বাতাসে উদাস পাতা উড়ে এসে কপালে পড়েছে
কেন আমি শুয়ে আছি এই সিক্ত মাটির উপর
শুয়ে আছি কবে থেকে কবেকার পৃথিবীর উতল
মানববক্ষ, প্রকৃতির বুকে রিক্ত তোমাকে জাগ্রত
করে রাখি আমি ওগো স্পন্দন-লতা, ত্রস্ত ডাকাতিয়া
তুমি শীতের রাতের মত জড়িয়ে ধরেছো যেন
মৃত্যু এসে তোমার মাতৃত্ব থেকে কেড়ে নিয়ে যাবে
শিশুটির প্রাণ-শীর্ণ-লতিকারে, তবুও মাটিতে
আমি শুয়ে আছি যেন বাতাসে উদাস পাতা উড়ে
উড়ে উড়ে এক ঋতু থেকে আমি আরেক ঋতুর
গর্ভে জায়মান ভাষা, ধরিত্রীর কোলের সন্তান
গভীরগজলসম কান্না হয়ে ঝরে পড়ি তবু
সারিবদ্ধ সন্যাসীর মত এই উদাস বাতাসে
পাতা উড়ে চলে যায় যেন এই পৃথিবীর কোনো
এপার-ওপার বলে কিছু নেই যেন আমি সিক্ত
মাটির উপরে শুয়ে আকাশের তারাদের পানে
চেয়ে আছি নির্নিমেষ, মাগো, শূষ্ক পাতারা আমার
দেহে বাতাসের মত এসে কেন লুটিয়ে পড়েছে
কেন এই সহস্র মৃত্যুর হল্কা আমাকে জাগর রেখে
ভূমিতটে শুইয়ে রেখে সমুদ্র-সন্ত্রস্ত-তীরে একা
বটের গাছের মত প্রতীক্ষা-নির্জন করে আজও
শীতের বাতাস যেন ছুটে যায় বসন্তের দিকে
পাতার মৃত্যুর শব্দে জেগে থাকি আপন মৃত্যুর
অনুপ্রাস বুকে নিয়ে সামসাসামনি প্রকৃতি ও কবি !
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২
সেন্ট্রাল রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা