somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

করোনাভাইরাস- হার্ভাড প্রফেসর এখন বিলিনিওয়ার

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ট্রেডিশিন্যালি ভাইরাস ভ্যাকসিন তৈরী হয় একটা প্রায় মৃত ভাইরাসকে আপনার শরীরে ইনজেক্ট করা হয় আর তাতে শরীরের ইমিউন কোষ গুলি একে প্রতিরোধ করতে এন্টিবডি তৈরী করে আর পরে যখন আসল ভাইরাস আপনাকে ইনফেক্ট করে, তখন এই এন্টিবডি গুলি আসল ভাইরাসকে নিস্ক্রিয় করে দেয়...কিন্তু এই ধরনের ভ্যাকসিন তৈরীতে অনেক বছর লেগে যায় ডিজাইন, টেস্ট, উৎপাদন ইত্যাদি করতে করতে...।এখনও ফ্লু ভাইরাসের ভ্যাকসিন জাস্ট উৎপাদন করতে ৬ মাস লাগে আর এই ভ্যাকসিনপ্রতি বছর বানাতে হয়....। তবে বিজ্ঞানীরা একটা শর্টকাট খুজে বের করেছেন যাতে করোনাভাইরাস এর মত প্যানডেমিক এর সময় অতি দ্রত ভ্যাকসিন বানানো যায়...
সেটা হল মৃতপ্রায় ভাইরাস না ইউজ করে...ভাইরাস এর একটা প্রোটিন তৈরী করার কোড- ডিএনএ অথবা আরএনএ সরাসরি ইনজেক্ট করা...এই ডিএনএ/আরএনএ কোষে পৌছা মাত্র কোষের এনজাইম ডিএনএ অথবা আরএনএ কোড রিড করে প্রোটিন টা বানায় আর সেই প্রোটিন যেহেতু 'ফরেন' প্রোটিন, তখন ইমিউন সেল এই প্রোটিনের বিরূদ্ধে দ্রত এন্টিবডি তৈরী করে যাতে পরে এই প্রোটিন যে ভাইরাস বানায় সেই ভাইরাস দেহে প্রবেশ করলেও এর এন্টিবডি কোষে থাকাতে আর বাড়তে পারে না..নিস্ক্রিয় হয়ে যায়। ইনভিও নামের এক কোম্পানী মাত্র ৩ ঘন্টায় কোরনাভাইরাসের ডিএনএ ভ্যাকসিন এর ডিজাইন শেষ করে আর এটা সম্ভব হয়েছে যেহেতু কোন মানুষ মারা যাওয়ার আগেই চীনের বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাস এর সম্পুর্ন জিনোম (আরএনএ থেকে ডিএনএ) কে পাবলিশ করাতে...।
এখন প্রায় ১৪ টা কোম্পানি এই পদ্ধতি তে ভ্যাকসিন বানাচ্ছে আর টেস্ট ও শুরু হয়ে গিয়েছে.. পুরা লিস্ট টা পাবেন নীচের লিং এ
RNA/DNA coronavirus vaccine

.... যখন MERS virus pandemic হয়েছিল তখন যারা আক্রান্ত হয়েছিল, তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের Spike protein specific antibody (because MERS is another type of Coronavirus) পাওয়া গিয়েছিল, তাই সবাই এই স্পাইক প্রোটিন তৈরীর DNA/RNA কে ই সরাসরি ইনজেক্ট করছেন শরীরে to develop antibody against the current coronavirus. Regulatory authority like FDA has waived the requirement to test these vaccines first on animals...so they are directly testing them in human reducing time to develop the vaccine


যখন এই শর্টকাট ভ্যাকসিন তৈরীর জন্য মোডার্না নামের কোম্পানী ফান্ডিং চাচ্ছিল কেউই কোন উৎসাহ দেখায় নাই কিন্তু হার্ভাড এর প্রফেসর উনার তৈরী ছোট একটা কোম্পানি যেটা আরেক কোম্পানী ১০০ মিলিয়ন ডলারে কিনে নেয়, উনি মোডার্না কে ৫ মিলিয়ন ডলার দেন এই আরএনএ ভ্যাকসিন বানানোর জন্য (সেটা ছিল অন্য এক ভাইরাস এর বিরূদ্ধে).....যখন করোনা ভাইরাস আসল, সরকার তখন মোডার্না কে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার দেয় তাড়াতাড়ি এই ভ্যাকসিন বানাতে...আর এতে এই কোম্পানীর স্টক প্রাইস এত বেড়ে যায় ..হার্ভাড প্রফেসর এর ৫ মিলিয়ন ১৭০০% বেড়ে এখন ৮০০ মিলিয়ন ডলার আর সাথে আগের ডলার মিলে উনি এখন বিলিনিওয়ার!!!!

অবশ্য প্রফেসর রা যেমন হয়....এই টাকা উনি নিজের জন্য ব্যয় না করে বললেন
"Springer said his money, though, won’t stay in pocket. Most of it will go to the Institute for Protein Innovation, an open source hub he and colleague Andrew Kruse founded several years ago to design antibodies and other proteins as cures for intractable diseases."

তবে প্রবলেম হল এই ছোট ছোট কোম্পানী কোন ভাবেই স্বল্প সময়ে শুধু মাত্র আমেরিকার ৩৫০ মিলিয়ন লোকের জন্য এই ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারবে না ....আর সারা বিশ্বের লোকজন তো পড়েই আছে....বছর খানিক লেগে যাবে অন্তত আমেরিকার সবার জন্য এই ভ্যাকসিন বানাতে....

তাই বেশ কিছু বুদ্ধিমান দেশ যেমন সিংগাপুর তার ৬ মিলিয়ন লোকের জন্য সেইম ভ্যাকসিন বানানো আরম্ভ করে দিয়েছে তাদের দেশেরই একটা কোম্পানি দিয়ে যাতে আমেরিকার দিকে চেয়ে না থাকতে হয়...এটা ডিজাইন করা খুবই সহজ ..জাস্ট স্পাইক প্রোটিন এর ডিএনএ কোড কে ক্লোন করা...।যে কোন মলিকুলার বায়োলজি থেকে পাশ ছাত্র/ছাত্রীই করতে পারবে...।কিন্তু টেস্ট/উৎপাদন করার জন্য যে ব্যাপক ইনফ্রাস্ট্রাকচার দরকার সেটা আমাদের দেশে নাই তবে সমাধান হল
ভারত/সিংগাপুর/থাইল্যান্ডে প্রচুর বায়োটেক কোম্পানী আছে যারা ফান্ডিং পেলে শুধু তার ক্লায়েন্টের জন্য ভ্যাকসিন বানাতে আগ্রহী আর সে ক্লায়েন্ট যদি হয় একটা দেশ....তারা মহা উৎসাহে উৎপাদনে যাবে...
অন্যান্য দেশ এখন অনেক স্বার্থপর..।আগে নিজের প্রয়োজন মিটায়ে পরে অন্য দেশের কথা চিন্তা করবে

সরকার অনেক হাজার কোটি টাকা প্রনোদনা প্যাকেজ দিচ্ছে...আমার মতে তার কিছু অংশ এখনই বায়োটেক কোম্পানি কে (সিংগাপুরের মত) ভাড়া করা উচিত যাতে সেইম টেকনোলজি (যেটা পেটেন্টে করা খুব ই কঠিন যেহেতু স্পাইক প্রোটিনের ডিএনএ সিকোয়েন্স সবার জন্য উন্মুক্ত) ইউজ করে বড় মাত্রায় শুধু বাংলাদেশের জন্য ভ্যাকসিন উৎপাদনে যাওয়া।

ওহ এই প্রফেসর এর নামই বলা হয় নাই.।নাম হল Timothy Springer আর বিস্তারিত পাবেন এখানে
Harvard Professor is now billionaire
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:২৫
১৪টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাম গাছ (জামুন কা পেড়)

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

মূল: কৃষণ চন্দর
অনুবাদ: কাজী সায়েমুজ্জামান

গত রাতে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। সেই ঝড়ে সচিবালয়ের লনে একটি জাম গাছ পড়ে গেছে। সকালে মালী দেখলো এক লোক গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিরোনামহীন দুটি গল্প

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫

গল্প ১।
এখন আর দুপুরে দামী হোটেলে খাই না, দাম এবং খাদ্যমানের জন্য। মোটামুটি এক/দেড়শ টাকা প্লাস বয়দের কিছু টিপস (এটা আমার জন্য ফিক্সড হয়েছে ১০টাকা, ঈদ চাদে বেশি হয়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

এশিয়ান র‍্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:২০

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×