somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আজকের দিন প্রথম রিকশাওয়ালা, দ্বিতীয় পোষ্ট অফিসের ষ্টাফ

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কোন কিছু না হলে আমি ব্লগে লিখি না। আজকের দিনে যা ঘটল আমার সাথে, মনটাই খারাপ হয়ে গেল। কিছুই বুঝতে পারলাম না। জীবনে চাকরির জন্য একটা এনজিও-তে ঢুকলাম আর অফিস হচ্ছে লক্ষীপুরে। মাস তিনেক হয়ে গেছে এখানে এসেছি কিন্তু এরকম ঘটনা আর হয় নাই, আজকেই প্রথম। সকালে ঘুম থেকে উঠে হাঠাৎ করে মনে পড়ল যে একটা সরকারী চাকরির জন্য পে অর্ডার করেছিলাম ওটা কোথায়। সারা ঘর খুজলাম কিন্তু পাচ্ছিলাম না। অনেক দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলাম এত টাকার পে অর্ডার হারিয়ে গেল!!!! এদিকে দেখি অফিসের সময় হয়ে গেছে, ৯টা অলরেডী বেজে গেছে। তারপর আর না খুঁজে তড়িঘড়ি করে বাসা থেকে বের হলাম, যেহেতু দেরি হয়ে গেছে তাই একটা রিকসায় উঠলাম। সাধারণত এখান থেকে আমার অফিসের ভাড়া ১০ টাকা কিন্তু আমি মাঝে মধ্যে ১৫ টাকাও দিই। আজকে অফিসের সামনে নেমে যখন টাকা দিতে যাব তখন রীতিমত রিকসাওয়ালা আমাকে হুমকির মত করে বলছে ২০ টাকা দেন। আমি ত তার দিকে আশ্চর্য হয়ে তাকিয়ে ছিলাম। আমি বললাম যে এখানে ত ১০ টাকা ভাড়া কিন্তু তোমাকে আমি ১৫ টাকা দিচ্ছি আবার তুমি কেন ২০ টাকা খুজছ। সে ত আমার সাথে বাকবিতন্ডা শুরু করে দিল, এ দিকে আমার অফিসের ও দেরি হচ্ছে, আমার ত মেজাজ একেবারে বিগড়ে গেল। তারপর বললাম ভালোর ভালো এখান থেকে ১৫ টাকা নিয়ে চলে যাও। তারপরও সে আমার সাথে তর্ক করতেছিল এবং যাওয়ার সময় বলল যে আপনারা ত ঐ কিস্তিওয়ালা। আমাদের দুইটা প্রজেক্ট, একটা হচ্ছে মাইক্রোক্রেডিট আরেকটা হচ্ছে আমাদের সূর্যের হাসি ক্লিনিক এর ইউএসএইড প্রজেক্ট। রিকসাওয়ালা মনে করেছিল যে আমি মাইক্রোক্রোডিটে কাজ করি। এই সকাল সকাল রিকসাওয়ালার সাথে বাকবিতন্ডা দিয়ে শুরু করে অফিসও শুরু করলাম। পরে অফিসে এসে আমার টেবিলের ড্রয়ারে দেখি ঐ পে অর্ডার, হাফ ছেড়ে বাচলাম। যাই হোক দুপুরে চাকরির চিঠি পোষ্ট করতে লক্ষীপুর পোষ্ট অফিস গেলাম সেখানে গিয়ে দেখি পোষ্ট অফিসের কর্মচারি এবং কর্মকর্তা জামাতে অফিসের ভিতর নামজ পড়ছে, তাই দেখে আমি বাইরে দাড়িয়ে ছিলাম, যেহেতু নামাজ পড়ছে তাই নামাজের পরেই যাব মনস্থির করলাম। জামাতে নামাজ পড়া শেষ করার পর গেলাম কাউন্টারে সেখানে বললাম আমার চিঠিটা রেজিস্ট্রার করে পাঠাতে হবে, আমাকে কাউন্টারের অপর পাশ থেকে লোকটা বিড় বিড় করে কি বলল আমি বুঝতে পারলাম না। আমি মনে করলাম লোকটা কাজে ব্যস্ত তাই দাড়িয়ে অপেক্ষা করলাম, প্রায় ১৫ মিনিট দাড়িয়ে অপেক্ষা করার পর লোকটা আমাকে জিজ্ঞেস করল আপনি কি করতে চান, আমি উত্তরে বললাম আমি চিঠিটি পাঠাতে চাই রেস্ট্রার করতে হবে সে বলল এখন অসময়ে আসছেন কেন? এখান থেকে ২ টা পর্যন্ত চিঠি রেজিস্টার করে পাঠাই, আমি বললাম আমি ত আগেই আসলাম কিন্তু আপনারা নামাজ পড়তে ছিলেন তাই আমি ভিতরে আসিনি। সে আমাকে বলল, তাহলে কি নামাজ পড়ব না, আমি বললাম আপনারা নামাজ পড়ছিলেন তাই ত আমি ভিতরে আসিনি। পরে ভিতর থেকে একজন বলল আমি উনাকে দেখেছি ,যে উনি, নামাজ পড়ছিলেন বলে ভিতরে আসেননি। তার কথা শুনে তিনি আমার চিঠি রেজিস্ট্রার করতে রাজি হলেন। আমি চিঠিতে আগেই ১০ টাকার ষ্ট্যাম্প লাগিয়ে নিয়েছিলাম, এবং এর আগেও আমি এরকম চাকরির একটা চিঠি পোষ্ট করেছিলাম কিন্তু আমার থেকে তারা কোনো টাকা রাখে নাই হয়তোবা ভুল করে আর আমিও জানতাম না যে টাকা দিতে হয়, আমি ওখান থেকে চলে আসছিলাম টাকা না দিয়ে, তাই আমি মনে করছিলাম যে টাকা দেওয়া লাগবে না। কিন্তু তারা বলতেছে ১০ টাকা দেওয়া লাগবে, আমি বললাম যে আগে ত টাকা দেওয়া লাগে নাই, এখন কেন লাগতেছে, তাদের মধ্যে একজন দাড়িওয়ালা লম্বা করে লোক বলল তাহলে আগের টাকাটাও দিয়ে যান। কি আর করা, ঠেকা আমার তাই উপায়ন্তর না পেয়ে টাকা দিতে গেলাম। এখন টাকা দেওয়ার সময় দেখি ১০০০ টাকার নোট ছাড়া কোনো নোট নাই, তাই বললাম ওনাকে ১০০০ টাকার ভাংতি দেন। তারা আমার সাথে এমন আচরন করে কথা বলতেছিল যে আমি এখানে ভিক্ষুকের মত তাদের কাছে চিঠি পাঠানোর জন্য আবদার করতেছি। আজকের পুরা দিনটাই আমার খারাপ গেল। যাই হোক এত কিছু হলো তাই পোষ্ট অফিসের ঐ লোকটাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনার নামটা কি, লোকটা উত্তরে বলল ফারুক। সাথে আমি তার ছবিটাও তুলে রাখলাম। এইভাবে আমাদের দেশে এত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের লোকদের দিয়ে প্রতিষ্ঠান চালায় যারা সঠিক কোনো তথ্য সঠিকভাবে দেয় না এবং মানুষকে সারাদিন হয়রানির উপর রাখে। আজকে কি তাহলে আমার রাশিই খারাপ ছিল????????? পোষ্ট অফিসের ঐ লোকটার ছবি দিলাম

সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×