খিলক্ষেতে ইভ টিজিং ঠেকাতে গিয়ে চার পুলিশ আহতঅস্ত্র ছিনতাই, আটক ১২
ইভ টিজিংয়ের ঘটনা প্রতিরোধ করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে পুলিশ। দুজন এসআইসহ চার পুলিশ সদস্যকে বেদম মারধর করে সন্ত্রাসীরা অস্ত্র ও দুটি ওয়াকিটকি ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর খিলক্ষেতে এ ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার নিজামুল হক মোল্লা জানান, সন্ত্রাসীরা পুলিশের ওপর হামলা চালালে এসআই হাবিবুর রহমান, এসআই দীন ইসলাম, কনস্টেবল জাকির ও এমদাদ মারাত্দক জখম হন। তাঁদের খিলক্ষেত মেডিক্যাল জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাতেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হামলাকারীরা পুলিশের একটি পিস্তল ও দুটি ওয়াকিটকি ছিনিয়ে নিয়েছে। পরে ওয়াকিটকি পাওয়া গেলেও রাত ২টা পর্যন্ত অস্ত্রের সন্ধান মেলেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, গত রাতে স্কুলছাত্রী সাকিরা ইসলাম মিতু মোবাইল ফোনে টাকা রিচার্জ করতে নিকুঞ্জ এলাকার ১৮ নম্বর রোডের বাসার অদূরে একটি দোকানে যায়। এ সময় সেখানে অবস্থানকারী স্থানীয় সন্ত্রাসী রাজন, একাব্বরসহ তার সহযোগী বখাটেরা তাকে উত্ত্যক্ত করে। এ ঘটনা জেনে মিতুর মামা ১৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা ফরিদ সেখানে গেলে বখাটেরা তাঁকে মারধর করে। খবর পেয়ে খিলক্ষেত থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পেঁৗছে সন্ত্রাসী রাজনকে আটক করে। এ সময় অন্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে ১৯ নম্বর রোডের একটি ছয়তলা ভবনে আশ্রয় নেয়। এ অবস্থায় রাজন পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে ওই ভবনে ঢুকে পড়ে। সেখানে গ্রেপ্তার অভিযান চালাতে গিয়েই পুলিশের দল হামলার শিকার হয়। বখাটেরা চার পুলিশ সদস্যকে জখম করে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়।
মধ্যরাতে পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য বিশেষ অভিযানে নামে। নিকুঞ্জ এলাকার বাঁধ ও বস্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ রাত ২টা পর্যন্ত হামলাকারী রাজনসহ ১২ জনকে আটক করলেও খোয়া যাওয়া অস্ত্রটি উদ্ধার হয়নি।
িলংক

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




