হরতাল দিবস কে কেমন ভাবে পালন করেঃ
১) আমার ছেলেঃ বেজায় খুশী কারন স্কুল বন্ধ। সাকালে ঘুম থেকে উঠে দেরী করে।
২) আমার বউঃ সেও খুশী কারন ছেলেকে সকালে উঠে নাস্তা রেডি করে দিতে হয় না।
৩) আমিঃ তোরা খুশী কিন্তু আমি খুশী না। আমার ব্যবসা লাঠে, বসে বসে আঙ্গুল চুষি। মাসটা গেলেই কর্মচারীদের বেতন পরিশোধের চাপ আসে। আয় নেই কিন্তু ব্যয়ের সুন্দর একটা বাজেট আছে। রাজনীতিবিধদের গালি দেই ইচ্ছা মতো।
৪) পাশের বাসার মৌঃ কলেজ বন্ধ তাই বসে বসে ধুমসে সিরিয়াল দেখি। বিকালে বন্ধুদের সাথে রাস্তায় হাটতে বের হই। ফাঁকা রাস্তা তাই বেশ মজা লাগে।
৫) বাড়িওয়ালা চাচাঃ বাবা, কি করমু বসে বসে টিভিতে মারামারি দেখি আর ভাবে আমগো আমলে কতই না ভাল ছিলাম!!
৬) কাজের বুয়াঃ বড়ই চিন্তায় আছে, পোলাডারে কতা কইলেও শোনে না। হরতালে দুই একশ টেহা পায়, সারাদিন মিছিলের পাছ পাছ ঘোরে। কত বুজাই শুনে না।
৭) বুয়ার পোলাঃ অনেক ভালা লাগে। আমগো কদর বাড়ে, দলের নেতারা ফেতারা মোবাইলে ডাহে। গাড়ি মাড়ি ভাঙ্গি, টেহা পাই। হালার বড়লোকগো গাড়ি ভাঙতে বেশী মজা লাগে। হালায়...........হরতালেও গাড়ি!! মাঙ্গের পো;;
৮) বিরোধী দলীয় নেতাঃ ভালত লাগে না, কি করমু উপর থেকে অর্ডার আসে। দলবল গোছানো, মিছিল করা, পুলিশের সাথে মারামারি এই সব বড়ই ঝামেলার কাজ!
৯) সরকার দলীয়ঃ রাজার মতো মিছিল করি; পুলিশ মুলিশ সব আমদের পকেটে। মাঝে মাঝে ককটেল মারি আর দোষ দেই শিবির বিএনপির। ভালই লাগে, জনগণ আসলে আস্ত ভোদাই।
১০) সাংবাদিকঃ অপেক্ষায় থাকি কোথায় মারামারি এবং বোমা বাজি হচ্ছে তার জন্য। শুনা মাত্রই নাড়িভুড়ি নিয়ে দৌড় দেই। মাঝে মাঝে ইটা খাই, তবে পুলিশের সাথে থাকলেও জ্বালা আর মিছিলের ভিতর থেকে শট নেওয়াও জ্বালা। হয় ইটা আর না হয় টিয়ার গ্যাস, গুলি; হরতালকে কাভার দিতেই বেশী ভয় করে।
১১) জামাত হুজুরঃ হয় মারব নয় মরব, শহীদ গাজীর স্বাধই আলাদা!! আমরা ভয় পাইনা গুলি মুলি।
১২) অফিসের স্টাফঃ দেরী করে আসি, রাস্তায় গন্ডগোলের দোহাই দিলে বসরা কিছু কয় না। ভালই লাগে, কাম কাজ না করে বসে বসে পেপার পড়ি।