somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

২০১৭ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট

৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশকে ঘিরে মহাপরিকল্পনা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উন্নয়নে মাইলফলক স্থাপনে গত ছয় বছরের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে দেশকে বদলে দিতে চান তিনি। ইতিমধ্যেই দেশের অবকাঠামোর ক্ষেত্রে একের পর এক বৃহৎ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। যার বড় অংশ এখন দৃশ্যমান। ২০১৯ সালের মধ্যেই বাস্তবায়ন করতে চান পদ্মা সেতু, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, কর্ণফুলীতে টানেল, ঢাকা-চট্টগ্রামে নতুন নতুন ফ্লাইওভার, ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের সংযোগে চার লেন, উড়ালসড়ক, কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, অর্থনৈতিক জোন, গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনসহ উন্নয়নে মাস্টারপ্ল্যান প্রধানমন্ত্রীর। শুধু তাই নয়, বেসরকারি খাতকেও উৎসাহিত করে উন্নয়নে গতি আনতে চান তিনি। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের তদারকি করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মনিটরিং সেল। প্রয়োজনে বিভিন্ন সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে প্রকল্পের।
জানা যায়, গত মেয়াদে ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনার করা উন্নয়নের মাস্টারপ্ল্যানে রাখা হয় বাংলাদেশের ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’-কে। প্রকল্পের কাজ এগিয়েও গেছে অনেকখানি। সব কাজ শেষে ২০১৭ সালের মধ্যে স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১’ পাঠানো সম্ভব হলে বাংলাদেশের নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। মিলিয়ন ডলার বেচে যাবে টেলিভিশন সম্প্রচার, টেলিফোন, রেডিওসহ অন্যান্য কাজে এতদিন দেওয়া ভাড়া থেকে। আবার বিদেশিদের কাছে ভাড়াও দেওয়া যাবে। বাংলাদেশের আরেকটি বৃহৎপ্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। প্রায় ৬০ বছর আগের এই পরিকল্পনা একেবারে বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতোই বাংলাদেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের বিষয়টিও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের মাস্টারপ্ল্যানে বৃহৎ অংশ জুড়েই আছে। গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ হলে বাংলাদেশ এই অঞ্চলের বাণিজ্যের হাবে পরিণত হতে পারে। গভীর সমুদ্রবন্দরের পাশাপাশি চট্টগ্রামের পর দ্বিতীয় অগভীর সমুদ্রবন্দর তৈরি হচ্ছে পায়রায়। সূত্র মতে, দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতির চিত্র পাল্টে দিতে একসঙ্গে বেশ কিছু অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা আছে শেখ হাসিনার মাস্টারপ্ল্যানে। একসঙ্গে পাঁচটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক কাজ শুরুও করা হয়েছে। চট্টগ্রামের মিরসরাই ও আনোয়ারা, সিলেটের মৌলভীবাজার ও বাগেরহাটের মংলায় প্রথম চারটি অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে বিদেশিদের টাকায়, পঞ্চমটি হবে সিরাজগঞ্জে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে। এ ছাড়া চীন, জাপান ও ভারতের মতো দেশের জন্য আলাদা অর্থনৈতিক এলাকার পরিকল্পনাও আছে মাস্টারপ্ল্যানে। ইতিমধ্যেই দেশের সমুদ্র তীরবর্তী জেলা কক্সবাজারকে নিয়েও করা হয়েছে মহাপরিকল্পনা। এতে শুধু কক্সবাজারের বিস্তীর্ণ অবহেলিত জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে ছয়টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। টেকনাফের সাবরাংয়ে, জালিয়ার দ্বীপে দুটি ও মহেশখালীতে গড়ে তোলা হচ্ছে তিনটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও একটি ফ্রি ট্রেড জোন। তৈরি হবে নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সরাসরি সংযুক্ত হবে রেলপথে। কক্সবাজারের নির্মাণাধীন মেরিন ড্রাইভই ভবিষ্যতে সরাসরি মিয়ানমার চীনের সঙ্গে যুক্ত হবে। এখানেই নতুন পথ তৈরি করে যুক্ত করা হবে জাপানের বিগ-বি প্রজেক্টের মধ্যে। বাংলাদেশকে সরাসরি যুক্ত করবে চীন ও জাপানের সিল্করুট ও বিগবির সঙ্গে। জানা যায়, ব্যাবসা-বাণিজ্য-বিনিয়োগের পরিধি বাড়ানোর জন্য সবার আগে প্রয়োজন হয় বিদ্যুৎ। এ কারণে মাস্টারপ্ল্যানে সবার আগে স্থান দেওয়া হয় বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ানোকে। তারই সুফল এখন পাওয়া যাচ্ছে। ২০০৯ সালে যেখানে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো ২ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট সেখানে বর্তমানে দেশে প্রায় ১৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা আছে। কিন্তু বিনিয়োগ বাড়লে আরও চাহিদা বাড়বে তাই পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে আরও বিদ্যুতের। সেজন্য সম্ভব সব সোর্স থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে মাস্টারপ্ল্যানে। মাতারবাড়ী ও রামপালে হচ্ছে দুটি বৃহৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের বাইরে আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যুৎ আমদানির সুযোগকেও মাস্টারপ্ল্যানে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রীর মাস্টারপ্ল্যানে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ছিল সবার আগে। এরই অংশ হিসেবে রাজধানীতে একের পর এক ফ্লাইওভার, ওভারপাসসহ দৃষ্টিনন্দন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রক্রিয়াধীন আছে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ অন্যান্য প্রকল্প। হাতিরঝিল প্রকল্প বাস্তবায়ন করে রাজধানীবাসীর চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়ার পর এগিয়ে গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ ফোর লেনসহ সব প্রকল্প। ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত তৈরি হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ ফ্লাইওভার। যোগাযোগ খাতের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে জোর দেওয়া সরকার নিজস্ব অর্থায়নেই এটি বাস্তবায়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে এসেছে। সরকারের মাস্টারপ্ল্যানে আরেকটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে সমুদ্র ভিত্তিক ব্লু-ইকোনমি। লক্ষ্য সাগরে বিশাল জলসীমায় থাকা বিপুল পরিমাণ সমুদ্র সম্পদের ব্যবহার। তথ্য ও প্রযুক্তি সেবা মানুষের একেবারে দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিল সরকার। ইউনিয়ন পরিষদে তথ্য সেবাকেন্দ্র চালু করে এই সেবাকে মানুষের একেবারে কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন ইন্টারনেটে মূল্য কমানোকে নেওয়া হয়েছে চ্যালেঞ্জ হিসেবে। সরকারের নীতিনির্ধারণী সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাস্টারপ্ল্যানে দেশের বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করার জন্য নীতিমালা সংস্কারের চিন্তাভাবনাও আছে। যে কোনো ধরনের আইনি প্রতিবন্ধকতা দূর করার নির্দেশনাও আছে তার। মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে বিভিন্ন বৃহৎ প্রকল্পে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের বা পিপিপির ধারণা প্রবর্তন করেছেন। আবার এতদিন ধরে থাকা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করতে সব স্তরে ডিজিটাল পদ্ধতি প্রবর্তন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও দুর্নীতি দূর করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে সরকার।সূত্র: Click This Link

সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:২৬
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যাড গাই গুড গাই

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

নেগোশিয়েশনে একটা কৌশল আছে৷ ব্যাড গাই, গুড গাই৷ বিষয়টা কী বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি৷ ধরুন, কোন একজন আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বুঝা যায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

টান

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২


কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর
বিচ্যুতি ঠেকা‌তে ছু‌টির পাহাড়
দিগন্ত অদূর, ছ‌বি আঁকা মেঘ
হঠাৎ মৃদু হাওয়া বা‌ড়ে গ‌তি‌বেগ
ভাবনা‌দের ঘুরপাক শূণ্যতা তোমার..
কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর।
:(
হাঁটুজ‌লে ঢেউ এ‌সে ভাসাইল বুক
সদ্যযাত্রা দম্প‌তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরী

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরীঃ


১। নিজের সিভি নিজে লেখা শিখবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টোমাইজ করার অভ্যাস থাকতে হবে। কম্পিউটারের দোকান থেকে সিভি বানাবেন না। তবে চাইলে, প্রফেশনাল সিভি মেকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি

অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×