somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুন ইলিউশন

২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ১০:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


১। উপর এর ছবির মত চাদ যখন পুরো পূর্নিমার সময় দিগন্ত রেখার (horizon) এর দিক থেকে কোন পাহাড়, গাছ গাছালির ফাক দিয়ে দেখা দেয়, তাকে তখন মনে হয় অনেক বড় সাইজের চাদ কিন্তু কিছুক্ষন পরে যখন সেই চাদই উপর এর দিকে উঠতে থাকে, তার সাইজ ও আস্তে আস্তে ছোট হয়ে যায়। মধ্য আকাশে যেখানে আশেপাশে কোন গাছ/পাহাড় রেফারেন্স হিসাবে নাই, সেখানে চাদ কে অনেক ছোট সাইজের মনে হয় (দিগন্ত রেখার চাদ এর চেয়ে) এটা হাজার বছর ধরেই হয়ে আসছে এবং এটা আমরা সবাই মেনে নেই। কিন্তু বিজ্ঞান বলে যে এই সাইজ ডিফারেন্স এর সবটাই আমাদের ব্রেইন এর মিস-পারসেপশান। কেননা দিগন্ত রেখার চাদ আর মধ্য আকাশের চাদের সাইজ এর কোন ডিফারেন্স নাই। সবটাই আমাদের চিন্তার ফসল। যা আমরা বিশ্বাস করি সেটাই ব্রেইন আমাদের দেখাচ্ছে। বিশ্বাস না হলে, দিগন্ত রেখার চাদ কে উল্টা দিক থেকে কোমর বাকা করে দুপায়ের ফাক দিয়ে দেখতে পারেন, তখন কিন্তু সাইজ কে তেমন বড় দেখাবে না। অথবা একটা কাগজের নল বানিয়ে তার মাঝ দিয়ে দেখতে পারেন (তরল পানীয় খাওয়ার স্ট্র দিয়ে ও হবে), দেখবেন দুটার মাঝে সাইজের কোন তারতম্য নাই। আপনার মোবাইল এ সেইম জুম দিয়ে দিগন্ত রেখার আর মধ্য আকাশের চাদের দুটা ছবি তুলে তার ব্যাসার্ধ মাপতে পারেন ১০০% সেইম হবে। এটাকে বলে মুন ইলিউশন। এ রকম সান (সুর্য্য ইলিউশন ও হয়)।
সবচেয়ে মজার কথা হল, নাসা থেকে শুরু করে, অনেক বিজ্ঞানী গলদঘর্ম হয়ে আছেন এর একটা বৈজ্ঞানিক ব্যাখা র জন্য কিন্তু এখনও কেউ বিশ্বাস যোগ্য কোন ব্যাখা দিতে পারছেন না...। যদিও হাজার হাজার বছর ধরে এই 'দুই সাইজের' মুন সবাই দেখছে বিশ্বাস করছে কিন্তু সেটা শুধু কল্পনায়ই রিয়ালিটি হল একই দিনের চাদের অবস্হান এর উপর ভিত্তি এর দুই সাইজ হওয়ার কোন কারন নাই।
যেহেতু রেফারেন্স হিসাবে গাছ/পাহাড় এর ছবির সাথে চাদ কে দেখা যায় দিগন্ত রেখায়, তখন আপনার ব্রেইন এটাকে ইন্টারপ্রেট করে হয়ত চাদ টা অনেক কাছে, তাই তাকে ব্ড় করে দেখায় (ব্রেইন নিজে নিজেই কল্পনায় ছবি একে আপনাকে দেখাচ্ছে)। মধ্য আকাশে কোন গাছ/পাহাড় এর মত রেফারেন্স নাই।

ব্যাপার টা অনেকটা Ponzo illusion এর মত। নিচের ছবিতে যেখানে রেল লাইন এর দুটা লাইন অনেক দুর পর্যন্ত্য দেখা যাচ্ছে। এখন দুটা সমান সাইজের রেখা যদি আকা হয় (একটা কাছে আরেক টা দুরে), আপনার ব্রেইন কিন্তু দুর এর ছবিটা কে ছোট বলেই আপনাকে দেখাবে।



আরেকটা ইলিউশন যেটা আপনার ব্রেইন নিজে নিজে ইন্টার প্রেট করে আপনাকে দেখায় কিন্তু রিয়ালিটিতে সেটা আসলে ঘটে না, নিচের ছবির কেন্দ্রে থাকা বিন্দুতে চোখ রেখে আপনার মাথা ছবির দিকে নিয়ে আসেন আবার ছবি থেকে দুরে সরিয়ে নেন। কয়েকবার মাথা সামনে-পিছনে করতে থাকেন, দেখবেন যে ছবির গোলাকার বৃত্ত গুলি একটা আরেকটার অপোজিট দিকে ঘুরতে আছে (কিন্তু রিয়ালিটি হল ছবি টা স্হির কোন কিছুই নড়ছে না)। এটাকে বলে Pinna-Brelstaff illusion যেটা ছবি দেখা থেকে প্রসেস করার মাঝে ০.১৫ সেকেন্ড এর কমিউনিকেশন ব্রেক ডাউন এর জন্য ঘটে থাকে।



যেটা বানর এর উপর পরীক্ষা করে প্রমান করা হয়েছে। Pinna-Brelstaff study
Slanted Rhombi গুলি এমন ভবে বসানো (ওভারলেপ করা), আর আপনার মাথা সামনে-পিছনে করাতে ছবি বড়-ছোট হওয়ার সময় ব্রেইন মনে করছে যে সেইপটা হচ্ছে দ্রুত ঘুর্নায়মান বৃত্ত এর মত, আর সেটাই আপনাকে সে দেখাচ্ছে।

এত কথা কেন বললাম??? অনেকেই জীন/ভুত দেখেন, কিছু একটা নড়ছে, নিজে নিজে লাইট জ্বলে উঠছে, কেউ নিশব্দে হাটছে,সাদা চাদর এর ঢাকা লম্বা অবয়ব দেখা, নিয়ার ডেথ একসপেরিয়েন্স এর সময় বড় পর্দায় পাওয়ার পয়েন্টে নিজের কবিতা কে স্কৃল করাচ্ছে, এগুলি সব ই হল ব্রেইন এর কল্পনা উপর নির্ভর করে আপনাকে দেখানো (আপনার বিশ্বাস এর ও কিছু অবদান আছে এতে- যে ধর্মে বিশ্বাস করে না, তাকে কখনও বলতে শুনবেন না যে সে জীন দেখেছে)। কিন্তু নিজের চোখে যেহেতু দেখছেন যেটা ব্রেইন দেখাচ্ছে কিন্তু রিয়েল লাইফে এসব কোন ঘটনাই গঠছে না। যারা চোখের দেখায় সব বিশ্বাস করে তারা বড়ই 'নাদান' (আর কোন ভাল শব্দ খুজে পেলাম না)।
২। উচ্চ স্বরে রিডিং বাচ্চার ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট এ সাহায্য করে। It’s indeed one of the strange facts about the brain because we usually teach our children to read and talk politely. But to promote brain development in your child, you should read and talk aloud in front of them.

৩।প্রায় সময়ই মনে হত কেন কিছু কিছু ভাষা যখন লিখা হয় সেটা ডান থেকে বাম দিকে যায় (আরবি, হিব্রু, রোহিংগা, ফারসি, উর্দু), আবার অন্য ভাষা লিখা হয় বাম থেকে ডান দিকে (বাংলা, ইংরেজী, লেটিন ইত্যাদি)। পড়ে দেখলাম যে, পেপার আবিস্কার এর আগের ভাষা গুলি যেগুলি শিলা-লিপি দ্বারা লিখিত হত, তারাই ডান থেকে বাম দিকে লিখে থাকে। কেননা শিল-বাটালি দিয়ে লিখার সময় ডান হাতে থাকত বাটালি, আর বাম হাতে থাকত শিলা (হ্যামার)। কেননা বেশীর ভাগ মানুষই হল ডানহাতি। শিল-বাটালি দিয়ে বাম দিক থেকে লিখা আরম্ভ করে ডান দিকে গেলে হাতে ব্যাথা পাওয়ার সমুহ সম্ভাবনা থাকে।
আর পেপারে লিখার সময় একজন ডানহাতি ডান দিক থেকে লিখে বাম দিকে যাওয়ার সময় কালিতে লিখার অংশ লেপটে যাওয়ার বেশী সম্ভাবনা থাকে কিন্তু বাম দিক থেকে ডান দিকে গেলে লিখার অংশ থেকে কালি লেপটে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না। এর জন্যই এখন আমরা দুরকম লিখার স্টাইল দেখে থাকি।
৪। যখন কোন প্রেমিক তার প্রেমিকা আই লাভ ইউ নিচের ছবির মত লিখে থাকে, তখন মেজাজ টাই খারাপ হয়ে যায়


হার্ট কিভাবে ভালবাসার প্রতীক হতে পারে???? আরে হার্ট যদি ভালবাসার প্রতীক হত তাহলে একটা অক্টোপাশ তার তিন তিন টা হার্ট থাকার পরও কি নির্দয় ভাবে হাতের কাছে যাকেই পায় তাকে দুমড়ায়ে মুচকায়ে মেরে ফেলে!!!!!! তার নাকি ৯ টা ব্রেইন ও আছে। =p~ =p~ =p~

৫। এই লিখা টা দুদিন আগে লিখেছিলাম
ব্লগার চাদগাজী ও রাজীব নুরের ব্যান এর XXXX চাই। এই XXXX দিয়ে চার অক্ষর এর কোন শব্দ বলতে চেয়েছি সেটা সরাসরি বললাম না, তবে মডু চাইলে আমাকে ব্যান করতে পারেন... YOU ARE WELCOME!!!!!
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ১১:৫৭
১৭টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×