গাজী আর কালু দুই ভাই, অচিনপুর রাজ্যে ছিল তাদের বাস। বহু সাধ্য সাধনা করে গাজী পীর অতিমানবীয় গুণ অর্জন করিল। গাজী পীরের ক্ষিপ্রতার সাথে কেহই পারিয়া উঠিত না। হঠাৎ একদিন গোপালপুরের রাজকন্যা চম্পাবতীকে দেখিয়া গাজী প্রেমে পড়িয়া গেলেন, রাজকুমারীরও চটপটে গাজী বাবাকে দেখিয়া খুব পছন্দ করিলেন; কিন্তু শর্ত দিলেন, গাজী পীরকে কঠিন সব অভিযান সম্পন্ন করিতে হবে।
গুণবতী রাজকন্যার প্ররোচনায় গাজী সাহেব বহু বড় বড় অভিযান চালালেন, প্রতিটি অভিযানেই ছোট ভাই কালু ছিল তাহার বিপদের সঙ্গী। সব কটিতেই সফল হলেন, অবশেষে রাজকন্যা চূড়ান্ত শর্ত দিল, সুন্দরবনের বাঘকে পোষ মানাতে হবে। কিন্তু অরণ্যে গিয়া উল্টা বাঘের তাড়া খাইয়া জান হাতে নিয়া পালিয়ে বাঁচলেন গাজী-কালু। অতঃপর এক নাদুস নুদুস বনবিড়াল ধরে বাঘের মত রঙ করিয়ে রাজ প্রসাদে এসে হাজির হলেন।
কিন্তু বিচক্ষণ রাজার কাছে, এই জালিয়াতি ধরা পড়ে গেল; সবাই তাদের ধিক্কার দিতে লাগল। রাজা ঘোষণা দিলেন, গাজী জালিয়াতি করেছে, কাজেই তাকে শূলে চড়ানো হবে; কিন্তু কালুকে কিছু কম শাস্তি দেওয়া হবে। রাজ্যের কোষাধ্যক্ষ রাজাকে স্টুপিড, রাবিশ বলে অনেক কিছু বুঝালেন, কিন্তু রাজা মানতে নারাজ।
এদিকে প্রেমিকা চম্পাবতী ঘোষণা দিলেন, গাজীকে কোন ভাবেই শাস্তি দেওয়া যাবেনা, আর দিলে গাজী-কালুকে এক সাথে শূলে চড়াতে হবে। গাজীর প্রতি চম্পাবতীর এরূপ পক্ষপাতিত্ব দেখে দেশের মানুষ ছিঃ ছিঃ করতে লাগল, কিন্তু নির্লজ্জ রাজকুমারীর তাতে কোনই বিকার নেই।
অতঃপর কি হল জানতে গোপালপুর রাজ্যের সংবাদপত্রের উপর চোখ রাখুন-

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



