somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তামান্নার মোবাইল

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সে তোমাকে প্রতি রাতে মেসেজ দেয়? মৃত মানুষের মেসেজ নিয়ে আমার মনে তখন স্বাভাবিক সন্দেহ।
হু। তামান্না মাথা নাড়ল।
তুমি কি শিওর ওটা রাহুলের নাম্বার?
হু। নাম্বারটা আমার মুখস্থ।
এমনটাও তো হতে পারে যে, ওর নাম্বার থেকে আর কেউ তোমাকে মেসেজ দেয়?
না, এটা হবার কোন সুযোগ নেই। কারন ও মারা যাবার পর ওর মোবাইলটা কেউ খুঁজে পায়নি। আর সে তো আমাকে বলেই ছিল যে, মারা গেলেও মোবাইলের মাধ্যমে আমার সাথে যোগাযোগ রাখবে।
তবু বলছিলাম যে এটা হবার না। মৃত মানুষের সাথে যোগাযোগ সম্ভব না।
কে বলেছে সম্ভব না? সে তো আমার সাথে যোগাযোগ করছেই। আর তার মেসেজ লেখার ভঙ্গি, আমাকে চাঁদ পাখি বলে সম্বোধন, আমাদের একান্ত কিছু স্বপ্ন, মুহুর্ত- এসব তো আমরা ছাড়া তৃতীয় কারু জানা সম্ভব না।

শেষের দিকে তামান্না বেশ উত্তেজিত হয়ে গেলে আমি আর কথা বাড়ালাম না। এক রহস্য ভাঙার পর আরেক রহস্যে হাবুডুব খাওয়া শুরু করলাম।
তামান্নার বাবা কৃষি অফিসার। সম্প্রতি ট্রান্সফার হয়ে মৌলভীবাজারে এসেছেন। আমাদের পাশের বাসায় ভাড়া উঠেছেন। তারপর থেকেই তাদের সাথে আমাদের পরিবারের পরিচয়। পরিচয় এবার ডিগ্রী পরীক্ষার্থী তামান্নার সাথে আমারও। তামান্নাক দেখার পরপরই কেন জানি না তাকে আমার বেশ ভাল লেগে যায়। সেজন্যেই একদিন তার কাছে তার মোবাইল নাম্বারটা চাওয়া।
সে অবশ্য বারবার বলছিল, কোনো দরকারে যদি আমাকে কল দিতে চান তবে আমার মার নাম্বারে কল দিয়েন।

কেন তোমার নাম্বারে কল দিলে কি মহা অন্যায় হয়ে যাবে?
না, আমি আসলে মোবাইলে কথা বলি না।
মোবাইল আছে, অথচ কথা বলে না- এটা বিশ্বাস করার মতো অতোটা বোকা আমি না। তাই জোর করেই তার কাছ থেকে মোবাইল নাম্বারটা নিলাম।

আশ্চর্য! মেয়েটা দেখি সত্যি সত্যি মোবাইলে কথা বলে না। কতো বার কল দিলাম, অথচ কলটা রিসিভ হল না। সে কি তবে ইচ্ছে করেই আমার কল রিসিভ করছে না? মনে সন্দেহ ঢুকার পর থেকে বিভিন্ন নাম্বার থেকে বিভিন্ন সময় কল দিয়ে দেখলাম, না কোন কলই রিসিভ হল না। এমনকি কখনো নাম্বারটা বিজি ও পেলাম না।

আরেকদিন তামান্নাকে রাস্তায় পেয়ে জিজ্ঞেস করলাম, কি ব্যাপার, কল ধরো না কেন?
আমি তো বলেছিই ভাইয়া আমি মোবাইলে কথা বলি না। সবসময় মোবাইল সাইলেন্ট থাকে।
কিন্তু কেন?
কারন আছে। বলে হেসে চলে গেল সে।

রহস্যের গন্ধ পেলেই আমার মনটা আকুলি বিকুলি করতে থাকে তার কারণ জানার জন্য। এক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ঘটল না। তড়িঘিড়ি নেমে পরলাম রহস্য উদ্ঘাটনে।

অনবরত জিজ্ঞাসাবাদে অবশেষে একদিন তামান্না মুখ খুলল। তার মুখেই শুনুন।

রাহুলের সাথে আমার পরিচয় আমি যখন ক্লাস নাইনে। পত্রিকায় লেখালেখি করতো সে। তার একটা লেখা পড়ে খুব ভাল লেগেছিল। ঠিকানা বের করে তাকে চিঠি দিয়েছিলাম প্রতিক্রিয়া জানিয়ে। সিম্পল একটা চিঠি। সেদিনকার সেই ছোট্ট আমি কখনোই ভাবিনি ওমন চমত্কার করে যে মানুষটি লিখতে পারে সে এই অধম আমার চিঠির উত্তর দিবে। তাই তার উত্তর পেয়ে আমার আনন্দ যেন আর ধরে না। আমরা তখন সিলেটে। সে ঢাকায়। চিঠি চালাচালি চলতে থাকল, আমাদের মধ্যেও একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠতে থাকল। এক দিন তার সাথে মোবাইল যোগাযোগ হল। তারপর থেকে মোবাইলে কথা। সবে তখন ডিজুস এসেছে। রাতের পর রাত বিনামূল্যে কথা হতো। একদিন ইয়াহু চ্যাটে তাকে দেখলাম। এতো ভাল লাগল যে, সেদিনই তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে দিলাম দুম করে। সে জানালো সেও আমাকে ভালবেসে ফেলেছে। তারপর সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে আমরা বড় হতে থাকলাম এবং আমাদের প্রেমও গভীর থেকে গভীরতর হতে থাকল। আমি যখন ক্লাস টুয়েলভে তখন সে চাকরী নিয়ে সিলেটে চলে আসল। আমি তাকে আমার বাবা-মার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলাম। সে আমাকে তার পরিবারে পরিচয় করিয়ে দিল। আমাদের প্রেমের সার্থক সমাপ্তিতে কোন বাঁধাই থাকল না। কথা ছিল আমি এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার পর আমাদের বিয়ে হবে। কিন্তু কপাল! ভাগ্যদেবী আমাদের এক হতে দিলেন না। সে একদিন রোড এক্সিডেন্টে...
তামান্নার চোখ গড়িয়ে পানি আসতে দেখে তাকে বললাম, থাক। আর বলার দরকার নেই।
সে চোখ মুছে তবু চালিয়ে গেল।
রাহুল প্রায়ই মজা করে বলতো, সে যদি মরেও যায় মোবাইলে আমার সাথে যোগাযোগ করবে।
আমিও মজা করে পাল্টা প্রশ্ন করতাম, তুমি মাটির নীচে কিভাবে নেটওয়ার্ক পাবে?
সে বলতো, কতটুকুইবা আর নীচে। ঐটুক নীচে কি আমাদের গ্রামীন ফোন কোম্পানীর নেটওয়ার্ক থাকবে না?
সে মারা যাবার পর আমার পৃথিবীটাও মরে গেল। আমি পাগলের মতো হয়ে গেলাম। তার মোবাইল ফোন নিয়ে এক মনে বসে অপেক্ষা করতাম। আমি জানতাম সে তার কথা রাখবে, সে মাটির নীচ থেকেও আমাকে কল দেবে।
তারপর হঠাৎ একদিন মোবাইলের মেসেজ টোন বেজে উঠল। দেখি রাহুলের নাম্বার থেকে মেসেজ! আমি আনন্দে অভিভূত হয়ে গেলাম। সে তার কথা রেখেছে। সে অন্য জগত থেকেও আমার সাথে যোগাযোগ করেছে! তারপর থেকে সে প্রতি রাতে একটা করে মেসেজ দেয়। তার মেসেজ পেয়ে তবেই আমি ঘুমাতে যাই। ঐ মোবাইলটা আমি কেবল তার মেসেজের জন্য রেখেছি।

রহস্য যত গভীর হল, আমার উত্সাহ ততো বেড়ে গেল। খুব রহস্য বই পড়তাম সবসময়, তাই সেই ছেলেবেলা থেকেই রহস্যময় বালিকা আমার খুব পছন্দ। রহস্যময়ী তামান্নার প্রতি আমার আগ্রহ ও ভাল লাগা আরো বেড়ে গেল।

রহস্য উদঘাটনে কিছুদিন খুব চেষ্টা করলাম। তামান্নাকে বলে রাহুলের সদ্য প্রাপ্ত একটা মেসেজ দেখলাম। রাহুলের নাম্বারে কল দিয়ে দেখলাম। সুইচড্ অফ! একটা মেসেজ সেন্ট করে রাখলাম যাতে মোবাইলটা অন হলেই ডেলিভারী রিপোর্ট দেখে তা বুঝতে পারি। না, মেসেজ ডেলিভার্ড হল না। মোবাইল কোম্পানীতে আমার এক বন্ধু কাজ করত। তাকে জিজ্ঞেস করে জানলাম সিমটা ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১০ সালের পর থেকে আর ব্যবহার করা হয়নি। রাহুল ঐ দিনই মারা গিয়েছিল। রাহুলের মৃত্যুস্থলে গিয়ে খোঁজ নিলাম।রাহুলের বাবা-মার সাথে দেখা করলাম, ওর খুব ক্লোজ ফ্রেন্ডকে খুঁজে বের করে রাহুলের কথা জিজ্ঞেস করলাম। আমার সবটুকু অনুসন্ধান এটা নিশ্চিত করল যে, রাহুল আসলেই মারা গেছে এবং মৃত্যুর পর রাহুলের মোবাইলটাও আর পাওয়া যায়নি। এই স্টেজে এসে আমার নিজের মনেও ভয় ঢুকে গেলো। এটা কিভাবে সম্ভব? মৃত মানুষের মোবাইল থেকে কি করে মেসেজ আসবে? রহস্য আরো বেড়ে গেল।

রহস্য সমাধানে ব্যর্থ হয়ে তামান্নার প্রতি ইন্টারেস্ট আর ভাল লাগা- দুইটাই কেন জানি না আরো বেড়ে গেল। ওদিকে আমারও বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজা হচ্ছিল। পরিচিত এক ম্যাচ ম্যাকারের মাধ্যমে তামান্নার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালাম। নিজে একটা ভাল জব করি বলে এটা জানা ছিল যে, তামান্নার বাবা -মা খুব সহজে আমাকে ফেলে দিতে পারবেন না। অপেক্ষায় থাকলাম। একদিন তামান্নার বাবা আমাকে তার অফিসে ডেকে পাঠালেন।
ভয়ে ভয়ে তামান্নার বাবার অফিসে গেলাম। কী বলবেন তিনি?
তামান্নার বাবা মানে রফিক চাচা এটা সেটা আলাপ করার পর হঠাৎ প্রাসঙ্গিক প্রসঙ্গ তুললেন।
ব্যাপারটা তোমার কাছে কেমন লাগবে জানি না, তবু তোমার ঘটনাটা জানা উচিত। তামান্নার বিয়ে ঠিক হয়েছিল রাহুল নামের একটা ছেলের সাথে।
ঘটনাটা যে আমি জানি এটা না জানিয়েই শুনতে থাকলাম তার কথা। তিনি বলে চললেন,
সবকিছু যখন ঠিকঠাক, বিয়ের এক মাস আগে ছেলেটি মারা গেল। তারপর থেকে তামান্না কেমন জানি হয়ে গেল। কারু সাথে কথা বলে না। সারাদিন ঘরে বসে থাকে। রাতের বেলা ভয়ে চিত্কার দিয়ে উঠে। সাইকিয়াট্রিস্ট দেখোলাম। তিনি বললেন, সারতে অনেক সময় নেবে। নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। আমাদের ফ্যামিলিতে সেটা ছিল ভয়াবহতম একটা সময়। আমাদের একমাত্র সন্তান মানষিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সামনে তার সারাটা জীবন পড়ে আছে। সে যদি সুস্থ না হয়, আমরা যখন থাকবো না তখন তার কী হবে। আমার আর তামান্নার মার নির্ঘুম রাতগুলো যেন কাটতেই চাইতো না। অবশেষে আল্লাহর অশেষ রহমতে তামান্না এখন সুস্থ। তুমি তামান্নাকে বিয়ে করতে চাও, তামান্নাও তোমাকে বেশ পছন্দ করে, তাই মনে করলাম বিষয়গুলো তোমার জানা উচিত।
আমি কি বলবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। তবু সাহস করে জিজ্ঞেস করলাম, সে সুস্থ হল কিভাবে।
উনি বললেন, এটাও তোমাকে জানানো উচিত বলে মনে করছি বাবা। কারণ আমি আর তামান্নার মা ঠিক করেছি সব কিছু যদি ঠিক থাকে তবে তামান্নাকে তোমার হাতেই তুলে দিবো। তবে ব্যাপারগুলো তোমাকে মেনে নিতে হবে।
আমি চুপ করে থাকলাম।
তুমি তো বুঝতেই পারছো বাবা, তামান্নার ঐ অবস্থায় আমার কষ্টটা। বুকটা ডুকুরে ডুকরে কেঁদে উঠতো। অথচ কারু কাছে তা প্রকাশ করতে পারতাম না। আল্লাহর কাছে কেবল প্রার্থনা করতাম আমার মেয়েটা যে কোন মূল্যে যেন সুস্থ হয়ে উঠে। কতো নামী দামী ডাক্তার দেখালাম। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। আমার মেয়েটা একটা মোবাইল নিয়ে সারা দিন রাত বসে থাকতো। মোবাইলটা সরিয়ে নিতে চাইলেই চিত্কার করে উঠতো। ছুরি, লাঠি হাতের কাছে যা পেতো তাই নিয়ে তেড়ে আসতো মারার জন্য। প্রায়ই বলতো, জানো বাবা, আমি শিওর রাহুল এই মোবাইলের মাধ্যমেই একদিন আমার সাথে যোগাযোগ করবে। আমি গোপনে কাঁদতে থাকতাম। তাকে সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা খুঁজে পেতাম না।
একদিন গুগলে একটা ঈদ এসএমএস খুঁজতে গিয়ে একটা ওয়েবসাইট পেলাম, যাতে বিনামূল্যে যে কোন মোবাইল নাম্বারে মেসেজ সেন্ট করা যায়। আমি পরীক্ষামূলক ভাবে তামান্নার নাম্বার ‘ফ্রম নাম্বার’ হিসেবে দিয়ে আমার নাম্বারটা ‘টু নাম্বারে’ লিখে সেন্ট অপশনে ক্লিক করতেই দেখি আমার মোবাইলে সত্যি সত্যি মেসেজ চলে আসল। মেসেজ সেন্ডার হিসেবে তামান্নার নাম্বারটা ডিসপ্লেতে আসল। এটা দেখে বুঝার কোন উপায় নেই যে মেসেজটা তামান্না পাঠায়নি। সাথে সাথে মাথায় অইডিয়াটা চলে আসল। তখনো জানতাম না আইডিয়াটা এভাবে কাজ করবে। তামান্নার মোবাইল চুরি করে রাহুলের মেসেজগুলো সব পড়ে নিলাম। রাহুলের মেসেজ লেখার স্টাইলটা আয়ত্ব করে সেই ওয়েব সাইট থেকে তামান্নাকে লিখলাম, তোমার আর কোন চিন্তা নেই। আমি আছি। প্রতি রাতে তুমি আমার কাছ থেকে একটা করে মেসেজ পাবে। তবে শর্ত হল, তুমি আবার আগের মতো হয়ে যাবে। সবার সাথে মিশবে। স্বাভাবিক হয়ে যাবে তুমি। তবেই কেবল আমি তোমার সাথে যোগাযোগ করব।
আশ্চর্য ব্যাপার। তামান্না দৌড়ে আমার রুমে আসল। তার মুখ হাসিতে উজ্জ্বল। আমাকে জানালো, রাহুল যোগাযোগ করেছে। আমিও এমন ভাব দেখালাম যে ব্যাপারটা অসম্ভব কিছু না। এটা ঘটতেই পারে। কতোদিন পর মেয়েটার হাসি মুখ দেখলাম। আমার বুকটা আনন্দে ভরে উঠল। তারপর থেকে তামান্না একদম সুস্থ হয়ে গেল।
আমার রহস্যের এরকম সমাধান হবে আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। আমার অবাক হয়ে যাওয়া বুঝতে না দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি এখনো মেসেজ দেন?
হ্যা বাবা, দিতে হয়। প্রতি রাতে আমি একটা করে মেসেজ দেই তাকে। তার প্রেমিক হয়ে এমন মেসেজ দেয়া তোমার কাছে খারাপ লাগলেও আমি যে একজন বাবা। বাবা হিসেবে আমি আমার মেয়েটার অসুস্থতা কিছুতেই সহ্য করতে পারতাম না, পারবো না। আর তাছাড়া আমার হাতে আর যে কোন অপশনও ছিল না।
এখন তো তামান্না বেশ সুস্থ। কোন সমস্যা নাই। এখন কি মেসেজ বন্ধ করে দেয়া যায় না?
হয়তো যায়। কিন্তু ভয় করে বাবা। যদি মেয়েটা আবার অসুস্থ হয়ে পরে!
কিন্তু এমনও তো হতে পারে যে, ওই ওয়েব সাইটটা বন্ধ হয়ে গেল একদিন।
চুপ! চুপ! ওরকম অলুক্ষনে কথা ভুলেও উচ্চারণ করো না।
আমি চুপ করে থাকলাম কিছুক্ষণ। আসলে এমন অদ্ভুত অবস্থায় কি বলা যায় তাই ভেবে পাচ্ছিলাম না।
তামান্নার বাবা বলে উঠলেন, আমার দায়িত্ব ছিল তোমাকে সবকিছু জানানো। এখন তুমিই বল বাবা, তুমি কি রাজী? পারবে আমার এই অসহায় মেয়েটাকে গ্রহন করতে? আমার মনে হয়, তুমি বিয়ে করলে সে ধীরে ধীরে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবে।
কিন্তু চাচা, তামান্না কি রাজী হবে?
আমি রাহুলকে দিয়ে রাজী করাবার চেষ্টা করবো বাবা। রাহুল বললে, আমার মনে হয়, সে সব কিছু করতে রাজী হবে।
আমি খানিকক্ষন ভাবলাম। তারপর বললাম, ঠিক আছে চাচা। আপনি ব্যবস্থা করুন।






১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামাস বিজয় উৎসব শুরু করেছে, ইসরায়েল বলছে, "না"

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:০৮



গতকাল অবধি হামাস যুদ্ধবিরতী মেনে নেয়নি; আজ সকালে রাফাতে কয়েকটা বোমা পড়েছে ও মানুষ উত্তর পশ্চিম দিকে পালাচ্ছে। আজকে , জেরুসালেম সময় সন্ধ্যা ৮:০০টার দিকে হামাস ঘোষণা করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩১


আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।

প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।

ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×