*
*
*
বিচক্ষন নাসিরুদ্দিন হোজ্জা গাধা পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়াতেন, গাধার পিঠে চড়িয়াই তাবৎ সমস্যার তড়িৎ সমাধান দিতেন। আমাদের নেত্রীও এই গল্পটা জানতেন। এদিকে এক গাধা জল খাইতে গিয়া ঘোলা করিয়া ফালিয়াছে, যার কারণে নেত্রী বড়ই বিব্রত হইলেন। তিনি ভাবিলেন এই গাধার পিঠে কাউকে চড়াইয়া দিলেই উনি নাসিরুদ্দিনের মত তড়িৎ সমাধান করিয়া দিবে। তাই তিনি গাধার পিঠে সদা তার অনুকরন করা প্রিয় বানরটাকে বসিয়ে দিলেন। ভাবিলেন বোকা জনগণ এই গাধাকেই বিচক্ষণ ভাবিয়া সকল কথা মানিয়া লইবে। তবে বেকুব বাঙ্গালী গাধার পিঠে বানর দেখে বিচক্ষণতা খোঁজিয়া পাইলো না। আবাল বাঙ্গালী গাধার পিঠে হোজ্জা কিংবা বানরও দেখিলো না। দেখিলো গাধা ও বানরের অদ্ভুত সঙ্গম
এবং রইলো নতুন প্রোডাক্টটের অপেক্ষায়
View this link
View this link
বোনাসঃ-
নাসিরুদ্দিন হোজ্জা তখন কাজী। বিচার আচার করেন। একদিন বিচারে বসেছেন। ফরিয়াদি আসামির সম্পর্কে তার অভিযোগের বয়ান দিতেছে। হোজ্জা মনযোগ দিয়া তার কথা শুনছেন। বাদীর বলা শেষ হয়ে মাথা ঝাকিয়ে বললেন, 'তোমার কথাই ঠিক'।
এইবার আসামি বলে উঠল, 'হুজুর, আমার দুইটা কথা ছিল'। হোজ্জা বললেন, 'ঠিকাছে তুমি তোমার বক্তব্য বল'। আসামির বক্তব্যও মনযোগ দিয়া শোনার পর হোজ্জা বললেন, 'তোমার কথাই ঠিক'।
হোজ্জার স্ত্রী পর্দার আড়ালে এতক্ষণ সব কথা শুনছিলেন। বিরক্ত হয়ে স্বামীকে তিনি বললেন, 'দুইজনই ঠিক হয় কিভাবে? হয় আসামির কথা ঠিক অথবা ফরিয়াদির কথা ঠিক'।
হোজ্জা স্ত্রীর দিকে ফিরে সমর্থনসূচক হাসি দিয়ে বললেন, 'বিবি তোমার কথাই ঠিক'।