(নাস্তৈক মামারা এক বালতি ঠান্ডা পানি সংগে লইয়া বসেন, গাত্রদাহ নিবারনের জইন্য উহার প্রয়োজন হইতে পারে)
কিরুপে আমার এত্ত বড় সাহস হইল? ছোট মুখে এত বড় কথা আমি কিরুপে দাবি করিতেছি যে, প্রাচীন কালের মুর্তি পুজার সহিত এখনকার বৈজ্ঞান পুজা তুলনীয়?
মস্তক কিন্চিত শীতল করিয়া বাকি লিখাটুকু পড়ুন, মুর্তিপুজার সহিত বৈজ্ঞান পুজার মিলটা কোথায় তাহা সহজেই বুঝিতে পারিবেন বলিয়া আশা করি। অবশ্য আপনি নাস্তৈক মামা হইলে তালগাছের দাবি কিছুতেই ছাড়িতে চাহিবেন না (ইহাই স্বাভাবিক)।
===========================================
মুর্তিপুজা বলিতে কি বুঝায়?
মুর্তিপুজা হইতেছে নিজের মনমত কোন কিছুর উপাসনা করা। এই "কোনকিছুটা" হইতে পারে একখানা পুতুল অথবা বৃহৎ কোন বৃক্ষ অথবা কোন পশু অথবা অন্য কোন ধরনের বস্তু বা প্রকৃয়া (যেমন অগ্নিপুজকরা অগ্নি উপাসনা করে)।
মনুষ্য প্রজাতির ধুর্ত সামাজপতি ও সামন্তপ্রভুরা মুর্তিপুজার আড়ালে সবসময় নিজের খাহেশ মত জিন্দেগি যাপন করিয়াছে। প্রাচীন কালে ইহারা পুরোহিতগনের সাহায্য নিয়া নরবলি/সতীদাহ ইত্যাদির মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা পুর্বক গরীব জনগনের উপর শোষন ও অত্যাচারের স্টীমরোলার চালাইতো। এমনকি বর্তমানেও পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এই প্রাচীন রোগের প্রাদুর্ভাব বেশ লক্ষ করার মত।
মুর্তিপুজার "মুর্তি" হইল কিছুসংখ্যক ধুর্ত লোকের আপন খাহেশ মোতাবেক যাহা ইচ্ছা তাহাই করিবার এক প্রকার আড়াল বিশেষ। মুর্তিপুজার মূলে রহিয়াছে প্রবৃত্তি পুজা
এক্ষনে আসেন বৈজ্ঞান পুজার স্বরুপ আলোচনা করি। (এইখানে একখান কথা অগ্রিম কইয়া রাখি, মুর্তিপুজার জন্য যেমন মুর্তি নিজে দায়ী নহে একই ভাবে বৈজ্ঞান পুজার জন্যও বৈজ্ঞান নিজে দায়ী নহে---বরং মনুষ্য প্রজাতির অসৎ প্রবৃত্তি-পুজার মনোভাবই এইক্ষেত্রে দায়ী)
বৈজ্ঞান পুজার যে "কৌশলি ধর্ম" উহার নাম "নাস্তৈক্যবাদ"। নাস্তৈক্যবাদিগন সীমাবদ্ধ বৈজ্ঞানের দোহাই দিয়া সৃষ্টকর্তার অস্তিত্ব অস্বিকার করতঃ যেমন ইচ্ছা তেমন করিয়া আপন খাহেশ মোতাবেক জিন্দেগি যাপন করিতে সচেষ্ট থাকে। মনুষ্য সমাজের উত্তম রীতিনীতিকে (কৌশলি মিথ্যা মিশ্রিত) বৈজ্ঞানের দোহাই দিয়া হেয় প্রতিপন্ন করা ইহাদের নিত্যদিনকার খেল। এই খেলের মাধ্যমে ইহারা নিজেদের কৃত অন্যায় সমূহকে যায়েজ করিবার প্রয়াস পায়। যাহার ফলে মন্দ কাজ করিয়াও সমাজে ভদ্দরনোক আখ্যা পাওয়ার পাশাপাশি প্রগতিশীল/সুশীল হিসাবে বিখ্যাত হওয়ার পথ সুগম থাকে।
বৈজ্ঞান পুজা ও মুর্তি পুজা উভয়ের মূলে রহিয়াছে "প্রবৃত্তি পুজা"।
এইখানে একটি প্রশ্ন আসিতে পারে যে ধুর্ততা এবং মুর্খতার পার্থক্য কোথায়? ধুর্ত কথাটার মধ্যে তো একধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক আঁচ আছে। প্রিয় পাঠক, ধুর্ত মাত্রই মুর্খ, ধুর্তরা ক্ষনিকের পার্থিব সূখ লাভ করিবার জন্য পরকালের কঠিন শাস্তির ভয় উপেক্ষা পূর্বক নিজের এবং জনগনের হক নষ্ট করিয়া বুদ্ধির আত্মপ্রসাদ পাইলেও প্রকৃতপক্ষে উহারা মুর্খদের তালিকায় শির্ষে অবস্থান করে। শেষ বিচারের দিন উহা বুঝে আসিবে।
(কিন্চিত সম্পাদিত)