বেশ কিছুদিন আগে সবুজ রঙ করা হয়েছিল খাঁচাগুলোতে, কালান্তে সেটা বোঝা গেলেও খুব বেশি রঙ আর বেঁচে নেই ।
আসলে বেশিরভাগ খাঁচার ভেতরই টিয়া, খাঁচাগুলো তাতেই কিঞ্চিত সবুজ হয়ে থাকবে । কোথাও মস্ত রুটির ঢাকনার তলায় ফুটফুটে দুটো সাদা ইদুর । কয়েকটা খরগোশ । খরগোশের বাচ্চারা ঠান্ডায় একসাথে চুপটি করে বসে । কাঁপছে, ক্রমাগত উত্তেজনায় যেমন কাঁপে উরু ।
চারিদিকে থরে থরে সাজানো খাঁচা । আসলে সেগুলো লোহার কিছু তার , সোজা, বাঁকা বা এমনটাই রুলটানা খাতা যেন ; অক্ষরের যেমন নিয়তি তাতে আটকা পড়া, কিংবা সবুজ গাছ কিছুটা নিরাপদ মনে করে এমনি বেষ্টনির আড়ালে । কতগুলো লোহার লাইন, সোজা কিংবা বাঁকা - তা বই তো আর কিছু নয় । খরগোশেরা নিরাপদ মনে করে না, ঠিকমত জানেও না তারা খাঁচার বাইরে আছে না ভিতরে । সেই মহিলাও একরাশ হৈ হট্টগোলের মধ্যে চারপাশের চারপাশের খাঁচার দূর্গ ঝুলিয়ে বসে আছে স্থির ।এমন মহিলার মুখ স্পষ্ট করে মনে পড়ে না, তার শাড়ির রঙ ও নয় । তবু খাঁচাগুলোর রঙ সবুজ বলে মনে হয় ।
সেই খরগোশগুলোর কথা মনে পড়ে । কুকুর শিয়ালের তাড়া খেয়ে ছুটেছিল দিকভ্রান্তের মত । জন্গলে এমন প্রাণী কতই তো মরে । এ ওকে না মারলে তো ইশেসিষ্টেমের দোহাই । এই রকম দু'চারটে খরগোশ ব্যস্ত শহরের খাঁচায় ভরে না রাখলে কথামালা পড়া শিশুরা , আমার মত, জানতেও পারতো না খাঁচা জিনিসটা খুব একটা জরুরি নয় । সবাই খাঁচায় থাকতে বেশ ভালো বাসে । খরগোশের চোখে দেখলে একটা খাঁচার মধ্যে এতগুলো মানুষ, ব্যস্ত শহর, মস্ত বাজার, হাঁটা-চলা, হট্টগোল, ভুলে যাওয়া আকাশ । খাঁচার বাইরে গুটিসুটি মারে থরথর করে কাঁপা খরগোশের বাচ্চা । কেবল এবং নিরাপদ ।
নয়ডা, উত্তরপ্রদেশ ১।২।২০০৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।

