somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফরওয়ার্ড মেসেজ থেকে সাবধান!

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ফরওয়ার্ড মেসেজ ! আমরা অনেকেই এই নামটি শুনেছি। আর নাম না শুনলেও প্রতিটা মোবাইল বা ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ব্যাক্তি মাত্রই এটার সম্মুখীন হয়েছি।

এখনো বুঝতে না পারলে আপনাকে আরো সহজ করে বলি, ইদানিং আপনার ফোনের ইনবক্সে অথবা ফেসবুকের ইনবক্সে এমন অনেক মেসেজ আপনি পেয়ে থাকতে পারেন, যেখানে বিভিন্ন তথ্য দেওয়া থাকে এবং শেষে বলা হয় এই মেসেজটি আরো ২০ জনকে বা ১০০ জনকে বা ফ্রেইন্ডলিস্টের সবাইকে সেন্ড করতে। বেশীর ভাগ সময় এটা কোন ধর্মীয় তথ্য দিয়ে লেখা হয়, আর এটাকেই ফরওয়ার্ড মেসেজ বলে। আর এসব মেসেজগুলো আমাদের পরিচিত ব্যাক্তিরাই আমাদের পাঠিয়ে থাকে এমন কি এটাও হতে পারে যে আপনিও এ ধরনের মেসেজ পেয়ে অনেক জনকে ফরওয়ার্ড করে সেই মেসেজ পাঠিয়েছেন।

এখন আসল কথায় আসি,

এই ফরওয়ার্ড মেসেজ গুলোতে বিশেষ করে ধর্মীয় অনেক কথা লেখা হয়ে থাকে যাতে এগুলো পড়া মাত্রই অন্যের কাছে কোন চিন্তা ভাবনা না করে বা সত্যতা যাচাই না করেই অনেক মানুষ এর কাছে শেয়ার করে দেওয়া হয়। কেউ জানেও না এই মেসেজ কে বা কারা কিভাবে কবে লিখেছে, অার এই মেসেজ এর তথ্য কতোটুকু সত্য সেটা না জেনেই যখন অন্যের কাছে এটা শেয়ার করা হয় বা ফরওয়ার্ড করা হয় তখন সেই তথ্যের দায় ভারটাও যে শেয়ার করলো বা ফরওয়ার্ড করলো তার উপরেই পড়ে। এবং আপনি জেনে অবাক হবেন এই সব মেসেজ এর দেওয়া তথ্য বেশীর ভাগ সময় ভুল হয় এবং মিথ্যা হয়। এই মেসেজ গুলো শুধু মানুষ এর ইমোশনকে কাজে লাগিয়ে ছড়ানো হয়। এবং এটা অনেকটা ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে যায় একজনের ইনবক্স থেকে অন্য জনের ইনবক্সে।

যখন ফেসবুক ছিল না তখন আমাদের ফোনের ইনবক্সেও এরকম অনেক মেসেজ আসতো, এবং এমনকি মেসেজে অনেক হুমকিও থাকতো। বলা হতো এই মেসেজ ২০ জনকে না পাঠালে আপনি কোন খারাপ সংবাদ শুনবেন বা আপনার কোন ক্ষতি হবে। এখন ক্ষতির ভয়ে মানুষ মেসেজ আরো ২০ জনকে সেন্ড করে দিত আবার সেই ২০ জন আরো ২০ করে ৪০০ জনকে সেন্ড করে দিত... এভাবে হাজার হাজার মানুষ এর কাছে মেসেজগুলো পৌছে যেত। যেগুলোর কোন ভিত্তি নেই এবং হুমকি গুলো নিতান্তই মিথ্যা কথা ছাড়া আর কিছুই না। এখন আপনি চিন্তা করুন আপনি যদি কখনও এরকম মেসেজ পাঠিয়ে থাকেন তবে আপনার পাঠানোর কারণে যতোজন এর কাছে ঐসব মিথ্যা বানোয়াট কথা পৌছাবে তার গুনাহের ভাগ কিন্তু আপনিও পাবেন।

কথা হচ্ছে মানুষ এত বোকা কেন?

মানুষ আসলে বোকা না, মানুষ এর আবেগ একটু বেশী। আর বিশেষ করে বাঙালীদের আবেগ তো আরো অনেক বেশী। শুধু কি ফরওয়ার্ড মেসেজ? ফেসবুকের পোস্ট, মিম, ট্রল পেইজ ভাইরাল হওয়ার জন্য খুবই জঘন্যতম কাজ করে থাকে। তারা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে মানুষকে ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইল করে তাদের পেইজ বা পোস্টকে ভাইরাল করে, শেয়ার করতে বাধ্য করে এবং সস্তা লাইকের জন্য ভুল তথ্য মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়।

এমন অনেক পোস্ট বা ছবি দেখে থাকবেন যেখানে একটা জামার ছবি দিয়ে বা একটা জুতার ছবি দিয়ে বলা হয় এটা আমাদের নবীজী (সাঃ) এর জুতা বা জামা। কিন্তু সেসব তথ্যের কোন ভিত্তি নেই। এমনকি নবী-রাসূল গণের নাম দিয়ে সরাসরি বানোয়াট মিথ্যা কথাও ছড়ানো হয়, বলা হয় নবীজী (সাঃ) বলেছেন এটা , যার কোন ভিত্তি নেই এবং বানোয়াট কথা। আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না এটা কতবড় মারাত্বক অপরাধ ইসলামের দৃষ্টিতে। হাদীসে বলা আছে যে ব্যাক্তি নবীর নামে মিথ্যা কথা বললো সে যেন জাহান্নামে তার জন্য যায়গা করে নিল। এখন আপনার শেয়ারে বা আপনার ফরওয়ার্ড মেসেজের কারণে এটা অন্যকে বলা হলো এবং যখন এটা অন্যের কাছে যাবে আপনি কি মনে করেছেন আপনার অনেক পূণ্য হয়েছে? কিন্তু আপনি জানতেই পারলেন না যে, জাহান্নামে আপনার জন্য আরাম আয়েশের ব্যবস্থা হয়ে গেল।

এভাবেই তো বড় বড় মিথ্যা আর গুজব গুলো ইন্টারনেটে ছড়ায়, কারণ কিছু মূর্খ্য ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছে যারা না বুঝে, না জেনে চোখ বন্ধ করে সামনে যা পায় দেখা মাত্র শেয়ার করে। তাই আমাদের সকলের উচিত এগুলো থেকে বিরত থাকা এবং যে কোন কিছুই শেয়ার করার আগে জিনিসটা কতোটুকু সত্যি সেটা যাচাই করা।

এবং আপনাদের যাদের শেয়ার বাটন দেখলেই হাত চুলকায় তারা পারলে এই পোস্টটি শেয়ার করুন। আর না হলে কপি করে আপনার টাইমলাইনে পোস্ট করুন। কারণ সবারই এই জিনিসটি জানা উচিত। যদি ২০ জনকে না পাঠান তবে যারা অবিবাহিত আছেন তাদের কারো বিয়ে হবে না। আর যারা বিবাহিত, তাদের আর কি বলবো তারা এমনিতেই অনেক ঝামেলায় আছেন।



#কনক
(বিঃ দ্রঃ শেষের ২ লাইন মিথ্যা কথা, সেটা কেউ বিশ্বাস করলে তার কোন দায়ভার আমি নেবো না)



ফেসবুকে অামিঃ মোঃ কামরুজ্জামান কনক
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১২
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×