somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এনসিপির জন্য কৌশলগত রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ চিন্তা: এক বিশ্লেষণ

০১ লা জুন, ২০২৫ সকাল ১১:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যদি এনসিপি (ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি) রাষ্ট্র ক্ষমতায় দ্রুত অধিষ্ঠিত হতে চায়, তাহলে তাদের জন্য একটি সাহসী ও দূরদর্শী কৌশল হতে পারে—দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিকে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। কারণ রাজনীতিতে একটি পুরনো প্রবাদ আছে—“ফল না পাকলে পচবে না।” অর্থাৎ, কোনো রাজনৈতিক শক্তিকে জনসমক্ষে উদঘাটন করতে হলে তাদেরকে ক্ষমতায় এনে তাদের প্রকৃত রূপটি দেখার সুযোগ দিতে হবে।

বিএনপিকে পচানোর জন্য যদি কেবল বিরোধী অবস্থান থেকেই সমালোচনা করা হয়, তবে তা যথেষ্ট নয়। কারণ, ড. ইউনুচ যেই ফর্মুলায় বিএনপিকে চাঁদাবাজি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুযোগ দিয়ে জনসমর্থন কমানোর চেষ্টা করছেন, তা কার্যকর হচ্ছে না। বরং এই ফর্মুলা বিপরীত ফল দিচ্ছে— বিএনপির যেকোনো বেআইনি কর্মই এখন ড. ইউনুচের ব্যর্থতা হিসাবে দেখা হচ্ছে। জনগণের দৃষ্টিতে, যে রাজনৈতিক শক্তি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে নেই, তার সীমাবদ্ধতা দৃশ্যমান হয় না, কিন্তু যিনি নেতৃত্বে আছেন, তার প্রতিটি সিদ্ধান্তই প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

এই অবস্থায় যদি বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসে এবং সেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে, তাহলে জনগণের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই একটি তুলনামূলক মনোভাব গড়ে উঠবে। ফলে এনসিপির প্রতি সহানুভূতি ও আস্থা বৃদ্ধি পাবে, এবং দলটি ভবিষ্যতে আরও সংগঠিতভাবে ও বিস্তৃত জনভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতার দিকে অগ্রসর হতে পারবে।

অন্যদিকে, যদি এনসিপি মনে করে জামায়াতে ইসলামী তাদের ক্ষমতায় যেতে সহায়তা করবে, তবে তা হবে এক মারাত্মক রাজনৈতিক ভুল। বাস্তবতা হলো, জামায়াত কখনোই এনসিপিকে সমান শক্তিশালী মিত্র হিসেবে দেখে না। বরং তারা এনসিপিকে নিজেদের অধীনস্থ, নিয়ন্ত্রিত একটি দল হিসেবেই রাখতে চায়— যেভাবে আওয়ামী লীগ সিপিবি, ইনু-মেননসহ অন্যান্য তথাকথিত প্রগতিশীল বাম শক্তিকে ব্যবহার করে থাকে। এই দলগুলো মূলত ক্ষমতাসীনদের ‘দালাল তৈরি’র কারখানায় পরিণত হয়েছে— যেখানে স্বকীয়তা বা স্বতন্ত্র রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির কোনো মূল্য নেই।

আমরা যারা এনসিপির শুভাকাঙ্ক্ষী, তারা চাই এনসিপি একদিন রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হোক। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এনসিপি কি সত্যিই রাষ্ট্র পরিচালনার মতো প্রজ্ঞা ও পরিপক্বতা অর্জন করেছে? হয়তো এখনো পুরোপুরি অর্জন করেনি, কিন্তু তারা ক্রমাগত পরিপক্ব হয়ে উঠছে। এই পথটি দীর্ঘ, তবে সম্ভাবনাময়। যদি এখন না-ও পারে, আগামী নির্বাচনে এনসিপি নিশ্চয়ই এক শক্তিশালী চ্যালেঞ্জার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারবে।

সুতরাং, এই মুহূর্তে এনসিপির উচিত— জামায়াতের কাঁধে ভর না দিয়ে, স্বকীয় নীতি ও দূরদর্শী কৌশল নিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে অবিচল থাকা। জনগণ সবসময়ই বিকল্প চায়, তবে সেই বিকল্পকে বিশ্বাসযোগ্য হতে হয়। বিএনপিকে একটি ‘ব্যর্থ শাসক’ প্রমাণের সুযোগ দেওয়া সেই বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের পথ হতে পারে।্বদি এনসিপি (ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি) রাষ্ট্র ক্ষমতায় দ্রুত অধিষ্ঠিত হতে চায়, তাহলে তাদের জন্য একটি সাহসী ও দূরদর্শী কৌশল হতে পারে—দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিকে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। কারণ রাজনীতিতে একটি পুরনো প্রবাদ আছে—“ফল না পাকলে পচবে না।” অর্থাৎ, কোনো রাজনৈতিক শক্তিকে জনসমক্ষে উদঘাটন করতে হলে তাদেরকে ক্ষমতায় এনে তাদের প্রকৃত রূপটি দেখার সুযোগ দিতে হবে।

বিএনপিকে পচানোর জন্য যদি কেবল বিরোধী অবস্থান থেকেই সমালোচনা করা হয়, তবে তা যথেষ্ট নয়। কারণ, ড. ইউনুচ যেই ফর্মুলায় বিএনপিকে চাঁদাবাজি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুযোগ দিয়ে জনসমর্থন কমানোর চেষ্টা করছেন, তা কার্যকর হচ্ছে না। বরং এই ফর্মুলা বিপরীত ফল দিচ্ছে— বিএনপির যেকোনো বেআইনি কর্মই এখন ড. ইউনুচের ব্যর্থতা হিসাবে দেখা হচ্ছে। জনগণের দৃষ্টিতে, যে রাজনৈতিক শক্তি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে নেই, তার সীমাবদ্ধতা দৃশ্যমান হয় না, কিন্তু যিনি নেতৃত্বে আছেন, তার প্রতিটি সিদ্ধান্তই প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

এই অবস্থায় যদি বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসে এবং সেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে, তাহলে জনগণের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই একটি তুলনামূলক মনোভাব গড়ে উঠবে। ফলে এনসিপির প্রতি সহানুভূতি ও আস্থা বৃদ্ধি পাবে, এবং দলটি ভবিষ্যতে আরও সংগঠিতভাবে ও বিস্তৃত জনভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতার দিকে অগ্রসর হতে পারবে।

অন্যদিকে, যদি এনসিপি মনে করে জামায়াতে ইসলামী তাদের ক্ষমতায় যেতে সহায়তা করবে, তবে তা হবে এক মারাত্মক রাজনৈতিক ভুল। বাস্তবতা হলো, জামায়াত কখনোই এনসিপিকে সমান শক্তিশালী মিত্র হিসেবে দেখে না। বরং তারা এনসিপিকে নিজেদের অধীনস্থ, নিয়ন্ত্রিত একটি দল হিসেবেই রাখতে চায়— যেভাবে আওয়ামী লীগ সিপিবি, ইনু-মেননসহ অন্যান্য তথাকথিত প্রগতিশীল বাম শক্তিকে ব্যবহার করে থাকে। এই দলগুলো মূলত ক্ষমতাসীনদের ‘দালাল তৈরি’র কারখানায় পরিণত হয়েছে— যেখানে স্বকীয়তা বা স্বতন্ত্র রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির কোনো মূল্য নেই।

আমরা যারা এনসিপির শুভাকাঙ্ক্ষী, তারা চাই এনসিপি একদিন রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হোক। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এনসিপি কি সত্যিই রাষ্ট্র পরিচালনার মতো প্রজ্ঞা ও পরিপক্বতা অর্জন করেছে? হয়তো এখনো পুরোপুরি অর্জন করেনি, কিন্তু তারা ক্রমাগত পরিপক্ব হয়ে উঠছে। এই পথটি দীর্ঘ, তবে সম্ভাবনাময়। যদি এখন না-ও পারে, আগামী নির্বাচনে এনসিপি নিশ্চয়ই এক শক্তিশালী চ্যালেঞ্জার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারবে।

সুতরাং, এই মুহূর্তে এনসিপির উচিত— জামায়াতের কাঁধে ভর না দিয়ে, স্বকীয় নীতি ও দূরদর্শী কৌশল নিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে অবিচল থাকা। জনগণ সবসময়ই বিকল্প চায়, তবে সেই বিকল্পকে বিশ্বাসযোগ্য হতে হয়। বিএনপিকে একটি ‘ব্যর্থ শাসক’ প্রমাণের সুযোগ দেওয়া সেই বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের পথ হতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুন, ২০২৫ সকাল ১১:২১
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×