somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উনকো হাসিছে মে ফাঁসিছে ঝুল চাকতাহু

১২ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৪:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সূর্য্য ডুব মাইরা আমরার প্রিয় ঢাকারেও আঁধারে ডুবাইয়া গেছে । এমন কালো সন্ধ্যায় আমি যাইতাছি ভুতের জন্য বিখ্যাত ভুতের গলিতে রাত্রি যাপনের জন্য যে বাসা খানা ভাড়া করিয়াছি সেই খানে । বাসার গেটে ঢুকিতে যাইব এমন সময় কানে কিন্চিত গোঙ্গানির শব্দ শুনিলাম । গেটের ভিতরে ঢুকানো পা খানা টানিয়া আবার বাহিরে আনিলাম । বাম পাশে ভালো করিয়া তাকাইতেই দেখি আমরার মানে পাড়ার সুজা খান দেয়ালে মাথা ঠুকাইতেছে আর কো কো শব্দ করিতেছে । কাছে গিয়া তাহার কাঁদে হস্ত রাখিতেই সে লম্প দিয়া উঠিল । বলিলাম , ভয় পাইয়াছ বাচা । খান সাহেব কব্জির হাতা গুটাইতে গুটাইতে কহিল হাম কিউকো ডর নেহি করতা । কোন হালায় হামকো কুছ করেগা । শুধু আপ দেইখা কাঁদমে হাত দিয়া বাঁছ গেয়া । অন্য কোন শালা হোতা তো শালেকো ভুত বানাকে ছোড় দিতাহা ।

তো আমি খান সাবের ইন্চি আটেক মোটা কব্জি ধরিয়া বলিলাম , মিয়া বডিতো একখান জব্বর বানাইছ লম্বাও মাশাল্রা পাঁচ ফুট চাড়াইয়া গেছ । তোমারোতো মিয়া পুরা হিরো লাগতেছে । সল্লু খানের লগে লড়াই করবার পারবা । যাউগ্গা কও দেহি কি করতেছিলা ঐ দেয়ালের মধ্যে । খান সাব আমার হাত ধইরা টাইনা নিয়া গেল দেয়ালের কাছে । আমরার প্রধান মন্ত্রীর একখান পোষ্টারের সামনে দাঁড় করাইয়া দিয়া সূজা খান কহিল , উনকো সালাম করিলাম । উন হামারা বহু দিন রাত কা স্বপ্ন পুরা করতাহে । কারিনাজিকো ছোট পর্দামে দেখকার দিলমে বহুত দরদ হোতা হে । লেকিন আব হাম কারিনা ক্যাট এ্যাস অওর সব হুরকো বড়া পর্দামে দেখুগ্গা। মুছকোতো নিদ নেহি আতা হে । কবছে দেখুগ্গা ইয়া বড় বড় .... আঁখে উনকো ঠোট । উহ্ হাম অওর দের নেহি কর চাকতা ।

আমি কহিলাম হিরোজী তুমি বিরাট ভুল করিয়াছ । খবর টবর কিছু শোন না মনে হয় । আমরার প্রধান মন্ত্রীতো তুমি আর তোমরার মত হিন্দী প্রেমীদের বুক ভাইঙ্গা খান খান কইরা দিছে । উনিতো চাপ কইয়া দিছে হিন্দি ছবি আনবার দিব না । ফারুক চাচা চেষ্টা করছিল । উনারেও প্রধান মন্ত্রী গদাম দিছে । আমি কহিলাম তুমি মিয়া ফারুক খান চাচারে যাইয়া সালাম কইরা আস । তোমারার মকসুদতো উনিই পুরা করবার উদ্যেগ নিছিল । পেয়াজ রসুন ডালের ট্রাকে কইরা উনিইতো হিন্দি মুভি আনার ব্যাবস্তা করবার চাইছিল । সূজা খান চিতকার মাইরা কহিল , কন কি ? মে উনকো জরুর সালাম ঠুক করকে আয়েগা । গলিমে উনকো ফটোবি আছে । লেকিন কারেন্ট আয়েগাতক ইন্তেজার করনে হোগা । আমি কহিলাম ঠিক বলিয়াছ বাচা । না হলে ফারুক চাচার ছবি মনে কইরা ফালু চাচারে সালাম ঠুকে আসবা । আর চিন্তা করিওনা তোমরার জন্য ছবি না আসিলেও কারেন্ট আসিতেছে ঐ ট্রাকে কইরা । খান সাব গাব্বার সিংয়ের মত চিতকার মারিতেই আমি ভয় পাইয়া আড়াই কদম পিছাইয়া গেলাম । সুজা খান আধা লম্পে আমার কাছে আসিয়া পড়িল । বলিল কন কি কারেন্টের সমস্যাবি সমাধান হো গায়া । এই বলিয়াই সে আনমনা হইয়া গেল । কহিল তো ছবি কবতগ আয়েগা । আমি কহিলাম নতুন দপারপা করবার জন্য চাচাজীকে একটু সময় দেয়া লাগব ।

খান সাব এইবার কি মনে করিয়া আমার দিকে তাকাইয়া প্রসঙ্গ পাল্টাইয়া কহিল , কবতক শচীন ধোনী হামারা হোগা ? আমি তাজ্জব হইয়া কহিলাম ভ্রাতা খান সাব ২০২১ সাল পর্য্যন্ত মনে হয় এমন চিন্তা ভাবনা নাই , হের পরে নতুন দপারপা হইলে বলিতে পারিব । খান সাব বিমর্ষ বদনে কহিল , তখনতো শচীনজী মর জায়েগা । কহিলাম ডরাইও না ওর পোলা অর্জুন আইতাছে । খান সাব হাস্যমুখে কহিল , আপ সাচ কেতাহে । আমি কহিলাম মিয়া তুমি কি কইতাছ , তোমার লগে মিছা কথা কমু ? রামছাগল সরি রামপালের মতো আমারে যদি ফ্লাইং কিক মাইরা বস । খান সাফ জিব কাটিয়া কহিল , ছি মে আপকো বহুত শ্রদ্ধা করতাহু ।

খান সাব আমার কাছে আসিয়া আস্তে আস্তে কহিল , আপ ইয়াদ রাখনা , হিন্দি ছবি আজ নেহিতো কাল জরুর আয়েগা । যব বিপাশাজির ছবি আসিলে হাম আপকো জরুর দেখাউঙ্গে । আপ না নেহি করনা । বিপাশাকো মে বহুত বহুত ভালা পাতা হে । উনকো কোমর দেখকেতো হামকো..... । আমি বলিলাম তুমি বাংলা ছবি দেখনা । কহিল না , ময়ুরী মুনমুন মেহেদী যানেকে বাদ আর নেহি দেখা । কহিলাম , কও কি ভ্রাতা আমরার মধ্যবিত্ততো অহন শুক্রবারে কোন কাজ রাখে না । ঐ দিন সবাই দল বাইধা বাংলা ছবি দেখবার যায় । সুজা খান কহিল ছাড়োগে উনকো কথা । উপরের বিত্ত মধ্যের বিত্ত সব ভালা কথা কেহেতা হে , লেকিন কাম করে উল্টাছে । বহুত জনকো হাম দেখা জাদা কথা কনেকা বাদ অওরছে জাদা খারাপ কাজ করতাহে । আমি কহিলাম তুমি মিয়া এত গভীর কথা শিখলা কবে । হিরোজী কহিল , হামারি পাগলা গফুরছে । উন কেহেতা হে , মধ্যের গুলা ভালা কথা কেহেতে কেহেত জীবন পার কর দিতাহে । উন আর কেহেতাহে , মধ্যের জীবগুলার সবকুছছে এলার্জীহে । তাহাদের বাংলা ছবিমে এলার্জী আতা হে লেকিন পরকিয়াছে পুরা হিন্দি সিরায়াল পুরা ফ্যামিলি একসাথে দেখতাহে অওর তালিয়া বাঝাতাহে । উনকো শাড়ীপে এলার্জীহে লেকিন মোটা কাপড়ের জিন্সপে - পেটতক উঠা জামাছে এলার্জী নেহি আতা । আমি বললাম চুপ কর বাচা ।

দিল দে দিয়া হে জান তুজে দেদো শব্দে সুজা খানের ডাউস মোবাইল বাজিয়া উঠিল , সে বলিতে লাগিল । হা হা তুম সবকো খানা খাবাউঙ্গা । যব মেরী সব রানীকো আব বড় বড় দেখেঙ্গা ইতনা খুশিমে হাম তোমারেলিয়ে জরুর পার্টি দেঙ্গা । হা থাকেগা লাল সাদা সব কুছ থাকেগা । এ্যাচা লাল খাওয়াউন্গা জিছে তোমহারা চোখ ওমরেশজীকো আঁখছে লাল হো যায়েগা । হা হা দীপিকাজীকো কসম খাতাহু । নেহি খাবাউঙ্গাতো যেন দীপিকাজীকো হাসনা বন্ধ হো যায়েগা । অওর তুমতো জানতাহো উনকো হসিসে মে ফাঁসিমে ঝুল চাকতাহু । লেকীন থোড়াছা গড়বড় হোগায়া , আমারা পিকলু ভাই কেহেতা হে প্রধান মন্ত্রী হিন্দি ছবি নেহি আনে দেঙ্গা । অওর ......

সুজা খান ফোন রাখিয়া আমার দিকে তাকাতেই কারেন্ট চলিয়া আসিল । সে হাসিতে হাসিতে বলিল , আপ দেখা উনকো হাসির কথা বলনেকে সাথ সাথ কারেন্টবি আগায়া । উন সবকো নিয়ে আসলে হামারি আর কারেন্ট নেহি লাগেগা । উন সব কো রুপমে ইতনা তেজ হে যে সুরুজবি আন্ধাহো যায়েগা । কব আয়েগা উনকো ছবি । উফ অওর কুছ ভালা নেহি লাগতা । মনে হইতাছে কারিনাজী সাফকো বিয়া কর ডালা অওর হামার দিলমে কয়ি বিষ ডাল দেয়া । কাতরাতে কাচরাতে খান সাব এইবার চুপ মারিলেন । আমিও চুপ মারিলাম ।

একটু দুরে একখানা ছবির দিকে তাকাইয়া ফারুক চাচা করিতে করিতে খান সাব দৌড় মারিল । আমি ও পাঁচতলায় উঠিবার জন্য আল্লাহর নিকট শক্তি কামনা করিয়া কদম পেলিলাম ।

(২৭ এপ্রিল ২০১০ এ লেখা এই লেখাটি আবার পরির্তন করতে ইচ্ছে করছেনা)
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×