somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আহারে, কত মানুষ যে বেকার হইয়া গেল, হরতাল অবরোধে যারা পেশাদার ছিল তাদের যে কি হবে :D

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একজন মৃত্যুর ঠিকাদারের কথা শুনুন...........

আমি দিনে পাঁচ শত টাকা বেতনে পিকেটিং করতাম। প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচটি করে গাড়ি ভাঙচুর করতে হতো। পাঁচটি ভাঙচুর করতে পারলে বেতন ঠিক ভাবে পেয়ে যেতাম। না হলে বেতন কমে যেতো। গাড়ি জ্বালিয়ে দিতে পারলে টাকা একটু বেশি দিত। এজন্য পুরোদিন ব্যস্ত থাকতাম গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টায়। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর আমার নিকট বেতনের টাকা ও ইটের টুকরোর বস্তা চলে আসতো। পরের দিন ভোর থেকে শুরু করতাম ভাঙচুরের কাজ। এরকম একদিন গাড়ি ভাঙচুর করার সময় যুবলীগ কর্মী আবদুল জব্বার আমাকে

আটক করে পুলিশকে দিয়েছিল। আরো বেশ কয়েকজন পিকেটারকে ধরার সময় সহায়তা করেছিল যুবলীগ কর্মী জব্বার। এজন্য মাদের বৈঠকে আবদুল জব্বারকে হত্যার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু কখন, কোথায় মারব তা নিয়ে আলোচনা হয়নি। পরে গত ১০ ডিসেম্বর রাতে জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হবে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ওই দিন রাতেই জব্বারকে হত্যা করার পরিকল্পনা হয়। সে অনুযায়ী গভীর রাতে মিছিল সহকারে গিয়ে তার বসত ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে মারধর করি। মূলত পিকেটারদের গ্রেপ্তারে সহয়তা করায় জব্বারকে হত্যা করা হয়েছে।

সাতকানিয়া থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর সাংবাদিকদের কাছে কথাগুলো বলেছে যুবলীগ নেতা আবদুল জব্বার হত্যা মামলার আসামি মোহাম্মদ আরমান। সে আরো জানায়, ঘটনার দিন গভীর রাতে প্রায় শতাধিক জামায়াত শিবির নেতা-কর্মী একযোগে মিছিল নিয়ে কেঁওচিয়ার মাদারবাড়ীস্থ জব্বারের বসত ঘরে যায়। প্রত্যেকের হাতে ছিল ধারালো অস্ত্র। প্রথমে আমি গিয়ে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে ঘরের দরজার কিছু অংশ ভাঙচুর করি। পরে ভাঙ্গা অংশ দিয়ে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে দরজার হুক খুলে নিই। এরপর ১৫-২০ জন ঘরের ভেতর প্রবেশ করে যুবলীগ নেতা জব্বারকে খুঁজতে থাকি। প্রথমে জব্বারকে না পেয়ে তার মা ও ভাইদের হালকা মারধর করি। পরে টয়লেটের ভেতর খোঁজাখুজি করি। কিন্তু সেখানেও না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে অন্য একটি কক্ষে প্রবেশ করি। সেখানে জব্বার লুকিয়ে ছিল। তাকে পাওয়ার সাথে সাথে আমিসহ কয়েকজন মিলে তার হাত-পা ধরে রাখি। অন্যরা দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। মৃত ভেবে ফেলে বেরিয়ে আসার সময় আমাকে পুলিশের নিকট ধরিয়ে দেয়ার কথা মনে পড়ে। তখন পেছনে গিয়ে আমিও দুইটি কোপ দিই। এসময় আশপাশে আরো কয়েকটি বসত ঘরে ভাঙচুর করে আবার মিছিল সহকারে চলে আসি। গ্রেপ্তারকৃত আরমান আরো জানায়, আমি জামায়াত শিবির করিনা। দৈনিক বেতনে পিকেটিং করতাম। মানুষ মারার কথা ছিলনা। কিন্তু আমাকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয়ার অপমান সহ্য করতে পারিনি। এজন্য আমি ওইদিন নিজ উদ্যোগে গিয়ে তাকে হত্যার কাজে অংশ নিই।

গ্রেপ্তারকৃত আরমান আরো জানায়, জব্বার মারা গেছে ভেবে আমরা সবাই বসে মিষ্টি মুখ করেছি। কিন্তু হাসপাতালে নেয়ার পর জব্বার বেঁেচ আছে এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে যারা হত্যার কাজে অংশ নিয়েছিল তাদের উপর সবাই রেগে যায়। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হয়, বেঁচে গেলে পরে আবার মারা যাবে। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে কোন লাভ নেই। তবে ১০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে মারা গিয়েছিল জব্বার। মৃত্যুর খবর জানার পর পুনরায় সবাই মিষ্টি খাই। সে আরো জানায়, আবদুল জব্বার হত্যার ঘটনায় জামায়াত শিবির ছাড়াও ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী অংশ নিয়েছিল।

আরমান জানায়, জব্বার হত্যার পরও অনেক দিন পিকেটিং করেছি। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের সাতকানিয়া অংশের রাস্তার মাথা থেকে মিঠাদিঘী পর্যন্ত এলাকার মধ্যে অসংখ্য গাড়ি ভাঙচুর করেছি। কিন্তু এই সময়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হবো তা কখনো চিন্তা করিনি।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ খালেদ হোসেন জানান, গ্রেপ্তারের পর মোহাম্মদ আরমান যুবলীগ নেতা আবদুল জব্বার হত্যার ঘটনায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়ার কথা পুলিশের নিকট স্বীকার করেছে। কিলিং মিশনে কত জন অংশ নিয়েছিল, কিভাবে এবং কেন হত্যা করেছে সে বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অনেকের নামও বলেছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে নামগুলো প্রকাশ করা যাচ্ছে না।




Click This Link
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নেতানিয়াহুও গনহত্যার দায়ে ঘৃণিত নায়ক হিসাবেই ইতিহাসে স্থান করে নিবে

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:৩৮

গত উইকেন্ডে খোদ ইজরাইলে হাজার হাজার ইজরাইলি জনতা নেতানিয়াহুর সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে।
দেখুন, https://www.youtube.com/shorts/HlFc6IxFeRA
ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে নেতানিয়াহুর এই হত্যাযজ্ঞ ইজরায়েলকে কতটা নিরাপদ করবে জনসাধারণ আজ সন্দিহান। বরং এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩১


আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।

প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।

ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাম গাছ (জামুন কা পেড়)

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

মূল: কৃষণ চন্দর
অনুবাদ: কাজী সায়েমুজ্জামান

গত রাতে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। সেই ঝড়ে সচিবালয়ের লনে একটি জাম গাছ পড়ে গেছে। সকালে মালী দেখলো এক লোক গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×