বোনরে; তোদের হুজুরগণ নিশ্চয়ই খাবার দিবে না তবে যা দিতে চাচ্ছে তোরা এখন বুঝবি না, বুঝবি মৃত্যুর পর। জীবনের তাগিদে তোরা গার্মেন্টসে চাকরী করিস, হয়তোবা আল্লাহ পাক তোদের জীবিকার যে ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তার জন্য শুকরিয়া স্বরূপ তার দরবারে পাঁচবার হাজির হওয়ার সময়ও পাস না। তোরই তোদের ইজ্জত অন্যের হাতে তুলে দিস। তোদের রূপ যৌবন দেখে তোদের সহকর্মীরাই হয়তো তোদের উপর হায়নার মতো ঝাপিয়ে পড়ে। তোরাই ধর্ষিত হস বাসের মধ্যে, তোরাই জন্ম দিস বাবা ছাড়া সন্তানের। আবার তোরাই যুলুম নির্যাতনের বিচার চাস।
ঠান্ডা মাথায় একটু ভেবে দেখ এই দাড়ি টুপি পরিহিত আলিমগণ তোদের ইহকাল এবং পরকালের মঙ্গলের জন্যই রাস্তায় রাস্তায় লড়াই করছে। রঙিন চষমায় এই দৃশ্য হয়তো তোদের অন্যতরে যন্ত্রনার উদগ্রীব হচ্ছে। এক শ্রেণীর লোক তোদের বুঝাচ্ছে হুজুররা তোদের রাস্তায় বের হতে দিবে না বা তোদের ঘরে আটকিয়ে রাখতে চায়। যেখানে শাহাবাগীগণ, রোকেয়া প্রাচী, মামুনুর রশীদের মতো সাইনবোর্ড ধারি ব্যক্তিত্ব যেখানে লিড দিচ্ছে সেখানে কোনটা তোদের জন্য ভাল আর কোনটা মন্দ তা ভাববার অবকাশ কোথায়?কে চায় ঘরে বসে থাকতে? কে চায় এই স্বাধীন দেশে নিজের স্বাধীনতা বিক্রি করতে? কেউ না, তোরা আজ ক্ষিপ্ত বন্দী হবার আশায়, আসলে কি বিষয়টা তাই?
আজ তোদের বুঝানোর জন্য একটু বলি: ইসলাম নারীকে ঘরে বসে থাকতে বলে নাই। ইসলাম নারীদের স্বাধীনতাকে ক্ষুন্ন করে নাই। তোরা মায়ের জাতী, তোদের রক্ষার্থে ইসলামে হাজার গোন্ডা আইন আছে। অনুরোধ করি একবার, শুধু একবার কোরআন শরীফটা বাংলা অর্থ সহ পড়, দেখবি জীবনের সংগা আপনা থেকেই পাল্টে গেছে। মৃত্যুর আগে হলেও একবার জানার চেষ্টা কর আল্লাহ পাক নারী এবং পুরুষদেরকে কি কি উপদেশ দিয়েছেন। না জেনে না বুঝে মারা গেলেও তোকে প্রশ্ন করা হবে: "তোকে বে বাধা দিয়েছে জনতে?"
যদি মুসলমানের সন্তান বলে দাবী করিস তাহলে অবশ্যই স্বীকার করতেই হবে যে, হুজুররা তোদের জন্য যা করছে বা যে দাবীগুলো সরকারের কাছে পেশ করছে তা ১০০% সঠিক। আর যদি তা স্বীকার না করিস তাহলে তোদের মুখ থেকে এ কথাও স্বীকার করতে হবে যে "আল্লাহর আইন আমরা মানি না" "নাবী (সাঃ) কে আমরা আমাদের আদর্শ হিসাবে গ্রহণ করি না" নাউযুবিল্লাহ।
এই দুইয়ের মাঝামাঝি কোন মত বা পথ নাই। হয় আল্লাহর নির্দেশ মানতে হবে অথবা অমান্য করতে হবে, মাঝামাঝি থাকা যাবে না।
দেখ ইসলাম কি বলেছেঃ
তোরা চাকরী কর, বাজারেও যা কোন সমস্যা নাই বোন শুধু হিজাব পালন কর। তোর শরীরটা ঢাকা থাকলে পুরুষদের লেলুপ দৃষ্টি তোদের দিকে পড়বে না। পুরুষরাও চোখের জেনা হতে বেঁচে যাব, তোদের উপরও আল্লাহ পাকের রহমত নেমে আসবে। দেখিস না মাঝে মাঝে কত গার্মেন্টস কর্মী আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যায়; এগুলোকে আল্লাহর তরফ থেকে ছোট্ট একটা গজব হিসাবে ধরে নিস। এই আগুনের থেকে জাহান্নামের আগুন সত্তর হাজারগুন উত্তপ্ত।
তোদের জন্য আজ রাস্তা ঘাটের এমন বেহাল দশা যে, কাঁচা বাজার করতে দাঁড়ালেও তোরা বগলের নীচ দিয়ে মাথা ঢুকিয়ে ঠেলে গুতায়ে চলিস। টিভি খুললেই দেখতে পাই তোদের রূপ যৌবনকে পুঁজি করে বিজ্ঞাপন তৈরী করছে তথাকথিত প্রগতিশীলরা। মার্কেটে তোদের একচ্ছত্র আধিপাত্য, তোদের ঘরের লোক কিছু কিনলে তোদের পছন্দ হয় না, তোরা মার্কেটগুলো দখল করে নিয়েছিস।
আল্লাহর কসম করে বলছি "পৃথিবীর সর্বোৎকৃষ্ট স্থান হল মসজিদ আর সর্বনিকৃষ্ট স্থান হল বাজার" তোরা মসজিদে স্বাধীন ভাবে নামাজ আদায়ের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য কোনদিন আন্দলন করিস না, অথচ মার্কেট সে যতদুরেই হোক তোরা ঢ্যাংঢ্যাং করতে করতে চলে যাস। আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "আমি জাহান্নামে দেখেছি অধিাংশই নারী" এবার বুঝে দেখ তোদের কতগুণ।
তোরা জানিস? আমাদের নবী (সাঃ) এর উপর প্রথম আয়াত ছিল "ইকরা" মানে "পড়" তোমার প্রভূর নামে। ইসলামের জ্ঞান অর্জনকে সবার উপরে স্থান দিয়েছে। এই জ্ঞান শুধু বস্তুবাদি জ্ঞান না। এই জ্ঞান ইসলামি জ্ঞান, আখেরাতের জ্ঞান, আল কুরআনের জ্ঞান। আজকে ঢাকা ভার্সিটির একজন প্রগতিশীল শিক্ষিত চাত্র বা ছাত্রীকে যদি জিজ্ঞেসা করি বলতো জামাতে নামাজ পড়ার সময় ইমাম ভুল করলে পিছনের মুক্তাদীর কি কর্তব্য? মুক্তাদি যদি পুরুষ হয় তাহলে কি করণীয় এবং যদি নারী হয় তাহলে কি করণীয়? আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত ৯৯% ছাত্র-ছাত্রীই হয়তো সঠিক উত্তর দিতে পারবে না। কারন তারা তাগুতের অনুসারী। তারা হয়তো নামাজ পড়ে তবে কায়েম করে না। কোরআন ও হয়তো কেহ কেহ পড়ে কিন্তু অর্থ পড়ে না।
কি জবাব দেবে কাল কেয়ামতের মাঠে? ইসলামকে মান, আল্লাহর হুকুমকে মান তাহলেই পরকালে নাজাত পাবে। অন্যথায় এই প্রগতিশীলরা যখন কাল কেয়ামতের মাঠে উলঙ্গ অবস্থায় আল্লাহর সম্মুখে দাড়াবে এবং আল্লাহ পাক প্রশ্ন করবেন "তোমরা তো তারা যারা আমার আইনকে মধ্যযুগীয় মনে করতে এখন কোথায় তোমাদের সেই আইন প্রণেতা? কোথাই সেই নেতা? তখন কি জবাব দিবে এই রোকেয়া প্রাচী প্রমুখ?
এখনো সময় আছে প্রত্যেককে ইসলামের কাছে সমার্পনের।
আলোচিত ব্লগ
মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়
১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷
চলুন গল্পটা শুনে আসি৷
বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন
ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই
রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।
ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন
সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!
~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো
রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন