রাজধানীর শনির আখড়ায় যাত্রীবোঝাই একটি বাসে আগুন দিয়ে আটজন নিরীহ যাত্রীকে দগ্ধ করার ঘটনার জন্য সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিএনপি ও ১৮ দলের আন্দোলনকে দমনের জন্য সরকার এই অমানবিক পন্থা অবলম্বন করছে।
গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এ অভিযোগ করেন। তিনি এ ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা এবং জড়িত দুষ্কৃতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
বিবৃতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব দাবি করেন, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে।
মির্জা ফখরুল এই আন্দোলনকে নিষ্ঠুরভাবে দমন করার জন্য বর্তমান সরকার নানামুখী অমানবিক পন্থা অবলম্বন করেছে। সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আধুনিক মারণাস্ত্রে সজ্জিত আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনগুলোকে দিয়ে দেশে খুন, গুম, হামলা ও অগ্নিসংযোগের তাণ্ডব শুরু করেছে।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, আওয়ামী অস্ত্রধারীরা বিরোধী নেতা-কর্মীদের বাড়িতে আক্রমণ করে ভাঙচুর, লুটপাট, পরিবারের লোকজনদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব দাবি করেন, বিরোধী নেতা-কর্মীদের হত্যার জন্য নির্বিচারে গুলি করার অবাধ অধিকার দেওয়া হয়েছে সরকারের পেটোয়া বাহিনীগুলোকে। তারা হরতালে প্রতিদিন বিএনপিসহ ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের হত্যা করছে। এজেন্টদের দিয়ে সারা দেশে বাড়িঘর ও যানবাহনে আক্রমণ চালিয়ে আগুন ধরিয়ে এক নারকীয় পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, শনির আখড়ায় বাসে আগুন লাগিয়ে যেভাবে আটজন নিরীহ যাত্রীকে দগ্ধ করা হয়েছে, তা মানবতার বিরুদ্ধে এক জঘন্য অপরাধ। অতীতে শেরাটন হোটেলের সামনে যাত্রীবাহী বাসে যেভাবে গান পাউডার দিয়ে আগুন লাগিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছিল, গতকাল শনির আখড়ায় বাসে আগুন দেওয়ার ধরন হুবহু মিলে যায়।
তিনি বলেন, জনগণের আন্দোলন দমন এবং বিভ্রান্ত করার জন্য গুলি করে হত্যা, পুড়িয়ে মারা, টর্চার করে বিকলাঙ্গ করা ও অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডের মতো অমানবিক পথ থেকে সরে না এলে সরকারকে এর জন্য চরম মূল্য দিতে হবে।
Click This Link