somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গুলশান থেকে শোলাকিয়া ,জঙ্গিবাদের চাষাবাদ

০৯ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

view this link

গতকাল শোলাকিয়া ঈদগাহ্ এর পশে জঙ্গী হামলা হয় দুই পুলিশ এক জঙ্গি এক গৃহবধু সহ চার জন নিহত, দশ পুলিশ আহত।তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে,নামাজ পাড়াতে পারেনি মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ,
এখানে বাংলাদেশের সবচেয় বড় ঈদের জামায়েত অনুষ্ঠিত হয় মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদের নেতৃত্বে। এখানে হামলার লক্ষ ছিলেন তিনি, জঙ্গী বিরোধী বক্তব্যের কারনে তিনি জঙ্গিদের টার্গেট হয়েছেন।জঙ্গীরা যদি মাঠে প্রবেশ করতে পারতেন তবে আরো বয়াবহ কিছু হতে পারতো,যথেষ্ঠ পেশাদারিত্ব দেখিয়েছে পুলিশ।
এর আগে গত ১ জুলাই রাতে একদল মৌলবাদী জঙ্গী অস্ত্র-গোলাবরুদসহ গুলশানের একটি অভিজাত
রেস্তোরায় ঢুকে দেশি-বিদেশী বেশ কিছু
নারী-পুরুষকে জিম্মি করে। তারা রাতভর দেশি-
বিদেশী ২০ জনকে জবাই করে হত্যা করে।
পত্রিকায় প্রকাশ অস্ত্রধারীরা জঙ্গী নেতা
সাইফুল্লাহ’র মুক্তি এবং হামলাকারী জঙ্গীরা
নিরাপদে বের হয়ে যাওয়ার দাবী করেছিল। যদিও
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এখন অস্বীকার করছেন
জঙ্গীরা কোন শর্ত দেয়নি। র্যাব-এর মহা
পরিচালক বেনজির আহমেদ সাংবাদিকদের
বলেছিলেন আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে কিছু করা যায়
কিনা চেষ্টা করছি। কারণ প্রতিটি জীবন আমাদের
কাছে মহামূল্যবান। কিন্তু শান্তিপূর্ণ উপায়ে তারা কি কি
চেষ্টা করেছে তার কোন তথ্য সংবাদ মাধ্যমে
প্রকাশ করেনি। বরং পুলিশ-প্রশাসন থেকে
সাংবাদিকদের শাসিয়েছে এই বলে যে,তারা যেন
ঘটনাস্থল থেকে দূরে অবস্থান করে এবং ঘটনার
সরাসরি সম্প্রচার না করেন। তা না হলে তাদেরকে
জিম্মি উদ্ধার কাজে বাধাদানকারী হিসেবে চিহ্নিত
করা হবে। এটা ঠিক আমাদের দেশের সংবাদ চ্যানেল গুলো অতিরঞ্জিত করে সংবাদ সংগ্রহ বা প্রচারের ক্ষেত্রে, অবশেষে দেখা গেল সমস্ত বিভাগের
ফোর্স যৌথ অভিযান চালিয়ে ২০ জনের প্রাণের
বিনিময়ে ৬ জঙ্গীকে হত্যা করে ১৩ জনকে
জীবিত উদ্ধার করে।
যেখানে জঙ্গূর সংখ্যা ৭/৮ জন পুলিশ।হত্য করেছে ৫ জন একজন ওই রেষ্টুরেন্টের বাবুর্চি তাকেও জঙ্গী তকমা দিয়েছে প্রশাসন একজন আটক আছে তাও সন্দেহভাজন ।
বিগত কয়েক বছর যাবত
ধর্মীয় মৌলবাদী জঙ্গী গোষ্ঠী
প্রগতিশীল লেখক, প্রকাশক এবং মুক্ত মনা
ব্লগারদের হত্যা করছে প্রশাসন সেসকল অপরাধীদের নাগাল পাইনি।
আওয়ামী মন্ত্রীরা এমনকি প্রধানমন্ত্রী এর
জন্য প্রগতিশীল লেখক-প্রকাশক এবং মুক্তমনা
ব্লগারদের ধর্মের অবমাননাকারী বলে
বিরোধীতা করে জঙ্গী মৌলবাদীদের পক্ষ
নিয়েছে। তার পর একে একে বিদেশী,
ধর্মযাজক, পুরোহিত, শিক্ষক,হিন্দু,খ্রিস্টন শিয়াদের উপর হামলা ও হত্যার
ঘটনা যখন ঘটে চলেছে এবং প্রতিটি ঘটনায় আইএস
তার দায়িত্ব শিকার করেছে ও করছে। তখনও
মন্ত্রীরা তারস্বরে বলছে দেশে কোন
আইএস নেই এবং এর দায়ভার তাদের প্রতিপক্ষ
বিএনপি-জামাতের উপর চাপিয়ে মূলত মৌলবাদী
জঙ্গীদেরই রক্ষা করেছে ও বিকশিত হতে
দিয়েছে। সম্প্রতি সপ্তাহব্যাপী সরকারী
অভিযানে জঙ্গী দমনের নামে যে ১৩ হাজার
লোক গ্রেপ্তার করেছে যার অধিকাংশই বিএনপি-
জামাত এর নেতা-কর্মী। গুলশান ঘটনার
ক্ষেত্রেও সরকার একই বক্তব্যের পুনারাবৃত্তি
করছে। সরকার বলছে এই হামলার সাথে আইএস’র
সম্পর্ক নেই। তারা এটা বলে তাদের উপর
মার্কিসসহ সাম্রাজ্যবাদের চাপ এড়াতে চাইছে এবং
বিএনপি-জামাত’র কর্ম বলে দেখাতে চাইছে। সারা
বিশ্ব জানে এই মৌলবাদী জঙ্গীদের সৃষ্টি ও
পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে চলেছে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ।
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ মৌলবাদকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন
দেশে আগ্রাসন ও অনুপ্রবেশের ষড়যন্ত্র
করে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি করছে। দেশে
জঙ্গীদের ধারাবাহিক হত্যাকান্ড এবং সর্বশেষে
গুলশান হত্যাকান্ডের সাথে সাম্রাজ্যবাদ এবং
দেশীয় শাসকশ্রেণির কোন গোষ্ঠীর
যুক্ত থাকাটা অমূলক নয়। দালাল শাসকশ্রেণি ও সরকার
দেশে এই মৌলবাদীদের জিইয়ে রাখছে তাদের
শ্রেণিগত ও গোষ্ঠীগত স্বার্থেই। এদেশে
জঙ্গী হামলায় মার্কিনের উদ্বিগ্নতা আজ
দৃষ্টিগ্রাহ্য। গুলশান ঘটনায়ও মার্কিনসহ সাম্রাজ্যবাদীরা
উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছে যা আওয়ামী
লীগের বিপক্ষে এবং বিএনপি’র পক্ষে যাওয়ার
সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ৫ পুলিশ নিহত ৬ পুলিশ গুরুতর জখম,
কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের অরল্যান্ডের একটি সমকামী ক্লাবে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেন এক সন্ত্রাসী,তারাই আজ আমাতের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্ধিগ্ন।
কিছু দিন যাবৎ আওয়ামী
মন্ত্রীরা এবং প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন
এই জঙ্গী হামলার পিছনে দেশী-বিদেশী
ষড়যন্ত্র রয়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী
গুলশানের হত্যাকান্ডের পরও তার ভাষণে
বলেছেন দেশী-বিদেশী একটি চক্র
বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে বানচালের অপচেষ্টায়
লিপ্ত হয়েছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকগণও বলছেন
এই হামলাকে রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে
দেখতে পারছি না। কিন্তু এই মৌলবাদী জঙ্গী
তৎপরতা জিইয়ে রেখে বিএনপি-জামাতকে
কোনঠাসা করার অপকৌশল আওয়ামী লীগের
থাকলেও এখন তা তাদের জন্য বুমেরাং হয়ে
দাঁড়িয়েছে। গুলশান হত্যাকান্ড তার প্রমাণ। আজ
প্রধানমন্ত্রী যতই বলুক না কেন জঙ্গীদের
তারা নির্মূল করবেন। কিন্তু তাদের পক্ষে তা
সম্ভব নয়। কারণ ধর্মীয় মৌলবাদীরা বিচ্ছিন্ন
কোন গোষ্ঠী নয়, এরা সাম্রাজ্যবাদী
বিশ্বব্যবস্থার অংশ। এদের সৃষ্টিকারী ও
পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ,
দালাল শাসকশ্রেণি এবং আওয়ামী সরকার নিজে। তারা
নিজ নিজ স্বার্থে মৌলবাদীদের ব্যবহার করে।
গুলশানের হতাহতরা এদের এই ঘৃন্য রাজনীতির
শিকার।
সরকার প্রধান জঙ্গীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার চেয়ে তারা মুসলিম না ইহুদি সেই চবক বকছেন why!
prime minister.
আপনি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্তা নিন ,তারা হিন্দু,মুসলিম না খ্রিস্টান, এটা আপনার দেখার বিষয় নয় আপনি বলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী তাহলে রাজনীতিতে ধর্ম টানছেন কেন,
এটা মুসলিম দেশ এখানে কেউ ইসলামের বিরুদ্ধ কিছু বলার সাহস পাবেনা,
ধর্ম ব্যাবসা ছাড়েন দেশ বাঁচান,আপনি প্রধানমন্ত্রী এটা আপনার দায়ীত্ব কর্তব্য,
গরীব জঙ্গীদের বাবা মা পরিবার থানায় আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে অথচ ধনী জঙ্গীর পিতারা টক শো করে তারা লজ্জিত,
আইন কি একেক জনের জন্যে একেক রকম।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:৪৫
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×