গল্পঃ ১.বীজমšত্র ২.বধ্যভূমি ৩.গর্তসন্ধান ৪.নাগাল ৫.লোকমান হাকিমের স্বপ্নদর্শন ৬.চক্রবৃদ্ধি ৭.তীরভূমি ৮. পঁচিশ বছর ৯. পারুল
ওয়াসি আহমেদের প্রায় সবগুলো গল্পেই একটা করুন ও মানবিক আর্তি ঝরে পড়ে। ভাষা ও ভাব প্রায় আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ঘরানার। সেই অর্থে নিজস্বতা তৈরী করতে পারেননি। প্রতিটি গল্পই একটি পরিকল্পিত সমাপ্তির দিকে ঝুকেঁ পড়ে, হয়ত তা স্বাভাবিকই, তবুও অনেক ক্ষেত্রে তার গল্পপাঠ একঘেয়ে ঠেকতে পারে বৈকি। বীজমণ্ত্র একটি ভিন্ন স্বাদের সফল গল্প। কেন্দ্রীয় চরিত্র তপুর একটি আটপৌরে জীবন চিত্রনে লেখক পরিমিত ও পরিশিলিত থেকেছেন। তপু, যার অণ্ডকোষ দুখানা কিনা বিসর্জন দিতে হয়েছিল উঁচু বেতনের চাকরির লোভে, নির্লিপ্তই ছিল গল্পের শেষ পর্যšত। তাকে খোজা হতে হয়, আর তার সাথেই সংসার করতে হয় প্রেমিকা রত্নাকে। গল্পের শেষাশেষি আমরা জানতে পারি তপুর ভাইটা শেষমেশ আত্মহত্যা করেছিল, সম্ভবত বেকারত্বের বোজা সইতে না পেরে। এসব হয়ত কোনো ঘটনা নয়। গল্পকারের আসল সফলতা তপুর চরিত্রের সার্থক বিশ্লেষনে।
পচিঁশ বছর গল্পে ওঠে আসে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ভাইবোনকে হারানো এক বালকের কথা। বাঁচার জন্যে যাকে শিশ্নের ইঞ্চিখানেক ত্বক কাটতে হয়েছিল, যে দেখেছিল প্রাপ্ত বয়স্ক তার আরো অনেক স্বজাতিকে যারা সবাই একই পšহা গ্রহণ করেছিল।