ট্রেন থেকে নেমেই ছুট দিলাম। স্টেশানের বাইরে থাকা বাসে উঠেই দেখলাম সামনে দূটো পাশাপাশি সিট ফাঁকা আছে। আমি ধারে বসে ভিতরটায় জায়গা রাখলাম। অপর্ণাদি জানলার ধারে বসতে পছন্দ করে।
ছুটতে ছুটতে হাঁপিয়ে গেছি। তাই পিছনদিকে মাথা এলিয়ে দিয়ে হাফ নিতে লাগলাম।ও এসে ঠিক খুঁজে নেবে আমাকে।দেখতে দেখতে দুড়দাড় করে লোক উঠে পড়ল বাসে। মানুষের চিৎকার আর ঝগড়ায় প্রাণ অতিস্ট হয়ে উঠল।
দাদ, একটু সরে বসুন না, বসব- কেউ একজন বলল।না শোনার ভান করে আমি চোখ বুজে রইলাম।
দাদা, আপনাকেই বলছি, ভিতরে সরে বসুন - আমকে কেউ একজন ঠেলে ভিতর দিকে পাঠেতে চাইল। ঝাঁ করে মাথায় রাগ চড়ে গেল। লাফিয়ে উঠে বললাম- দেখছেন না জায়গা রাখা আছে।মধ্যবয়স্ক লোকটা কিছুটা চমকে গেল।তারপর একটু ধাতস্থ হয়ে সেও সমান সুরে বলল -ও , তা কোথায় তিনি?
আছে, ঠিক এসে যাবে।
ভালো, গোটা বাসটাতেই তো এই ভাবে জায়গা রাখতে পারেন, একজন আগে করে এসে সবকটা সিট দখল করে রাখবেন। আর আমরা এসে হা করে দাড়িয়ে থাকব।
অপর্ণাদি এতক্ষণ ক্যাচালটা ভালো করে দেখছিল। এবার লোকটাকে পাশ কাটিয়ে এসে বলল-বাহ, আজ একেবারে জানলার ধারে রেখেছ দেখছি।
হুম, আর একটু হলে তোমার জানলার ধার ঘুচে যেত। আজকাল এমন সব পাবলিক ওঠে বাসে.. -শেষটা একটু জোরেই বলেফেল্লাম।
আগে নিজে কেমন পাবলিক সেটা ভালো করে দেখুন..- লোকটা পিছন থেকে চেঁচিয়ে উঠল।
দাদা , আপনি বসবেন তো? বসুন না- অপর্ণা দি মিষ্টি করে বলে উঠল।
লোকটা আবার একবার হকচকিয়ে গেল। কিছুটা আমিও।