কট্রর জার্মান জাতীয়তাবাদী ফিলিপ লেনার্ড ১৯০৫ সনে পর্দাথবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পান আর এর পরে উনার সারা জীবনের ব্রত হয়ে দাড়ায় যাতে ইহুদী আইন্সটাইন কোন ভাবেই নোবেল পুরস্কার না পায়..... কিন্তু ভাগ্যের কি লিখন ১৯২১ সনে আইন্সটাইন কে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় লের্নাড এর দ্বারা 'আবিস্কৃত' ফোটোইলেক্ট্রিক সাবজেক্টে অবদান রাখার জন্য..সারা বিশ্বের লোকজন যখন এই পুরস্কার লাভের জন্য আইনস্টাইন কে শুভেচ্ছা জানাতে ব্যস্ত...তখন লের্নাড এক মাত্র 'বিজ্ঞানী' যে নোবেল কমিটির কাছে আইন্সটাইন কে এই পুরস্কার দেওয়ার প্রতিবাদে বিরাট এক প্রতিবাদ লিপি পাঠান।
এখন সারা বিশ্ব জানে আইনস্টাইন এর নাম কিন্তু কজনে জানে ফিলিপ লের্নাাড এর নাম??????
আর আমাদের দেশের কট্রর জাতীয়তাবাদী রা যদি লের্নাড এর মত বিজ্ঞানী হয়ে ভারতের চন্দ্রযানের শেষ মহুর্তে সফল ভাবে চাদে অবতরন না করতে পারাতে অনলাইনে যে বেজাতীয় উল্লাস আনন্দ করে বেড়াচ্ছে- তবে তাতে সাপোর্ট দেওয়া যেতে পারে...শেয়ানে শেয়ানে প্রতিযোগিতা.... কিন্তু এরা তো লের্নাড এর মত বিজ্ঞানী তো দুরের কথা ...ঠিক ভাবে রকেট বানান ও করতে পারবে বলে মনে হয় না....পাড়ার মাস্তান যখন মোড়ে চায়ের দোকানে বসে সিগারেট ফুকতে ফুকতে পেপারে পেপারে দেখে যে বিজ্ঞানীরা নাকি একটা ব্ল্যাক হোলের ছবি তুলে পৃথিবীতে তাক লাগিয়ে দিয়েছে...কিন্তু সে কিছুতেই বুঝতে পারে না এটা খবর হয় কিভাবে???? সে নিজে কত কালো গর্ত এর ছবি তুলেছে মধুপুরের জংগলে পিকনিক এ গিয়ে....।
অবশ্য জাতীয়তাবাদি জামাতীরা সমালোচনা করতেই পারে....ভারত এত টাকা পয়সা খরচ করে কেন রকেট বানায়...??? জামাতি রা তো বিনা রকেটেই মানুষকে চাদে পাঠিয়ে আর সেই মানুষকে তারা দুরবীন ছাড়াই খালি চোখেই দেখতে পেয়েছে...তো তারা বড় বিজ্ঞানী নাকি ভারতীয় হাফ ডিম খাওয়া শিভান বড় বিজ্ঞানী???? আমরা তো ফুলডিম খেয়ে রকেট ছাড়াই মানুষ পাঠাই চাদে.......
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৭