এতদিন মানুষের মাঝে চল ছিল যে নিজের পরিচয়ের সাথে তার আত্মীয়ের পরিচয় দিয়ে থাকে। যেমন ধরুন কারো আত্মীয় পুলিশের অথবা মন্ত্রী অথবা কোনো উচ্চ পর্যায়ের আমলা হলে তিনি খুব গর্ব সহকারে বলে থাকবেন। আর তাহার সহিত কেউ যদি কোনো প্রকার ভাব নিতে চায় তাহলে তিনি বলবেন দেখ আমার কিন্তু আত্মীয় উচ্চ পর্যায়ের লোক, আমার সাথে যদি কিছু করো তাহলে ত তোমার বা তোমাদের খবর আছে, যদিও তা নগন্য বিষয় হোক ন কেন। কিন্তু আজকাল এই ধরনের রীতিতে পরিবর্তন আসছে কারন এই রীতির সাথে সত্য, অনুসন্ধানি, ন্যায়নীতির অনুসরনকারি ইত্যাদি সব ভালো জিনিসের তকমাধারী সংবাদ প্রচারকারী এবং নতুন করে যাকে ডিজিটাল মিডিয়া বলা হয় এই মিডিয়ার সাংবাদিক পরিচয়টি ভালোভাবে যুক্ত হতে যাচ্ছে। কারো বন্ধু অথবা আত্মীয় যদি সাংবাদিক হয়ে থাকে তাহলে তার থেকে সুপার পাওয়ার কারো নেই। যেকোন ছোট বিষয় হলেই তা পত্রিকার পাতায় ছাপিয়ে দেওয়ার হুমকি সাথে সাথে পেয়ে যাবেন। যদি ঘটনা তিল হয় তাহলে সেই ঘটনাকে তাল বানিয়ে পত্রিকায় চলে আসবে। তথ্য যাচাইয়ের কোনো বালাই নেই, আরে ভাই তথ্য যাচাইয়ের কোনো প্রয়োজন আছে নাকি যেখানে আমার বন্ধু বা আত্মীয় বলেছে সেখানে তথ্য যাচাইয়ের কি প্রয়োজন আছে? কারো ক্ষতি হলে হবে আমার আত্মীয় এবং বন্ধুর দিক ত সবার উপরে বিবেচনা করতে হবে আর সাংবাদিকদের শক্তি দেখাতে হবে না যে একজন সাংবাদিক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর থেকেও ত অনেক বেশি, বড় বড় মন্ত্রী, আমলা সবাই ত সাংবাদিককে সমীহ করে চলে, আর এই জিনিসটা আমার আত্মীয় অথবা আমার বন্ধুকে একটু শো করলাম, দেখ আমার শক্তি কত বড়, আমাদের কাছে কলম আছে , কলমের শক্তি কত বড়, দেখাতে হবে ত।
উপরোক্ত জিনিসটি ভালোভাবে গভীরভাবে চিন্তা করে দেখুন । আমাদের দেশে একজন মন্ত্রী, আমলা বা কোনো সরকারি কর্মকর্তা দূর্ণীতি করলে তার সংবাদ সাংবাদিকরা ফলাও করে ছাপায়, এটা আমিও ভালো বলি কিন্তু এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সাংবাদিকরা যদি অন্যায়ের পথে কাজ করে তবে সাংবাদিকরা কি দোষী হবে না? মিথ্যাচার করে যদি সাংবাদিকরা সংবাদ প্রচার করে তাহলে তাদের কোনো প্রকার বিচার হবে না? মিথ্যাচারের সকল সীমাকে লঙ্ঘন করে তারা দেশকে ধ্বংসের পথে পরিচালিত করছে। সাংবাদিকরা সমাজের বিভিন্ন রকম দোষ ত্রুটি তুলে ধরছেন কিন্তু তাদের অন্যায় কাজ অথবা দোষ ত্রুটিগুলো কে ধরবে? তাই বলে আবার সাংবাদিকদের নির্যাতন অথবা হত্যা করা হবে এটা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। তবে একটি কথা কেউ যদি নিজের ক্ষতি করতে চায় তাহলে কেউ তার লাভ করাতে পারবে না।
একদিন বাস থেকে কাকলিতে নেমে ওভারব্রীজ দিয়ে রাস্তা পার করতে গিয়ে দেখলাম দুইজন ক্যামেরাম্যান দাড়িয়ে আছে ক্যামেরা ওভারব্রীজে সেট করে, তখন একটি মেয়ে ওভারব্রীজের উপর দিয়ে যাচ্ছে হঠাৎ ক্যামেরম্যানগুলো ঐ মেয়েটির দিকে তাকিয় কি যে অশ্লীল ভঙ্গি নিয়ে ইশারা ইঙ্গিত করছিল, আমি দেখে অবাক হয়ে গেলাম। দেখলাম মেয়েটি মাথা নীচু করে সোজা হেটে চলে যাচ্ছে। এই যদি হয় আমাদের দেশের সংবাদ মাধ্যমের অবস্থা তাহলে দেশের কি হবে?
চায়নাতে চিকিৎসাবিজ্ঞানে পড়ালেখার জন্য গিয়েছিলাম সেখানেও এই সংবাদের ভিক্টিম হলাম। কি হয়েছিল?............কিছুই না .........তারপরও হয়ে গেল একটি বিশাল ঘটনা। আমাদের সাথের দুইজন বাংলাদেশী ছাত্র ছিল তারা আমাদের সাথেই এমবিবিএস পড়ত। পড়ার মাঝে যে তারা ব্যাবসা বাণিজ্য করত তা আমাদের পুরোপুরি ধারনা ছিল না। ব্যাবসাটা ছিল স্টুডেন্ট ব্যাবসা। একজনের নাম হচ্ছে স্বপন আরেকজনের নাম হচ্ছে সবুজ। স্বপন একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে চুক্তিবদ্ধ হলো যে সে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য স্টুডেন্ট সরবরাহ করবে, যদিও স্টুডেন্ট হয়ে এই কাজ করা চায়নাতে অবৈধ। সে এই তথ্য সবুজ এবং আরো অনেককে বলল যে সে ইউনিভার্সিটির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে কারো কোনো আত্মীয় বা বন্ধু থাকলে তার সাথে যোগাযোগ করে ছাত্র ভর্তি করাতে পারবে। ত সবুজ তার সাথে কাজ করতে আগ্রহী হলো এবং তাকে একটি স্টুডে্ন্ট দিল এবং এই স্টুডেন্টের জন্য স্বপন সবুজকে ২০০ ডলার কমিশন দিবে বলে কথা দেয়। কিন্তু স্টুডেন্ট ভর্তি করানোর পর স্বপন সেই কথা রাখেনি। কি আর করা সবুজ ও স্বপনের সাথে কিছু করতে পারবে না কারন স্বপন এবং সবুজ যেই ইউনিভার্সিটিতে পড়ত সেই ইউনিভার্সিটির এ্র্র্যাডমিস্ট্রেশনের সাথে স্বপন ভালো সখ্যতা তৈরি করে ফেলেছে এবং সে ইউনিভার্সিটির ইউনিয়ন লীডার (যদিও আমরা কেউ কোনোভাবে সমর্থন করি নাই, পরে ইউনিভার্সিটির এ্যাডমিস্ট্রেশন জোর করে তাকে এই পদ দেয়)। সবুজের বন্ধু প্রথম আলো সাংবাদিক। ব্যাস হয়ে গেল যেই ঘটনা জীবনে কোনোদিনও ঘটেনি সেই ঘটনাই ছাপা হয়ে গেল প্রথম আলোতে। তার মধ্যে ভিক্টিম হলাম আমরা এবং আমাদের কয়েকজনের নাম প্রথম আলোতে ছাপা হলো এইভাবে যে আমরা নাকি বলেছি আমরা যেই ইউনিভার্সিটিতে পড়ি সেই ইউনিভার্সিটি ভালো না এখানে কোনো পড়ালেখার পরিবেশ নেই, আমাদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। সুন্দর করে আমাদের নাম সংবাদপত্রে ছাপা হলো। একবারও প্রথম আলো চিন্তা করল না যে তথ্যটা সঠিক কিনা, আগেই বলেছি তথ্য যাচাইয়ের কোনো বালাই নেই। শুধু আমাদের ইউনিভার্সিটির কথা ছাপা হলো না সাথে ঐ ইউনিভার্সিটির নাম ছাপা হলো যেই ইউনিভার্সিটির সাথে স্বপন চুক্তিবদ্ধ ছিল সেই ইউনিভার্সিটির অনেক অসাড় গল্প ছাপা হলো। পরে এই গল্প বাংলাদেশ মেডিকেল এবং ডেন্টাল কাউন্সিল পর্যন্ত গড়াল। তারা পত্রিকায় যা দেখেছে তা দেখে তারা তাদের নিজেদের ধান্ধায় মনোযোগী হলো। এদিকে বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীরা তাদের আত্মীয় স্বজনদেরকে বিএমডিসি তে গিয়ে খবর নিতে বলল। ঘটনা আরো লেজেগোবরে হয়ে গেল। ছাত্রছা্ত্রীদের আত্মীয় স্বজনর যখন উৎকন্ঠা নিয়ে বিএমডিসি গেলেন তখন বিএমডিসির লোকেরাও তাদেরকে পেয়ে বসল এবং তাদেরকে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখানো শুরু করল, আর করবে না কেন ইউনিভার্সিটি পড়ালেখা নিয়েই কথা উঠে গেছে। তারা বলল চায়নার ডিগ্রি তারা অনুমোদন করবে না, আরো অনেক কিছু। শেষ পর্যন্ত অাত্মীয় স্বজনরা কি করবে, কোনো উপায় না দেখে ইন্ডিয়ার উদাহরন দিয়ে বলল ইন্ডিয়া তা চায়নার ডিগ্রি অনুমোদন দিচ্ছে এবং প্রমান স্বরূপ ইন্ডিয়া মেডিকেল কাউন্সিলের দেওয়া একটি চায়নিজ ইউনিভার্সিটির তালিকা নিয়ে আসল। সমস্যা এখন আরো গুরুতর হলো ঐ তালিকার মধ্যে আমাদের ইউনিভার্সিটর নাম নেই। কিন্তু কথা হচ্ছে ইন্ডিয়া এবং চায়নার সম্পর্ক ভালো নেই বলে ঐ তালিকা ইন্ডিয়া করে দিয়েছে এর সাথে বাংলাদেশের কোনোই সম্পর্ক ছিল না। ব্যাস আমাদের জীবনে এক বিভীষিকাময় অধ্যায় চলে আসল। কারন এই ইউনিভার্সিটির ডিগ্রি এখন বিএমডিসিতে অনুমোদন হবে না। আমাদের এই কয়েক বছর জলে গেল। সবাই প্রথম আলোর ঐ লেখায় দেখল বিএমডিসি অন্য তালিকাভুক্ত ইউনিভার্সিটিতে ট্রান্সফার করে নেওয়ার জন্য সাজেশন দিয়েছে (যদিও এটা এক রকম বিশাল চক্রান্ত ছিল)। যে পেরেছে , যার আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল তারা রাতের ঘুম হারাম করে বিশাল চায়নার এক জায়গা থেকে আরেক জায়গার বহু দূরত্ব পাড়ি দিয়ে শুধু তালিকাভুক্ত ইউনিভার্সিটিতে দৌড়াদৌড়ি করল, খাওয়া নাই, ঘুম নাই ট্রেনে করে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গাতে পাড়ি দিচ্ছে তালিকাভুক্ত ইউনিভার্সিটিতে ট্রান্সফার করানোর জন্য কেউ পারল না, সবাই হতাশ, কিন্তু আলো নিয়ে আসল সবুজ এবং স্বপন এবং তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে সময়ের বুঝদার আরেকটি গ্রুপ তৈরি হলো তারাও বলল তারা নাকি ট্রান্সফার করিয়ে দিতে পারবে, কিন্তু ট্রান্সফার করা অনেক ব্যায়বহুল হবে। অর্থাৎ এই ট্রান্সফার নিয়ে সবুজ এবং স্বপন ব্যাবসা শুরু করে দিল এবং তারা স্বার্থকভাবে ব্যাবসায় সফল হলো। মাঝে যারা ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীরা অনেক ভুক্তভোগী হলো অনেকের এমনও হয়েছে তালিকাভুক্ত ইউনিভার্সিটিতে এসে তার পড়ালেখা চালিয়ে যেতে আর সমর্থ হলো না ফলে তারাও পড়ালেখা বাদ দিয়ে ব্যাবসা বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়ল। এই সবকিছু হলো শুধু প্রথম আলোর মিথ্যা প্রতিবেদনের কারনে। তারপরও কিছু ছাত্রছাত্রী ট্রান্সফার না করিয়ে রয়ে গেল, তারা শুধু পড়ালেখায় মনোযোগী হলো, যেহেতু আর্থিকভাবে কিছু করার সামর্থ নেই সুতরাং এখান থেকে পড়েই যা কিছু করা যায় তারা তা করবে। এবং তারা পরবর্তীতে বিএমডিসিতে এসে বিএমডিসির পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে, পাস করে তারাও অনুমোদন পেল। বাকি যারা ট্রান্সফার করল তাদের অনেকের ১ বছর লস দিতে হয়েছিল কারো ছয় মাস লস দিতে হয়েছিল। কারন তালিকভুক্ত ইউনিভার্সিটির শর্ত অনুযায়ী তাদের ১ বছর অথবা ৬ মাস লস দিয়ে ভর্তি হতে হয়েছিল, সাথে মোটা অংকের টাকা ঐ সবুজ, স্বপনদের মাধ্যমে ইউনিভার্সিটির এজেন্টদেরকে দিতে হয়েছিল। এত সব কিছু শুধু ঐ প্রথম আলোর মিথ্যা সংবাদের জন্য হয়েছিল, অনেকের কাছে টাকা ছিল না খাবারের জন্য কিন্তু ট্রান্সফারের জন্য খালি এদিক ওদিক ছুটাছুটি করল। এই ভোগান্তির জন্য প্রথম আলোকে কেউ কি দায়ী করবে?????????? কেউ কি এর বিচার করবে?????????? সাংবাদিকদের এইরকম তথ্য সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে কেউ কি রুখে দাড়াবে না??????????????? সাংবাদিকরাও সন্ত্রাসির রূপ নেওয়া শুরু করছে কিন্তু তারা তাদের এই রূপ অন্যজনের উপর চাপিয়ে দেয় সুকৌশলে।
রাজশাহী মেডিকেলে একজন এ্যানএক্সাইটির ডিসঅর্ডারের রোগী ভর্তি হলো, তাকে স্বাভাবিকভাবে চিকিৎসক পরীক্ষা করবে অথবা চেক করবে। রোগী অজ্ঞান হলে তাকে কপালের মধ্য জোর দিয়ে চাপ দিয়ে পেইন স্টিউমুলেশন চেক করা লাগে , সেইটাই ইন্টার্ণী চিকিৎসক করল , সেখানে রুগীর সাথে রুগীর কয়েকজন লোকজন ছিলেন (যদিও একজনের বেশী লোক রুগির সাথে থাকতে পারবে না তারপরও একের অধিক ছিল) তাদের মধ্যে একজন দিল ডাক্তারকে কষিয়ে চড়, কেন ডাক্তার রুগির কপালে এত জোরে চাপ দিল। বেচারা ডাক্তার কি আর করবে, বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর হাসপাতালের আরো ইন্টার্ণী ডাক্তার সেখানে আসল এবং হাসপাতালের পরিচালক চলে আসল এবং রুগির সাথের ঐ লোকটিকে আটকিয়ে রাখলেন । লোকটির একজন পরিচিত বন্ধু সাংবাদিক ছিল তাকে তিনি ফোনে কল করে জানাল যে রুগির সাথে ডাক্তার উল্টাপাল্টা চিকিৎসা দিচ্ছে এবং তাকে ধরে আটকিয়ে রেখেছে। ব্যাস সেই সাংবাদিক বন্ধু তার দলবল নিয়ে রাজশাহী হাসপাতালে চলে আসল এবং সাথে করে বাশঁ ও নিয়ে আসল। হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের জানালেন যে এটা একটা ছোট ব্যাপার আপনারা ফেরত চলে যান তারা কেউ ফেরত যেতে রাজি হলো না এবং বাক তর্কে ইন্টার্ণী ডাক্তাদের সাথে লিপ্ত হলো। এক পর্যায় তারা ইন্টার্ণী ডাক্তাদের উপর চড়াও হলো এবং একজন ইন্টার্ণী ডাক্তারকে হাতের বাশঁ দিয়ে বাড়ি মারল ফলে সেখানে সাংবাদিক এবং ইন্টার্ণী ডাক্তাদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলো এই অবস্থায় সন্ত্রাসী সাংবাদিক হলে যা হয় , তাই হলো , সন্ত্রাসী সাংবাদিকরা তাদের সন্ত্রাসী ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও ফুটেজ বানিয়ে মিডিয়াতে ফলাও করে প্রচার করল আর এই ভিডিও নিয়ে সব মিডিয়া তাদের অযাচিত সংবাদ প্রচার করা শুরু করল এবং মিথ্যাচারের সীমা অতিক্রম করে এই ও প্রচার করল রোগী চিকিৎসকের অপচিকিৎসায় মারা গেছে কিন্তু কোনো রোগি মারা যায়নি। কিন্তু মিডিয়া বলে কথা, মিডিয়ার ত একটা সত্যনিষ্ঠের তকমা আছেই সুতরাং তারা যা বলল তাই সত্য হলো অথচ উল্টা ডাক্তার মার খেল এবং তাদের নামেই অপপ্রচার করা হলো। আর কত এই তথ্য সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাসী করে যাবে??????????আর কত????? আজকে বাংলাদেশে প্রতিদিনে পীর হাবিবুর রহমান হেডিং দিয়ে একটি প্রতিবেদন ছাপাল - হে ইন্টার্নিগণ, সন্ত্রাসী নয় ডাক্তার প্রাণ গোপাল হও। আমি এবং আমরা যারা ইন্টার্ণী ডাক্তাররা আহ্বান জানাচ্ছি হে সাংবাদিকরা, (তথ্য) সন্ত্রাসী নয় ভালো সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিক হও। এখন সাংবাদিকরা যা করছে তাতে দেশের ক্ষতি হবে। বর্তমান সময়ের সাংবাদিকরা রাজনৈতিকভাবে এমনভাবে জড়িত হয়ে গেছে যে তারা এখন আর ভালো সাংবাদিকতা করছে না, করছে শুধুই মিথ্যাচার। মিথ্যাচার বন্ধ করুন দয়া করে, দেশের মঙ্গলের জন্য , দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য এই রকম চরম মিথ্যাচার বন্ধ করুন। আগে সাংবাদিকদের জন্য অনেক মায়া হতো এইজন্য যে কেন এই সাংবাদিকদের হত্যা করা হয়, কিন্তু বর্তমানে সাংবাদিকরা যা করছেন তাতে তাদের উপর মায়া উঠে যাবে। এখনও সময় আছে সাংবাদিকদের উচিত হবে সত্য প্রকাশ করা এবং পক্ষপাতিত্ব বাদ দেওয়া এবং সত্যনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫