somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আশেপাশের মানুষের গল্প

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পুত্রদায়গ্রস্ত এক শিক্ষক পিতা তার ছেলের বিয়ের জন্য সাহায্য চেয়ে একটি দরখাস্ত দিয়েছেন আমাদেরকে ৷কর্মক্ষম ছেলেটি টুকটাক কোনো কাজকর্ম করলে এরকম হবার কথা না৷অবশ্য বিয়ের যা খরচ তা যোগার করাও সহজ নয় ৷যৌতুক হিসেবে মেয়ের বাপকে আর্থিক অনুদান বা সাজের অলংকার টাইপের কিছু দিতে হবে না ৷গ্রামীন সমাজ ব্যবস্থায় ছেলেপক্ষ মেয়েপক্ষকে মাঝামাঝি সাইজের একটা গরু উপহার দিলেই চলে ৷কনের শিক্ষাগত যোগ্যতার উপরও নির্ভর করে কয়টা গরু পাবে ৷অশিক্ষিত হলে এক গরু ,প্রাইমারী স্কুল পাশের জন্য একাধিক এভাবে সংখ্যা হিসেব করলে বিশ্ববিদ্যালয় পাশের জন্য যা পাবে তা দিয়ে মোটামুটি একটা খামার করা যাবে ৷আমাদের স্থানীয় শ্রমিক ওয়েলকাম কিছুটা হতাশ কারণ একটা গরুর অভাবে সে এখনো একা ৷যৌতুক হিসেবে নয় একজন বলল এটা নাকি মেয়ের বাপকে অতীত ভরণপোষণের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেয়া হয় !
আফ্রিকান বিয়ের অনুষ্ঠানের যে রকম গল্প আমরা বই পুস্তকে পড়েছি তার অনেক কিছু এখন আর নাই ৷ ইউরোপিয়ান সংস্কৃতি আস্তে আস্তে সব দখল করে নিয়েছে৷যেখানে মানুষ বাস করার কথা না সে রকম গভীর অরণ্য আর বিশাল ঝোঁপ ঝাড়ের এলাকাতেও সকল পুরুষ লোকদের পরনে শার্ট প্যান্ট দেখেছি ৷রাজধানী কিনসাসা,লুবুম্বাসি ,কিসান্গানি সহ আরো কিছু শহরের মানুষদের জীবন ধারা দেখে কেউ বুঝবে না এদেশের অনেক মানুষ পোকা মাকড় খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করে ৷পৃথিবীর প্রথম দশটি ডায়মন্ড উত্তোলনকারী দেশের মধ্যে কঙ্গো একটি৷তাই ভালো নেতৃত্ব আর ধনী দেশগুলোর লোভাতুর দৃষ্টি সরে গেলে এ দেশ একদিন হয়ত ভালো অবস্থানে যাবে৷একটি ওয়েবসাইটে দেখলাম বেলজিয়ান শাসকরা বাংলাদেশের আয়তনের চেয়ে প্রায় ১৭ গুন বড় কঙ্গোর সীমানা নির্ধারন করেছে নিজেদের খেয়াল খুশি মত৷মানে স্বর্ণের ডিম পাড়া হাঁসকে অন্য সব হাঁস থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছে ৷ বুদ্ধি পরামর্শ দেয়ার জন্য ইঙ্গ-মার্কিন,আফ্রো আমেরিকান জোটের কিছু দেশ এখানে হাজির তাদের মহান উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে ! শিক্ষিত সচেতন লোকজন আমাদেরকে দেখলেও ডাল মে কুচ কলা হায়(মতলব খারাপ ) টাইপের সন্দেহযুক্ত দৃষ্টি দেয় ৷যাক অনেক জ্ঞানের কথা বলে পেললাম নাকি ? বেশি কঠিন দার্শনিক কিসিমের জ্ঞানগর্ভ কথা বললে অথবা শুনলে আমার আবার মাথা ঘুরায় ৷আরেকদিন বলা যাবে এসব গল্প ৷ চলে আসি আমাদের ক্যাম্পে৷
বিকেল বেলা একটু অন্যমনস্ক হয়ে 'চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙ্গেছে উছলে পড়ে আলো ' মনে মনে গাচ্ছিলাম গানের কথার সাথে সুরের বেশ দুরত্ব রেখে ৷অনেকটা আমাদের ক্যাম্পের আলাউদ্দিনের বেহালার সুর আর গানের অসংগতির মত ৷আমি যখন পেশায় ঝাড়ুদার এই বয়স্ক লোকটির গান শুনি তখন মনের মধ্য ভীষণ নাড়া দেয় ৷গান প্রিয় এই লোক বিশেষ অনুরোধ করে দেশ থেকে আসার সময় সাথে করে বেহালা নিয়ে এসেছে ৷কানে কম শুনাটাই উনার সমস্যা তবু আমাদেরকে গান গেয়ে শুনিয়েছেন কয়েক দিন ৷দেখলাম খুব যত্ন করে গান গাইছে কিন্ত মেয়োজিক(বেহালার সুর বা যন্ত্র সঙ্গীতকে তিনি মেয়োজিক বলেন) চলে যাচ্ছে অন্য দিকে ৷
আমাদের ধুপীর ভুল করে গুল খেয়ে অসুস্থ হবার ঘটনাটা অতি সাধারণ ৷ তবে সেটা বর্ণনা করার তার যে ভঙ্গি তা সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে ৷এই সামান্য ব্যাপারে লোকজনের কানকথা বলাটা তার ভাষায় একটু বেশি বেশিই বটে ৷দেশে কোথাও আমি একজনকে গুলখোর বলতে শুনেছি আসা করি তার ক্ষেত্রে এটা কেউ সাহস করবে না ৷তবে মূল কথাটা স্বীকার করে বলেছে গুল খেয়ে এখন রাগে তার মাথার চুল ছেঁড়ার অবস্থা ৷৪৫ বছরের চির তরুণ ( নাকি কিশোর ?) সালাম মল্লিকের বয়স লুকানোর মত ভয়ে সেও ঘটনা লুকাতে পারত অনায়াসে ৷
জহিরুল কাইয়ুম
ডি আর কঙ্গো
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×