somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিক!

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বলটি যখন আমার পায়ে আসল তখন আমি ডি-বক্সের ভেতরে। সামনে গোলকিপার ছাড়া আর কেউ নাই। চারদিকে গোল গোল চিৎকার। আমার গোল করার দক্ষতার ব্যাপারে এখন সবাই জ্ঞাত। এরকম অবস্থায় বল পেলে আমি খুব কমই ব্যর্থ হই। আমি জানি এ অবস্থায় কিভাবে গোলকিপারকে ড্রিবল করে গোল দিতে হয়। আমি কিন্তু আজ গোল দেব না। তাই খুব জোরে কিক মারলাম। বলটি গোল বার ঘেঁষে বাইরে চলে গেল। বোকা দর্শকেরা বুঝল আমার চেষ্টা সত্ত্বেও গোলটি হল না। একটা হতাশ ধ্বনি ভেসে আসল দর্শকসারি থেকে। কেউ বুঝলই না, আমার লক্ষ্য ব্যর্থ হয়নি। আমি যেদিকে টার্গেট নিয়েছিলাম বলটি সেদিকেই গেছে।

কেন আমি গোলটি করলাম না, সে প্রশ্নে পরে আসি। আগে আমার পরিচয় দেই। আমার নাম আসলাম। আমার বাবা ছিলেন ফুটবল পাগল। তার প্রিয় দল ছিল আবাহনী আর প্রিয় খেলোয়াড় ছিল আসলাম। আসলামকে চিনেছেন? সেই আসলাম, যিনি আশির দশকে বাংলাদেশের ফুটবলকে মাতিয়ে রেখেছিলেন। বাবা চেয়েছিলেন আমি আসলামের মতো স্ট্রাইকার হই। বাবার স্বপ্ন আমি পূরণ করেছি। আমি আসলামকেও ছাড়িয়ে গেছি। আমাকে কেবল বাংলাদেশের ফুটবলই চেনেনা, মাঝে মাঝে ভারত, পাকিস্তানের ফুটবল লীগেও খেলতে যাই আমি। আমি কোন ৯০ মিনিটের ম্যাচে খেলব, আর একটি গোলও করব না, এমনটা হয় না কখনও। একটা গোল করার জন্য ৯০ মিনিট আমার কাছে অনেক বেশি বলে মনে হয়। বাবার স্বপ্ন পূরণ করেছি ঠিক, তবু কিছুটা দু:খবোধ আমার রয়েই গেছে। কারণ বাবা খেলাধূলায় আমার এ তুমূল জনপ্রিয় সময়টা দেখে যেতে পারেননি। আমি যখন দশম শ্রেণীতে পড়ি তখনই বাবা রোড এক্সিডেন্টে মারা যান।

তারপর থেকে চরম দৈন্যতার মধ্য দিয়ে দিন গেছে আমার ও আমাদের পরিবারের। এহেন অবস্থায় ফুটবলে মনোযোগী হওয়া প্রায় অসম্ভব ছিল। সম্ভব হয়েছে আমার মায়ের জন্য। মা ও চাইতেন আমি যেন আমার বাবার স্বপ্নটি পূরণ করি। স্কুল ফুটবলে ভাল করায় মা এটা বুঝতে পেরেছিলেন যে আমার দ্বারা ফুটবলে অবশ্যই কিছু করা সম্ভব। তাই মা আমাকে সুযোগ করে দেন ফুটবল খেলার। আমি দেথেছি মা সংসার চালিয়ে নিতে কি ভয়াবহ কষ্টটাই না করেছেন। আমাদের ভাইবোনকে আগলে রাখতে কতই না পরিশ্রম করেছেন তিনি। আজ আমি পুরোদস্তুর এক জনপ্রিয় ফুটবলার হয়ে পারিবারিক সেই দারিদ্র ঘুচিয়েছি, মায়ের পরিশ্রম লাঘব করেছি। পুরোটা কি পেরেছি? মাকে এখন আর কাজ করতে হয় না এটা ঠিক, কিন্তু তাকে কতটা আরাম আয়েশ দিতে পেরেছি আমি? করতে পেরেছি কি তার চিকিৎসার ব্যবস্থা? আসলে বাংলাদেশে ফুটবল খেলে খুব ভালভাবে জীবিকা নির্বাহ করা কষ্টের ব্যাপার- একথা যারা ফুটবল খেলেন তারা খুব ভাল করে জানেন। তাই আমরা দেখতে পাই খেলোয়াড়রা কিছুটা নাম কামানোর পরপরই ব্যবসায় হাত দেন। জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে ব্যবসা শুরু করেন। আর এ কারনেই এশিয়ায় তো দূরের কথা দক্ষিন এশিয়াতেই শ্রেষ্টত্বের ঝান্ডা ওড়াতে ব্যর্থ হই আমরা।

দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হল। আরো ৪৫ মিনিট কাটাতে হবে গোল না করে। আমার জন্য ব্যাপারটা আসলেই কঠিন। কিছুক্ষণ পরপরই গোলকিপারকে একা পেয়ে যাচ্ছি আমি। সবাই জানে জুৎসুই জায়গায় বল পেলে গোল করতে কষ্ট করতে হয় না আমার। আজ এই একের পর এক গোল মিস দেখে দর্শকরা না আবার বুঝে ফেলে ব্যাপারটা। তাই বেশ ভয়ে ভয়ে আছি। ইদানিং পাতানো খেলা নিয়ে বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটে যাওয়ায় সবাই খুব সতর্ক। মিডিয়াগুলি একের পর এক রিপোর্ট করে বাফুফেকে আর ঢিলে অবস্থায় থাকতে দিচ্ছে না। বাইলজে পাতানো খেলার বিষয়ে ২০ নং ধারায় অনেক নিয়মকানুন থাকলেও এতোদিন বিষয়টাকে কেউ গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু গত মৌসুমে শেখ জামাল আর রহমতগঞ্জের খেলার পর শেখ জামালের এক কর্মকর্তা আর রহমতগঞ্জের গোলকিপারের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি খেলোয়াড়দের সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছে। তবু পাতানো খেলা তো যুগ যুগ ধরে চলছেই। পাতানো খেলার চাইতে বরং আমাদের দেশে বোঝাপড়ার খেলাটাই বেশি হয়। বোঝাপড়ার খেলাটা হয় তখন যখন দুই দল দেখে যে খেলায় একটা নির্দিষ্ট রেজাল্টে উভয় দলই পরের রাউন্ডে উঠে যাবে। তখন খেলার ফলাফল হয় পূর্ব নির্ধারিত। এসব খেলা ধরতে পারাটা বেশ কঠিন। দেখা যায়, কোচ সব দুর্বল খেলোয়াড় মাঠে নামিয়েছে। অথবা, যে খেলোয়াড়টি ভাল খেলছে তার বদলে বদলী খেলোয়াড় নামানো হয়েছে হঠাৎ। না, আমকে কোচ মাঠের বাইরে নিবে না। সে ভয় নাই, কারণ এটা সে অর্থে পাতনো খেলা না।

আজ যা ঘটতে যাচ্ছে তাকে কি আসলেই পাতানো খেলা বলা যায়? ঘটনাটা বলি। গতকাল িবকেলে যখন আমি বৈকালিক প্র্যাকটিস শেষে বাসায় ফেরার পথে একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকে চা খাচ্ছিলাম তখন হুট করে জাগরনী ক্লাবের এক কর্মকর্তা আসলেন। আমাকে দুই লাখ টাকা অফার করলেন, বিনিময়ে কেবল আজকের জাগরনী ক্লাবের বিরূদ্ধে খেলায় কোন গোল দিতে নিষেধ করলেন। খেলছি সেই ছেলেবেলা থেকেই। এমন অফার আগে কখনো পাই নাই। কেউ আমাকে এমন করে নির্লজ্জের মতো এমন একটা কিছু বলবে চিন্তাও করি নাই কখনো। তাই আমার জবাবটি কিভাবে দেব সেটাই ভাবছিলাম। আমার দ্বারা ফুটবলের সাথে প্রতারণা করা কখনোই সম্ভব না। তবু আমার সময় লাগছিল উত্তর দিতে, কারণ যিনি প্রস্তাবটি দিয়েছিলেন তিনি পারিবারিকভাবে আমার পরিচিত। তাকে বেশ ভদ্রভাবেই জবাবটি দিতে চাচ্ছিলাম। মনের মধ্যে হঠাৎ জেগে উঠা রাগ চেপে রাখার চেষ্টা করছিলাম তাই। ফুটবল আমার কাছে একটা পেশন, একটা ভালবাসা। তিসিকে আমি যতটা ভালবাসি, ফুটবলকেও ঠিক ততোটাই। খেলা নিয়ে কোন নাটক করা যায় তা আমি স্বপ্নেও ভাবিনা। পাতানো ম্যাচের কথা অনেক শুনেছি। হ্যানসি ক্রনিয়ের কথা যখন জানতে পেরেছিলাম, ভীষন অবাক হয়েছিলাম, কষ্ট পেয়েছিলাম। একজন সত্যিকারের খেলোয়াড় কখনোই পারে না খেলা নিয়ে কোন ভনিতা করতে। যারা টাকার কাছে নিজের স্বত্তা বিকিয়ে দেয় তাদেরকে আমি ঘৃণা করি। সেই আমি কিনা গতকাল ঐ লোকটির অফারে সাড়া দিয়ে দিলাম হুট করে। হুট করে বললে ভুল হবে। এই অফার এক্সেপ্ট করার পেছনে যথাযথ কারণ আছে। আমার নিশ্চুপ থাকা অবস্থায় লোকটি যখন বলে উঠল, এ অফারটি আমরা তোমাদের টিমের বড়কর্তাকে দিতে পারতাম। তিনি রাজী হতেন। কিন্তু আমি নিজেই অফারটা কেবল তোমার জন্য নিয়ে আসলাম। আমি জানি তোমার দল গোলের জন্য পুরোপুরি তোমার উপর নির্ভর করছে। তোমাদের দলে গোল করার মতো কেবল তুমিই আছ। আর তোমার থেকে নিশ্চয়তা পেয়ে গেলে তোমার পেছনে যে দুজন প্লেয়ার লাগিয়ে রাখতাম, তারা ফ্রি হয়ে যাবে। মোটামোটি শিওর তুমি গোল না দিলেই আমরা ম্যাচটা অন্তত পক্ষে ড্র করতে পারব। আর তুমি তো জানই যে, ফার্স্ট ডিভিশনে টিকে থাকতে গেলে শেষ এই ম্যাচটিতে আমাদের এ্যাট লিস্ট ড্র করতেই হবে। তুমি ভেবে দেখো কি করবে। আমি জানি টাকাটা তোমার মায়ের চিকিৎসার জন্য দরকার, তাই আমি মেনেজমেন্টকে রাজী করিয়ে তোমার বড়কর্তার কাছে না গিয়ে তোমার কাছে আসলাম। আর ড্র হলেও তো তোমাদের টিমের কোন সমস্যা না। ফাস্ট পজিশন তোমদের থাকছেই। অকাট্য যুক্তি লোকটার। সবচেয়ে বড় যুক্তি, টাকাটা পেলে মায়ের ইমিডিয়েট একটা অপারেশন করাতে পারব। হ্যা, এই যুক্তির কাছেই হার মেনেছিলাম গতকাল। আমার মা আগে, তারপর ফুটবল, নয়কি?

উফ! পেছন থেকে আচমকা ধাক্কা! এরকম রাফভাবে কে ধাক্কা দিল আমাকে? রাজীব। রাজীবের বাচ্চা রাজীব। আমি, রাজীব আর তিসি একসাথে পড়তাম। আমার মতো করে সেও বোধহয় তিসিকে ভালবাসে। কিন্তু তিসি ভালবাসে আমাকে। যে কারনে সে আমাকে কেবল খেলোয়াড়ি জীবনেই না, বাস্তব জীবনেও প্রতিপক্ষ মনে করে। বোধ করি সে কারনেই এখন আমাকে এরকম রাফলি টেকল করল, মনের ঝাল মেটাল খানিকটা। না, রেফারী ফাউলের বাঁশি বাজালেন না। ফুটবলে এরকম একটা সুযোগ থেকে যায় যে, তুমি ইচ্ছে করে যে কাউকে সারা জীবনের জন্য পঙ্গু করে দিতে পার। তোমাকে কিছু বলবে না কেউ। পুরো ফুটবল খেলাটাই আসলে শিল্প। ল্যাং মারার মধ্যেও শিল্পের ছোঁয়া! তাইতো ফুটবল আমার এতো ভাল লাগে। আর ভাল লাগে আমার তিসিকে। তিসিকে দেথলেই মনে হয় কোন শিল্পী যেন তুলির নিখুঁত আঁচরে এঁকেছেন তাকে। কোথাও কোন খাঁদ রাখেননি। ওহহো! আজকের খেলা কিন্তু তিসিও দেখতে এসেছে। হায়রে ভাগ্য! আজ প্রথম তিসি আমার খেলা সরাসরি দেখতে স্টেডিয়ামে আসল, আর আজকেই কিনা আমি কোন গোল করব না। এ আমি কিভাবে হতে দিতে পারি? কিন্তু টাকাটা! টাকাটা পেলে যে আমর বড্ড উপকার হবে। আগে তো মা, তারপর তিসি আর ফুটবল। আজ যাই ঘটুক। আমি গোল দিব না। এত সহজে এতগুলা টাকা হাতছাড়া করা কি উচিত হবে? ডাক্তাররা ঔষধ কোম্পানীগুলো থেকে কমিশন খায়, পুলিশ টাকা খেয়ে আসামী ছেড়ে দেয়, সরকারী কর্মচারীর কাছে একেকটা ফাইল পাশ করা মনেই উপরি কিছু টাকা, মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী থেকে সবাই বেপথে টাকা খাচ্ছে, এমনকি যে শিক্ষক জাতির মেরুদণ্ডস্বরূপ সেও তো বই চালানোর বিনিময়ে প্রকাশকদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে ইচ্ছেমতো। আর আমি তো নগন্য এক ফুটবলার, তাও একটা মাত্র ম্যাচে গোল না করার বিনিময়ে টাকা নেব। তাও টাকাটা নিব আমার মায়ের চিকিৎসা করানোর জন্য। মা তো সার্বজনীন, মায়ের চিকিৎসার চাইতে ভাল আর কোন কাজ হতে পারে নাকি?

বল আবার আমার পায়ে। খেলার বাকি আর মাত্র পাঁচ মিনিট। আমি জানি আমাকে এ অবস্থায় কি করতে হবে। সবাই ভাববে, আশে পাশে থাকা অন্য খেলোয়াড়কে আমি বলটা পাস দিয়ে দেব। আমার দিকে একজন এগিয়ে আসবে, বাকিরা থাকবে আশেপাশে আমাদের অন্য খেলোয়াড়দের মার্কিং করতে। এসব পরিস্থিতিতে কোন ভাল খেলোযাড় নিজের পায়ে বল রাখে না বেশিক্ষন। আমি জানি, এ অবস্থায় তাই আমাকে এর উল্টোটা করতে হবে। যে আসবে আমাকে টেকল করতে তাকে ডজ দিয়ে এগিয়ে যাব ডি বক্সের বাম দিকে। গতি দিয়ে সবাইকে পেছনে ফেলে গোল কিপারের সামনে গিয়ে ডান কর্নারে নিব তুমুল এক কিক। খুব কম গোলই মিস হয় আমার এমন প্ল্যানে। কিন্তু আজ আমি বলটি ছেড়ে দেব ডি বক্সের দিকে। কেউ যদি পারে গোল দিবে, না পারলে না। তবে আমাদের দলে আমি ছাড়া আসলেই গোল করায় পারদর্শী আর কেউ না। এমন কন্ডিশনে গোল হবার সম্ভাবনা ক্ষীণ, আজ আমাকে বলটি ছেড়ে দিতে হবে সেই ক্ষীণ সম্ভাবনার দিকেই। যে টেকল দিতে আসল তাকে কাটিয়ে আমি তৈরী হলাম বলটি ক্রস করে দিতে ডি-বক্সে। সবার উত্তেজনা টান টান। স্টেডিয়াম থেকে সমস্বরে চিৎকার ভেসে আসছে। তার মধ্যে হঠাৎ স্পষ্ট করে শুনতে পাচ্ছি একটা নারী কণ্ঠ। গোল... কার চিৎকার এটা? তিসির? নাকি আমার মার? মা কখন আসল খেলা দেখতে? এটা তিসি হবে। সে নিশ্চয়ই কায়মনো বাক্যে চাচ্ছে গোলটা যেন আমি করতে পারি। আমার মাও নিশ্চয়ই ঘরে বসে অপেক্ষা করে আছেন আমার গোল করার বর্ণনা শুনার জন্য। কি আশ্চর্য! বলটি কিছুতেই আমি ছাড়তে পারছি না। বল নিয়ে তুমূল গতিতে ছুটে চলেছি সামনের দিকে। আমার কাছে নিজের এ গতি অবিশ্বাস্য লাগছে। যারাই এগিয়ে আসছে বলটি কেড়ে নিতে, তারাই শুধু গতিজনিত কারনে পিছিয়ে পড়ছে একে একে। কোথা থেকে জানি ভৌতিক একটা শক্তি এসেছে আমার পায়ে, মনে হচ্ছে চাইলেই আমি আলো থেকেও দ্রুত দৌড়াতে পারব। বাম দিকে থেকে ডি বক্সের ভেতরে ঢুকে গেলাম চোখের পলকেই।। কিন্তু আমি তো আজ গোল দেব না। বলটি মারতে হবে পোস্টের বার ঘেঁষে বাইরে। খেয়াল রাখতে হবে কেউ যেন কিছুতেই না বুঝে আমি ইচ্ছে করে গোলটি মিস করেছি। খুব নিঁখুত ভাবে লাথি বসাতে হবে বলের উপর। খুব নিঁখুতভাবে। বল পোস্টে লেগে বাইরে চলে গেলে সবচেয়ে ভাল হয়। এ যাবত কখনো বল আমার পা আর চোখের আদেশ অমান্য করেনি। কিন্তু আজ এই বিশেষ মুহুর্তে বলকে আমার কাছে খুব বেয়াড়া বলে মনে হচ্ছে। বুঝতে পারছি না কি হবে। নিজের কানকেও অবিশ্বাস্য লাগছে খুব। গ্যালারীতে এত এত মানুষের চিৎকার। অথচ আমি কেবল শুনতে পাচ্ছি কেবল একটি নারী কণ্ঠ, কার কণ্ঠ এটা? িতসির, না মায়ের? গোল বলে কে চিৎকার দিচ্ছে? আমার মা, নাকি তিসি? এখন আমি যেখানে আছি সেখান থেকেই আমি সবসময় কিক নিতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। নিলাম কিক! বল এগিয়ে যাচ্ছে। খোদা! বলটি যেন পোস্টে লেগে তারপর বাইরে চলে যায়!
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×