসহ পৃথিবী থেকে কোভিড-১৯ ভাইরাস তথা করোনাকে বিতারিত করি। শুভ কামনা সকলের প্রতি।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১২