
আমেরিকার মেট্রো রেলে যাতায়াত টা খুবই স্বছন্দ দেখে, প্রায়ই মেট্রো রেলেই বেশী উঠা হয় কিন্তু গত ২-৩ বছর এর পর পর কয়েকটা 'হত্যাকান্ড' হওয়ার পর, এখন চারদিক ভালভাবে দেখে শুনে তার পর রেলের বগিতে উঠি..।সব সময় চোখ কান খোলা রাখি। নিউইর্য়ক এর সাবওয়ের মেট্রোরেলে পরপর কয়েক জন এশিয়ান যাত্রী কে 'কে বা কাহারা' ট্রেন প্ল্যার্টফর্মে ঢুকার মুখেই ধাক্কা দিয়ে অপেক্ষামান যাত্রীকে ট্রেনের নীচে ফেলে দেয়...কভিড পর পর এশিয়ান বিশেষ করে চাইনীজ চেহারার লোকজন এর উপর বেশ অনেক রেসিস্ট আক্রমন হয়েছে...আর ভিড়ের মাঝে ইনকামিং ট্রেনের নীচে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে ধরা পড়ার চান্স কম অথবা ধরা পড়লেও ভিড়ের উপর দোষ চাপানোর চেস্টা হয়... আমেরিকার কোন প্ল্যাটফর্ম আমি কোন সেইফটি দেওয়াল দেখি নাই (উপর এর ছবি ওয়াশিংটন ডিসির মেট্রোরেল প্ল্যাটফর্ম)। সেইফটি দেওয়াল অটোমেটিক ভাবে অপারেট করা সহজ নয় কেননা সেইফটি ওয়াল এর দরজা আর বগির দরজা কে ইন্চি মেপে এলাইন করে থামতে হয়। তবে আমি খুব আনন্দিত যে বাংলাদেশের মেট্রোরেল এর প্রতিটা প্ল্যাটফর্ম এ সেইফটি দেওয়াল দেওয়া আছে, যেখানে হুড়াহুড়ি তে বিদ্যুতিক রেল লাইনে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে আসবে অথবা কাউকে ধাক্কা দিয়ে অনকামিং ট্রেনের নীচে ফেলে দেওয়া ও সহজ হবে না।
আমি মেট্রো রেলের কোয়ালিটি দেখে আনন্দিত এই ভেবে যে বাংলাদেশে বসেই বিদেশে বিশেষ করে ইউরোপ আমেরিকার মেট্রো রেলের মত ই সুযোগ-সুবিধা দেশবাসী ইউজ করতে পারবে। এই অভিজ্ঞতা নতুন ধরনের উপলব্ধিে জন্ম দিবে বাংলাদেশে...এত পরিস্কার ঝকঝকে জায়গায় মানুষ নোংরা করতে একবার হলেও ভাববে এবং এতে তার চিন্তা ধারনাও উন্নত হবে...
আশা করি কেউ গেট টপকিয়ে বিনা টিকেটে ভ্রমন করতে চেস্টা করবে না আর স্টশনকে ডাস্টবিন বানাবে না। আমেরিকার ডিসির মেট্রো স্টেশন গুলিতে কোন দোকান/বাথরুম এর ব্যবস্হা রাখা হয় নাই। টিকেট কাটতে শুধু দেখলাম ক্যাশ টাকা দিয়ে ভেন্ডিং মেশিন থেকে টিকেট কিনতে পারা যাবে কিন্তু ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, স্মার্ট ফোন এপ দিয়ে টিকেট কাটার ব্যবস্হা ভবিষ্যতে করা উচিত।
স্বভাবমতই হেটার্স রা নানা রকম মন্তব্য করে পদ্মা সেতুর মত, মেট্রোরেল কেও প্রশ্নবিদ্ধ করার চেস্টায় লিপ্ত। এত টাকা কেন খরচ হল? পুরাটা ই জাপান এর ত্বত্তবধানে তৈরী করা হল, আধুনিক কোন ফ্যাসিলিটি যেটা উন্নত বিশ্বে আছে, সেটা কেই যোগ করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে একটু বেশীই করা হয়েছে (প্ল্যাটফর্মে সেইফটি ওয়াল)। কোন টাকা পয়াসার দূর্নীতির খবর পেলে, জাপানিজ রা সবার আগে এখান থেকে পাততাড়ি ঘুটাতো। এত নিয়ম মানতে হবে তাতেও অনেক মন্তব্য...প্রথম কয়দিন শিখানোর জন্য ই এত নিয়ম হচ্ছে কিন্তু সেটা মানতেও নারাজ উনারা...
জাফর ইকবাল স্যার একটা কলাম লিখেছেন 'সমস্যা টা বোধ হয় আমারই', তার কাউন্টারে ব্যরিস্টার রুমিন ফারহানা রুচিবিহীন ব্যক্তিআক্রমন যেভাবে করেছে, তাতেই বুঝা যা্য এদের রাগ, ক্রোধ কোথা থেকে আসে... একজন ব্যক্তি জাফর ইকবাল কেন মুক্তিযুদ্ধ করল না তাতে হিমালয় সম অর্জন (বাংলাদেশের স্বাধীনতা) র কিছু আসে যায় না। এরা সারা পৃথিবীকে বলছে বাংলাদেশ বিরাট সংকটে আছে, ক্রান্তিকাল চলছে... কিন্তু দেশ তো চলছে... পদ্মা সেতু হচ্ছে, নদীর নীচে টানেল হচ্ছে, রামপাল থেকে ৬৫০ মেগাওয়fট নতুন বিদ্যুত তৈরী আরম্ভ হয়েছে, মেট্রোরেল চালু হচ্ছে.. দেশ স্হবির হলেতো এসব সব বন্ধ হয়ে যেত। পুরো পৃথিবীতেই এখন কিছুটা অস্হির সময় পার হচ্ছে।
জাইকা 0.01% সুদে বাংলাদেশকে ৭৫% খরচ লোন হিসাবে দিচ্ছে কিনতু নীচের ভিডিওতে দেখলাম যে বাংলাদেশের আগে শ্রীলংকা কে অফার দিয়েছিল কিন্তু এখন তারা হা-হুতাশ করছে
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




