আগে পড়ুন - ঘোড়া : আকৃতিপর্ব্ব
প্রকৃতিপর্ব্ব
ঘোড়া প্রকৃতি ভালবাসে। তারা মাথা তুলে সবুজ আকাশ দেখার চেষ্টা করে। চাঁদের আলোয় তারা দাঁড়ায়, হাঁটে, লেজ দোলায়। কখনো কখনো সামনের পা তুলে উঠে দাঁড়ায়। মনিব কন্যার জন্য ফুল পাড়ে। মনিব গৃহিনীর আঁচল চিবোয়।
ঘোড়া যদিও শান্ত কিন্তু তাদের লেজ শান্ত নয়। লেজ শান্ত নয় বলেই যে কোন একটা পা দিয়ে পাইপ ঠোকার শব্দ করে।
ঘোড়া কখনো হাসে না।
গরু প্রায়ই কাঁদে। গাধা গম্ভীর মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকে। ছাগলের মুখ নিরীহ নিশ্চিন্ত। মোষ নির্বিকার। কুকুর ফুর্তিবাজ।
গরু জনম দু:খীনি। গাধারা জনম ইডিয়েট। ছাগল জন্মের পর থেকেই চিবুচ্ছে। মোষ জন্মের পর থেকেই ঝিমুচ্ছে। আর কুকুরের তো জন্মাতেই হয় না।
গরু ডিম পাড়ে না কারণ গরুড় পাখি ডিম পাড়ে। গাধারা ফুটিকেই ডিম মনে করে। ছাগল ডিমের খোসা চিবোয়। কুকুর ডিমের মামলেট খায়। ঘোড়ারা এসব কিছুই জানেনা। ঘোড়া আছে। ডিমও আছে। ঘোড়ার ডিম গণ্পে আছে।
ঘোড়া খুব ঐতিহাসিক। কারণ ঘোড়া ইতিহাস পড়ে না। স্কুলে যেসব ইতিহাস পড়ানো হয় তাতে অনেকেই পাতিহাস পায়। কিন্তু দেখে সোনার ডিম পেটের মধ্যে নেই। অনেকের ধারনা পেটেই সবকিছু থাকে। যেমন অনেকের পেটে পাকস্থলি থাকে। অনেকের পেটে জিলিপি থাকে। অনেকের পেটে পিলে থাকে। অনেকের পেটে ছেলেপিলেও থাকে। অনেকের পেটে কথা বা মদ কিছুই থাকতে চায় না।
ঘোড়া যখন দৌঁড়ায় তখন দৌঁড়ায় । যখন তারা ঘুমায় তখন দৌঁড়ায়। যখন তারা দৌঁড়ায় না তখন শব্দ হয় টক্ টক্ টক্ টর্ টর্ টর্ টরে টরে টক্কা টক্কা
ঘোড়ার কয়েকটি নিজস্ব শব্দ আছে। তাই এদিক ওদিক করে কবিতা লিখতে পারতো। কিন্তু ঘোড়া তেমন কবিযশঃপ্রার্থী নয়। আষ্চর্য। যদিও তাদের নিজস্ব উচ্চারণ আছে। যেমন - তাতার তাতার তাতার তাতার তাতার তাতার তাতার যেমন - হুনুন হুনুন হুনুন হুনুন হুনুন হুনুন কিংবা - হনন্ হনন্ হনন্ হনন্ হনন্ হনন্ হনন্
(চলবে...)
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:৫৬