somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আবোল-তাবোল

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কাজিন দুইটার ভাষা নিয়া বড়ই ঝামেলায় আছি।ভাষার ব্যাবহারে তাদের নিজস্ব সৃষ্টিশীলতায় মাঝে-মাঝে বিপাকে পড়ে যাই।
ওইদিন ওদেরকে নিয়ে তেহারী খাচ্ছি,হঠাৎ করে বড়টা চোখ-মুখ কুঁচকে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,'ভাইয়া,আমার মুখে না 'অজ্ঞাত নামা' কয়েকটা হাড্ডি ঢুকে পড়সে।'
বুঝেন অবস্হা ওর মুখের হাড্ডিগুলা 'অজ্ঞাত নামা'।
অন্য আর একদিন পত্রিকা নিয়ে এসে এক ভদ্রলোকের ছবি দেখায়ে বলল,'ভাইয়া,এই লোকটা কি 'কবিতাকর'?
-কবিতাকর!! এইটা আবার কি জিনিস?
ওই যে যারা কবিতা লেখে আর কি।
'কবি'রা এখন 'কবিতাকর' হয়ে গেসে।কই যাই..:(

ছোটটা একটা কোচিং এ নতুন ভর্তি হইসে।বসে-বসে ওর কোচিংএর ভাল-মন্দ দিক নিয়ে আলাপ হচ্ছে।এক পর্যায়ে বড়টা বলল,'এই জন্যই তোরে এই কোচিং এ ভর্তি হইতে মানা করসিলাম।'
ছোটটা মহা বিরক্তি নিয়ে বলল,'কথা হইতেসে পড়া-লেখা নিয়া,'ভর্তি-অনভর্তি' নিয়ে কথা বল কেন?'
ভর্তির কি সুন্দর বিপরিতার্থক শব্দ 'অনভর্তি'।..:)

সালভাদর দালিই সম্ভবত বলসিলেন,'প্রতিটি শিশুই শিল্পী,কিন্তু,শিল্পীস্বত্বা ধরে রেখে বড় হয়ে উঠাটাই কঠিন কাজ'।
একটা পথ যখন চেনা হয়ে যায়,নতুন পথ খোঁজার চেষ্টা খুব মানুষই করেন।একমাত্র শিশুদের ভিতরেই থাকে নতুন পথ খোঁজার সৃষ্টিশীল একটা আকাংখা।তারা প্রশ্ন করতে দ্বিধা করেনা,নতুন জিনিস ট্রাই করতে গিয়ে ভুল হতে পারে এই ধরনের হীনমন্যতায়ও ভোগেনা।

একবার একটি বাচ্চা মেয়ে তার ড্রইং খাতায় খুব মনোযোগ দিয়ে একটা ছবি আঁকছিল।মেয়েটির শিক্ষিকা তাকে জিগ্যেস করলেন,
কি আঁকছ তুমি?
মেয়েটি বলল,'আমি 'গড' এর ছবি আঁকছি'।
-কিন্তু কিভাবে আঁকবে?কেউ তো জানেনা 'গড' দেখতে কিরকম!
মেয়েটি আঁকা বন্ধ না করেই গম্ভীরভাবে বলল.'আমার আঁকা শেষ হলেই সবাই জানবে 'গড' দেথতে কিরকম'।

'কবিতাকর' কিংবা 'অনভর্তি' শব্দগুলো আমাদের অভ্যস্থ দুনিয়ায় ছোট-খাট নাড়া দেয় আর এ ধরনের নাড়া খেতে-খেতেই সভ্যতার এগিয়ে চলা।

জয় হোক সৃষ্টিশীলতার।


৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×