কিছুদিন আগের ঘটনা। আমার এক ছোট ভাই (পরিচয় গোপনই থাক) কানাডাতে অবস্থান করছে বেশ কয়েক বছর যাবৎ। সে প্রায় ৫ বছর ধরে বসবাস করছে সাস্কেচুয়ানের রিজাইনাতে। হঠাৎ একদিন ফোনে জানাল তাদের জোনে প্রতি বছর একটা মেলা হয়। সেই মেলাটার নাম "মোজাইক, এ ফ্যাষ্টিভ্যাল অভ কালচারস"। শুনেছি, বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন কালচারের সমাগম ঘটে ঐ মেলায়। যে দেশের রিপ্রেজেন্টেটিভরা সেখানে অংশগ্রহন করে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে তাদের নিজেদের সংস্কৃতি, কারুপন্য, সভ্যতা, স্বাদ আর রুচির সমাগম ঘটাতে অথবা তাদের আসল ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে। এটা কোন কালচারাল ফাইট নয় বরং নিজের দেশকে উপরে আরো উপরে তুলে ধরার প্রতিযোগীতা। সুষ্ঠু , সুন্দর আর হেলদি একটা প্রতিযোগিতা আর কিছুটা হলেও বিক্রি বাট্টা।
মেলায় বিক্রি বাট্টা চলছে।
যাই হোক, এই সুবাদে সে আমাকে জানাল তারা কমিউনিটির কিছু বন্ধু বান্ধব তথা সদস্যরা এইবার সুযোগ পেয়েছে এই মেলায় অংশগ্রহন করার। তারা সেই সুযোগ মোটেও হাতছাড়া করতে রাজি নয়। অর্থ উপার্জন তথা চাকুরী, ব্যবসা, পড়ালেখা আর শত ব্যস্ততার মধ্যেও তারা সবাই একবাক্যে রাজী হয়ে যায়, যে কোন মুল্যেই সফল করতে হবে এই মেলাটাকে, দেখাতে হবে নিজেদের বিকাশ, ঐতিহ্য আর আভিজাত্য তাও নিজেদের সাংস্কৃতিক ধারায় আর বৈচিত্রে।
আর সেই প্রেক্ষাপটে এই দূর বাংলাদেশে থেকে আমাকেও অংশ নিতে হবে তাদের এই মহামিলনে। কিন্তু কিভাবে? আমার উপর দ্বায়িত্ব এসে পরল দেশজ হ্যান্ডিক্রাফটস, নকশী কাঁথা ওয়ালমেট, নকশী কাঁথা, আরো দেশজ কিছু পন্যের সমাহার ঘটানো এবং সেগুলো তাদের বাজেটের মধ্যে ক্রয় করে তাদের কাছে পাঠানো। তারা আরো কিছু বুটীক আইটেমের কথা বল্লেও পরবর্তীতে ঐ বিষয়ে এক্সপার্ট কাউকে জামা কাপড় আর বুটীক সংক্রান্ত ব্যাপারগুলো দেখার দ্বায়িত্ব দেয়া হয় এবং স্টল আউটসোর্স করা হয়। আমিও হাফ ছেড়ে বাঁচি কারন এই সব ব্যপারেই আমার অভিজ্ঞতে শূন্যের কোঠায় আর বুটিক বাটীক? ওরে ব্বাপ্স!!! যাই হোক আমার দ্বায়িত্বে যে আইটেমগুলো পরল সেগুলো হল-
১. নকশী কাঁথা
২. নকশী কাঁথা ওয়ালম্যাট
৩. দেশজ ডূগডূগী
৪. বাঁশের বাশী
৫. মাটির অরনামেণ্টস
৬. কাঠের অরনামেণ্টস
৭. কাপড় অথবা সেলাইয়ের অরনামেণ্টস (জোগাড় করা সম্ভব হয়নি)
৮. শতরঞ্জী (মাল্টিকালার এন্ড সাইজ এজ রিকুয়ার্ড)
৯. দেশী গামছা মাল্টিকালার
১০. চারুকলার বড় ডেকোরেশন মুখোশ
১১. শত রকমের বিভিন্ন ধরনের দেশজ শো-পিস আর খেলনা
১২. শত রকমের পাট জাত ব্যাগ অথবা শোপিস অথবা খেলনা
১৩. গেড়ুয়া রঙের বাউল জামা, ফুল সেট (পুরুষ এবং মহিলা)
১৮. ঝালমুড়িওয়ালার দেশী জোকাড় ড্রেস
১৯. লুঙ্গি
২০. বাংলাদেশের পতাকা
মেলার বিভিন্ন জিনিসপত্র, হ্যান্ডিক্রাফটস- ১
মেলার বিভিন্ন জিনিসপত্র, হ্যান্ডিক্রাফটস- ২
মেলার বিভিন্ন জিনিসপত্র, হ্যান্ডিক্রাফটস- ৩
মেলার বিভিন্ন জিনিসপত্র, হ্যান্ডিক্রাফটস- ৪
মেলার বিভিন্ন জিনিসপত্র, হ্যান্ডিক্রাফটস- ৫
লিষ্টটা অনেক বড়। প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এই রকম মাল্টিটাইপ প্রোডাক্টের আস্তানা খুজে বের করাও জটিল। তেমন কারো সাথে পরিচয়-ও নেই যারা এই ব্যাপারে হেল্প করতে পারে। তবুও কয়েকজন বন্ধু বান্ধব ও পরিচিত জনকে কচ্ছপের কামড়ের মত ধরে বসলাম যে এই ব্যাপারে যেভাবেই হোক হেল্পাতে হবে নতুবা ইজ্জত যায় যায়। অবশেষে পেলাম-ও সাহায্য। ফেরালো না আমাকে। যতটুকু সম্ভব সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল, সময় দিল, যোগাযোগ করিয়ে দিল জায়গামত। এ এক নতুন অভিজ্ঞতা। যারা আমাকে অনেক জায়গা চিনিয়ে দিয়ে, পরিচয় করিয়ে দিয়ে, নিয়ে গিয়ে, প্যাকিং করতে সাহায্য করে, একা একা দৌড় ঝাপে সঙ্গ দিয়ে আরো অনেকে অনেক ভাবে সাহায্য করেছে তাদের কাছে আমার মন থেকে কৃতজ্ঞতা রইল। তাদেরকে নিয়ে দৌড়াদৌড়িতে ছোটখাট দুর্ঘটনাও ঘটেছে, অনেক মজাও হয়েছে সেগুলো বলতে গেলে আরেকটা ব্লগ লেখা যাবে। তাই আপাতত এই বিষয় থাক।
মেলার মাস্তি
বরং এ কেনাকাটা দৌড় ঝাপ এর অভিজ্ঞতা থেকে যে জ্ঞান সঞ্চয় হল সেগুলো বরং একটু শেয়ার করি-
১. নকশী কাঁথা অথবা নকশী কাঁথা ওয়ালম্যাট মানিকগঞ্জ থেকে নিয়ে আসলে, তাদের কারখানা থেকে নিয়ে আসলেও একই দামে আনতে হবে যদি না কোন দালাল ধরা হয়। তারা বলবে আমাদের সব জায়গায় এক দাম কিন্তু দালাল ধরলে দুই দাম হয়ে যায়।
নকশী কাঁথা স্টল
২. নকশী কাঁথা দুই ধরনের। একটা মৌলিক সৃষ্টি যেটা গ্রামের কোন গৃহবধু অথবা কোন মেয়ে আকিয়ে তার কল্পনাপ্রসূত মন থেকে অংকন করে সেলাই করে। তার চিন্তা আর ভাবনার একটা আবেশ ফুটে উঠে সেই চারু শিল্পে। এটার চাহিদা , মর্যাদা এবং আর্থিক মুল্যমান-ও বেশী।
আরেকটা হচ্ছে ডাইসে ফেলে ডিজাইন করা। তার মানে যারা মাষ্টার অথবা হেড শিল্পী, উনি ড্রইং করে দেয় ছাঁচে ফেলে এবং তার চ্যালা ও কর্মচারীরা ওটার উপর সেলাই চালিয়ে যায়। দেখায় এটা মৌলিকটার চেয়ে দৃশ্যত সুন্দর ও পলিশড হয়। কিন্তু মানের এবং মূল্যের দিক দিয়ে বেশ সস্তা।
৩. দেশজ ডুগডুগি সাধারনত যশোরে তৈরি হয়। এগুলো কাঠের ওপর বিভিন্ন ডিজাইন করে চামরার পর্দা দিয়ে দুই পাশ টাইট করে এয়ারটাইট করা হয়। প্রথমাবস্থায় চামড়া কাচা থাকে কিন্তু পরে শুকালে আওয়াজ ভালো হয়। আরেক ধরনের এলিট ক্লাস ডুগুডুগি পাওয়া যায় যেগুলো বেশ দামী এবং দড়ি দিয়ে প্যাচানো ও বিভিন্ন ধরনের কালার করা। সাধারনত বানর নাচানোর কাজে এই ডুগডুগি গূলো ব্যবহার হয়।
স্টল অভ হ্যান্ডিক্রাফটস
৪. বাঁশের বাশী বিভিন্ন দামের ও কালারের পাওয়া যায় কিন্তু মুলি বাঁশের যে বাঁশীগুলো কালারফুল সেগুলো দেশের বাইরে না পাঠানোই ভালো কারন এইসব বাশীতে ফুড গ্রেড কালার ব্যবহার হয়না, তাই যেহেতু মুখে নিয়া বাজাতে হয় সেহেতু দেশের বাইরে কেস কামারির শিকার হওয়ার সম্ভাবনা একদম ফেলে দেয়া যায় না। তাই কালারলেস বাশীই পাঠানো ও ব্যাবহার করা উচিত।
৫. মাটির এবং কাঠের অরনামেন্টস সহজলভ্য কিন্তু কোয়ালিটি প্রডাক্ট জোগার করা সত্যিই জটিল। মাটির এবং কাঠের দুটোই যদিও দেশে অর্থাৎ আমাদের কুষ্টিয়া আর যশোরে তৈরী হয় কিন্তু অধিকাংশগুলোর গায়ে Made in China লেখা থাকলেও অবাক হওয়ার কিছু নাই।
নকশীস্টল সেল
৬. আমাদের দেশের বিক্রেতারা Made in China বললে জিনিসটা অনেক কোয়ালিটি আইটেম হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয় কিন্তু দেশী হলে তারা সাধারন বলে পরিচয় করায়। বিক্রির খাতিরে তাই অনেক বিক্রেতা দেশী পন্যের মোড়কগুলোতে Made in China লিখে দেয়। আমরা স্বজাতী হিসেবে কত বড় দেউলিয়া তা প্রতি পদে পদে প্রমান হয়ে যায়।
৭. আমাদের দেশের হারানো সোনা পাট। সেই পাটের ব্যাগ অথবা জিনিস পত্র কেনার জন্য যখন সোবহানবাগের রিসার্চ ইনষ্টিটিউট আর মতিঝিলে পাট কল কর্পোরেশনে যোগাযোগ করলাম সেখানে দেখলাম এক অভাবনীয় অনীহার ছাপ। সোবহানবাগের রিসার্চ ইনষ্টিটিউট-এ কিছু মাছ বাজারের পাটের ব্যাগ আর বস্তা ছাড়া আর কিছুই পেলাম না। আর পাট কল কর্পোরেশনে তো তাদের শো রুম-ই এখন বন্ধ করে দিয়েছে।
স্টল সেল- ২
৮. বাউল ড্রেস আর ঝাল মুড়িওয়ালার ড্রেস বানাতে কিছুটা বেগ পেতে হল। কেউ কাজ ধরতে চায়না। সব দর্জি-ই বল্ল এই জিনিস তারা আগে বানায়নি। ইন্টারনেট থেকে ছবি নিয়ে জায়গায় জায়গায় ঘুরলাম। পেলাম না। অবশেষে নিজের ঘরের কাছে এক দর্জি অনাকাঙ্খিতভাবে রাজী হয়ে গেল। বানিয়ে দিল যা চেয়েছিলাম তাই।
৯. সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটা নিয়ে বেগ পেতে হল সেটা হল হাতপাখা। এটা যে সে হাতপাখা না। বিভিন্ন কালারের সুতার সেলাইয়ের আমাদের খান্দানি ঐতিহ্যের সেই হাতপাখা। তাল পাখা পাই, কাপড়ের কাজ করা পাখা পাই, বাঁশের কঞ্চিরটা পাই কিন্তু ঐ ঐতিহ্যবাহী সুতার পাখা আর পাই না। বগুড়া নাকি এইজন্য বিখ্যাত, সেখানেও খবর পাঠালাম। কিন্তু খবর আসলো না। পরে কুমিল্লা থেকে আমার এক আত্বীয়ের মাধ্যমে দুই তিন হাত বদলের পর উচ্চ মূল্যে পাখাগুলো কিনতে হল। এর পর পর-ই বগুড়া থেকে খবর আসল, পাখা পাওয়া গেছে এবং দামেও সস্তা। খুব আফসোস হল তখন।
মেহেদী সাজানো
১০. দেশের বাইরে বাংলাদেশের রংপুরের ঐতিহ্যবাহী হাতে তৈরী শতরঞ্জির যে কি চাহিদা নর্থ আমেরিকা, কানাডা অথবা ইউরোপে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই প্রথম আমি শতরঞ্জি নামক আমাদের যে মহামূল্যবান শিল্পটা আছে তার কদর বুঝতে পারলাম কিন্তু আমাদের সরকার মনে হয় তা এখনো বুঝে উঠতে পারেনি। এই কদরের মুল কারন হচ্ছে এর রঙের বৈচিত্র আর কারিগরের হাতের স্পর্শ। তাছাড়া আমাদের দেশে যে পরিমান ধুলা বালি হয়, ঐসব দেশ এই ধুলার আগ্রাসন থেকে বেশ খানিকটা মুক্ত, তাই এই শতরঞ্জির সৌন্দর্য-ও জেগে থাকে অনেকদিন। তাদের শ্বেত শুভ্র ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে যায় সহজেই।
১১. যে জিনিসটা আগে খুব পাওয়া যেত সেটা হচ্ছে স্ট্রীচ অর্নামেন্টস অথবা সেলাইয়ের অলংকার। ঢাকা ইউনিভার্সিটি, আজিজ মার্কেট অথবা লোকাল মার্কেট ও মেলাগুলোতেও বেশ পাওয়া যেত। বেমালুম বেদিশা হয়ে গেলাম খুজতে গিয়ে, পেলামনা কোথাও।
১২. চারুকলার মুখোশ খোজা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম কিন্তু সামনে পহেলা বৈশাখ থাকায় পেয়ে গেলাম সহজেই। অন্য সময় হলে অনেক বেশী খরুচে হয়ে যেত ব্যাপারটায় অর্ডার দেয়ার কারনে।
স্টল সেল - ৪
জিনিস পত্র আর কেনাকাটা নিয়ে অনেক আলাপ করলাম। এইবার পাঠানো নিয়ে একটু আলাপ করি। আমি এখানে কোথাও মুল্য নিয়ে আলাপ করিনি কারন সময়, পরিমান, দুষ্প্রাপ্যতা আর যোগাযোগের কারনে এই জিনিসগুলোর মুল্যমান অনেক এদিক সেদিক হতে পারে। আমি কোন জিনিসই একি রকম অধিক সংখ্যক হারে কিনিনি। ভারাইটি মেইনটেইন করেছি, চাহিদা অনুযায়ী। তাই সবকিছুতে হোলসেল রেট মেইন্টেইন করা সম্ভব হয়নি। একি রকম জিনিস অধিক হারে কিনলে খরচ আরো বেশ কিছু কমিয়ে আনা সম্ভব। সেই অনুযায়ী পরিমান বেশী হলে পাঠানোর খরচটাও কমানো সম্ভব আর পরিশেষে লাভের খাতায় অতিরিক্ত কিছু যুক্তও হয়।
রিক্সা
আমি আগেই বলেছি এই পাঠানোর অভিজ্ঞতা আমার ছিল না। আর পরিমান অতো বেশিও না যে ট্রেড লাইসেন্স করে এল, সি এনে তারপর পাঠাবো। পরিচিত যাদের বললাম অথবা জিজ্ঞাসা করলাম তারা কুরিয়ার দেখিয়ে দিল। যাই হোক সিদ্ধান্ত নিলাম কুরিয়ারে পাঠাবো। কোন কুরিয়ার সেটা বলে কারো প্রচার বাড়াতে চাচ্ছি না, মুল ঘাপলার জায়গাটা বলি। এখানে তাদের দুই ধরনের পাঠানোর ফর্মুলা তারা এপ্লাই করে-
এক, Weight Matrix (Cost Counts on per KG of Carton)
দুই, Volume Matrix ( Cost Coounts on HxWxD/5000 of Carton)
আমার যেহেতু এখানে সব কিছুই ওজনের চেয়ে সাইজে বেশি সেহেতু দ্বিতীয় ফর্মুলায় পরে যায়। ২৬কেজি অথবা ৩০ কেজির কার্টুনে আমার হচ্ছে হয়ত ২১ কেজি, ২২কেজি, ক্ষেত্র বিশেষে ১৮ কেজি। সব হালকা জিনিস কিন্তু এরিয়া কাভার করছে বেশী। অজ্ঞানতা বশত আমি সব কাউন্ট করেছিলাম ওয়েইট-এ কিন্তু পরবর্তিতে ভলিউম-এ কাউন্ট করে আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরে। খরচ যা আশা করেছিলাম প্রায় তার দ্বিগুন হয়ে যাচ্ছে। কি আর করা নিয়ম অনুযায়ী যা তাই দিয়ে মালামাল গুলো আল্লাহ-র নাম নিয়ে পাঠিয়ে দিলাম। যত তাড়াতাড়ি আশা করেছিলাম তার চেয়ে দেরীতেই পৌছাল জিনিস খুব একটা ক্ষতি ছাড়া। কিন্তু অনাকাঙ্খিতভাবে আবারো কিছু খরচ বাড়ল কাষ্টমসে। ১০ডলার থেকে ৩০ ডলার করে ব্যয় হল অতিরিক্ত এই কাষ্টমস ডিউটি দিতে গিয়ে।
রিক্সা ২
কালচারাল প্রোগ্রাম
যাই হোক গত ৫,৬,৭ তারিখে হয়ে গেল তাদের সেই কালচারাল ফেষ্টিভ্যাল। শুনলাম ব্যাপক খাওয়া দাওয়া, মেহেদী দেয়া আর সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামের আয়োজন ছিল। কোথা থেকে যেন একটা রিক্সাও যোগাড় করেছে তারা। কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ-ও হলো কেউ কেউ, তার মধ্যে আমার ভাই অন্যতম। দেশজ পন্যের গুনাগুন আর ইতিহাস বলতে বলতে এই অবস্থা। তবুও সুন্দরভাবে শেষ করেছে তাদের সেই মোজাইক ফেষ্টিভ্যাল। এতো দূরে থেকেও ঐ দূর দেশে নিজের দেশের সংস্কৃতি প্রস্ফুটনের অংশীদার হতে পেরে কেমন যেন তৃপ্তি বোধ করছি, তাই সবার সাথে একটু শেয়ার করলাম। সামনে থেকে দেখতে পারিনি তাতে কি? ভাল কিছুর সাথে ছিলাম, তাই, মনে রেখ এক ফোটা দিলাম শিশির স্টাইলে আপাতত ভাল লাগাটুকুই আমার সান্তনা হয়ে রইল।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩০