আসলে সমাজ টা একটা সিস্টেম এর মধ্যে চলে।প্রত্যেকটা নিয়ম মোতাবেক এগিয়ে চলে।আমি কখনো একা দুর্নীতি করতে পারবেন না।তাহলে দেখবেন কত দুর্নীতি বাজ মানুষ ভাল মানুষের মু্খোশ পড়ে আপনার নামে আইনি ব্যবস্থা নিবে।
গাছ যেমন কাঁটতে হলে আগে ডাল পালা কাটতে হয় ঠিক তেমনি আমাদের সমাজে দুর্নীতি করতে হয়।আপনি কখনো প্রথম সিঁড়ি ছাড়া ২য় তলায় ওঠতে পাড়বেন না। তেমন করে দুর্নীতির সিঁড়ির সোপানে পা রাখতে হয়।
সাধারনত ইউনিয়ন পরিষদের একটা দুর্নীতির নমুনা দেখুন।
যদি কখনো একটা ইউনিয়ন পরিষদের জন্য ১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ থাকে। তা হলে চাল টাকে ইউনিয়ন জেলা পরিষদ থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত আনতে ডিসি বা টিউনিকে দিতে হয় ২%।এক চুষা দৌয়া হয়ে গেল।এলাকার সভাপতি,বাজার কমিটি,গ্রামের মাতাব্বার,গন্য মান্য জঘন্য ব্যক্তি।ওদের জন্য ১৫%। তারপর এবার বাবাজি চেয়ারম্যন,মেম্বার,চৌকিদার ওরা তো চাল ইউনিয়ন পরিষদে আসার আগে ৩ ভাগের ১ ভাগ বিক্রয় করার কাজ শেষ।তারপর সাধারন মানুষ এর পালা তারা চাল পাক আর না পাক ,তারা প্রতিনিয়ত চাল পাচ্ছে এটা খাতা কলমে পাকা।তারপর চাল দেওয়ার সময় কত গল্প চাল নেই সরকার কম দিয়েছে,সামনের বার বেশী করে দিব।
আর তাদের নামে চাল দেওয়া হবে ৫-৬ কেজি ।
কি করে সেটা ভাবছেন? ১ মিনিট খোলাসা করে দিচ্ছি।
অপশন ১:> প্রথম তো চাল দেওয়ার বাহানায় আপনার কাছ থেকে জাতীয় NID কার্ডের ফটোকপি নিয়ে নেবে।
কেল্লাফতে।
অপশন ২:>এবার খাদ্য তালিকা যেটা জমা প্রদান করতে হবে সেটাতে সুন্দর করে, আঙ্গুলের ছাপ দেওয়া শুরু।
মেম্বার,চেয়ারম্যন,আর ও কিছু লোক নিয়ে,ডান হাত বা হাতের সব গুলোর জাল টিপ সই শুরু।
আমরা কত এক্সর্পাট পায়ের আঙ্গুলের ও ছাপ দেই।
অপশন ৩:>এবার জেলা পরিষদে গিয়ে মাল দরালে কাগজ ওকে।
আপনি চাল পান আর না পান সরকারি খাতায় আপনি চাল পেয়েছেন সেটা ওঠে গেছে।
এভাবে ই আমাদের সমাজে মুখোশ দারি শয়তান গুলো তাদের আখের তৈরি করছে।
তাছাড়া ও আর ও কত কাজের যে টাকা লুটেপুটে খায় তা শুধু ওরা ই জানে।
একটা ইউনিয়ন পরিষদে বছরে নিম্ন ২০-২৫ কোটি টাকা আসে কোথায় যাচ্ছেে এসক টাকা গুলো।
আমরা যদি সবাই মিলে একটা বছর শপত নেই দুর্নীতি করবো না ।বাংলাদেশ কোথায় চলে যাবে সেটা সবার অজানা।