আপনাদের কি জলিল সাহেব এবং উনার বিখ্যাত ট্রাম্প কার্ডের কথা মনে আছে? যিনি হাতের ট্রাম্পকার্ড তথা একটি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে ২০০৪ সালের ৩০শে এপ্রিলের মাঝে উৎখাতের ঘোষণা দিয়েছিলেন। প্ল্যানটি ছিল, প্রশিকার ৫লক্ষ কর্মচারীকে দাবী আদায়ের নামে ঢাকায় এনে তাদের দিয়ে সরকার পতনের ডাক দেওয়া হবে; যা পরবর্তীতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তৎপরতার কারণে ব্যর্থ হয়ে যায়।
কিন্তু এটিই কি তার আসল ট্রাম্পকার্ড ছিল? না, প্রকৃত ট্রাম্পকার্ডটি ছিল উনি স্বয়ং। ষড়যন্ত্রের দায়ে সরকার যদি তখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে গ্রেপ্তার করত, তাহলেই দেশ ব্যাপী জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন শুরু করে দিতে আওয়ামী লীগ এবং পরিণামে পতন। কিন্তু বিএনপি সরকার পরিস্থিতি বুঝে আর সেটি করেনি; বরং দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করেও জলিল সাহেব মুক্ত থেকে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিয়মিত।
আওয়ামী লীগ দলটাই প্রকৃত এই রকম; সরকারী, বিরোধী যেখানেই থাকুক না কেন, গণতন্ত্র তাদের হাতে ধর্ষিত হবেই। আজ বিরোধী দলের মহাসচিব ময়লার গাড়িতে আগুন দেওয়ার মামলায় জেল খাটছে, রুহুল কবির রিজভি পার্টি অফিসে বন্দী দীর্ঘদিন, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মোবাইল চুরির মামলায় অভিযুক্ত!! এগুলোতে কি গণতন্ত্র বিনষ্ট হচ্ছে না!!
আওয়ামী লীগ চাচ্ছে, বিএনপি এর প্রতিবাদে জ্বালাও পোড়াও শুরু করলে দেশকে আবারও ১/১১ এর দিকে ঠেলে দিতে। কিন্তু বিএনপি পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন বলেই এই ফাঁদে পা দিচ্ছে না।
দুই দিন আগে খালেদা জিয়া তাঁর ওয়াশিংটন পোষ্টের আর্টিকেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের জন্য আমেরিকা, ইউকে'কে উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। যেখানে একটা পাগলও জানে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে এই দাবী আদায় করতে গেলে অবশ্যই বহির্বিশ্বের হস্তক্ষেপ লাগবে; নাহয় দেশব্যাপী ব্যাপক ভাঙচুর করে, একের পর এক লাশ ফেলে হয়তো সরকারকে রাজি করানো যেতে পারে। কিন্তু উনি সহিংসতার পথে না গিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় সমাধান করতে চেয়েছিলেন বলেই কি দেশদ্রোহী হয়ে গেলেন!! দেশের শান্তি এবং গণতন্ত্র রক্ষার জন্য এই দাবী করে তিনি কি কোন ভুল করেছিলেন? যে সরকার বিরোধী দলের হুইপকে মারার পুরষ্কার হিসেবে পুলিশকে রাষ্ট্রপতির পদক দেয়, সেই সরকারের অধীনে কিভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব তা কি কেউ বুঝিয়ে বলবেন?
এদেশে গতানুগতিক রাজনীতির ধারা হতে যদি কেউ বেরিয়ে আসে, তো সেটা হচ্ছে বিএনপি। অযৌক্তিক হরতাল এবং সহিংসতার পথ থেকে সরে আসছে তারা। কিন্তু ডিজিটাল এবং দিন বদলের স্বপ্ন দেখানো আওয়ামী লীগ এখনো তাদের খুন, সহিংসতা আর মিথ্যার রাজনৈতিক ঐতিহ্যেই অটল আছে এখনো।
(বহির্বিশ্বে কারা দেশের প্রকৃত ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে, তার কিছু উদাহরণ মন্তব্যে দেওয়া হল)
জাতি সঙ্ঘের অধিবেশনে কে বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বলেছিল। বিগত আওয়ামী লীগ আমলে যেখানে উদিচি, সিপিবি, শামিম উসমানের উপর হামলা হয়েছিল। সেখানে কেন তিনি ২০০২ হতে কাহিনী বলা শুরু করলেন?? ভাষণের ১৭নং পয়েন্টটি পড়ুন
বহির্বিশ্বে সম্মানিত ডঃ ইউনুসকে কে বিদেশী সাংবাদিকের সামনে রক্ত চোষা বলে গালি দিয়েছিল?
http://www.youtube.com/watch?v=GJcP7TDXwPw
ভারতীয় রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশকে সন্ত্রাসী, সহিংসতার দেশ বললেও উনি পুরষ্কার পেয়ে প্রতিবাদ করতে ভুলে যান View this link
একটু দেখুন, কার সুপুত্র এদেশে ইসলামী জঙ্গি রাষ্ট্রের উত্থান নিয়ে আন্তর্জাতিক প্রবন্ধ লিখে?
View this link
**লেখাটি ব্লগার চাঁপাডাঙার চান্দু র ফেসবুক থেকে নেওয়া
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০০